শিরোনাম

ডেঙ্গুর প্রকৌপ ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্ব ব্যাংক কলোনীতে

নিজস্ব প্রতিবেদক জাগরণ ডট নিউজ

আপডেট: নভেম্বর ১৬, ২০১৯ ২১:৩০

image বছরের মাঝামাঝিতে ডেঙ্গুর প্রকোপ চড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে রীতিমতো কর্মব্যস্ত হয়ে পড়ে সরকার। রাজধানীর পর চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গু মারাত্মক আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ায় ডেঙ্গু অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসে।

তবে সম্প্রতি চট্টগ্রাম নগরীতে ডেঙ্গু আবারও ভয়াবহ আকারে দেখা দিয়েছে। নগরীর আকবরশাহ থানাধীন বিশ্ব ব্যাংক কলোনী (কৈবল্যধাম হাউজিং এস্টেট) এলাকায় ডেঙ্গু বর্তমান ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক প্রচার চালায়। তারাবিনামূল্যে রক্ত পরীক্ষা, লিফলেট বিতরণ, মাইকিংও চলে হুলস্থুল। কিন্তু হঠাৎ থেমে গিয়ে সব চুপচাপ। পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ভেবেই নীরবতা পালন করে চসিক।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে শনাক্ত হওয়া ২ হাজার ২২০ জন রোগীর ভেতর ২০০ জনই নগরীর আকবরশাহ থানার বিশ্ব ব্যাংক কলোনী (বিশ্ব কলোনী) ও ফয়’স লেক এলাকার। এই সংখ্যাটা বেশি না হলেও চট্টগ্রামের প্রেক্ষাপটে এক এলাকায় এর আগে এতো রোগী শনাক্ত হয়নি। এর আগে ফয়’স লেক ও ঝাউতলা এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দুজন রোগী মারা যায়। একই এলাকায় প্রায় ২০০ রোগী শনাক্ত হওয়ায় চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা। এই এলাকা নিয়ন্ত্রণে না এলে চট্টগ্রামে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে না বলেও মত দেন চট্টগ্রামের সদ্য বদলি হওয়া সিভিল সার্জন ডা .আজিজুর রহমান সিদ্দিকী।

এদিকে, চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসার কারণ হিসেবে দেখছেন, বিশ্বকলোনি এলাকায় চসিকের প্রচারণায় অবহেলা এবং ঢিলেঢালা মনোভাব। এছাড়াও ওই এলাকায় অবস্থানরত নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের যাদের ডেঙ্গু বিষয়ক পর্যাপ্ত ধারণা নেই এবং অসচেতন। যার ফলে প্রতিদিনই ওই এলাকা থেকে শনাক্ত হচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী।

গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে ৯ জন, ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে ১ জন। এদের মধ্যে ৯ জনই বিশ্বকলোনির বাসিন্দা। তবে উপজেলায় কোনো ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী নেই। এছাড়া বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন ৩৪ জন ডেঙ্গু রোগী।

এ প্রসঙ্গে সদ্য বদলি হওয়া সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ‘চট্টগ্রামে ডেঙ্গু প্রায় কমে গিয়েছিল কিন্তু একটা এলাকার জন্য আমরা কমাতে পারছি না। সিটি কর্পোরেশন কেবল মশা মারলে তো কাজ হবে না। এলাকাবাসীকে সচেতন করতে হবে। ঐ এলাকার বাসিন্দারা সচেতন না বলেই দিন দিন প্রকোপ বাড়ছে। রোগীরা ভর্তি হলেইতো আমরা চিকিৎসা দিবো। কিন্তু যাতে আক্রান্ত না হয় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে সিটি করপোরেশনকে। নতুন সিভিল সার্জনকে সার্বিক অবস্থা বুঝিয়ে দিয়ে যাবো। আমি সিটি করপোরেশনকে বারবার জানিয়েছি ওই এলাকা ঝুঁকির মধ্যে আছে। চসিকের প্রচার প্রচারণা না থাকায় অবস্থার অবনতি হচ্ছে।’

বিশ্ব কলোনী এলাকার বাসিন্দা ঈশিকা চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, যারা বিল্ডিংয়ে থাকে তারা হয়তো নিজের বাসা-বাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখে কিন্তু যারা সেমিপাকা ঘরে থাকে বা আরও করুণ অবস্থায় থাকে তারা জানেই না ডেঙ্গুর অবস্থা। শারমিন নামে এক ছাত্রী বলেন, কিছুদিন নিরব থাকার পর বিশ^ কলোনী এলাকায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার খবরে আমাদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। কেননা, বাসায় ছোট ছোট ছেলে মেয়ে রয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. নুরুল হায়দার বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে বলা মুশকিল। কেননা বিশ্ব কলোনি এলাকাতেই প্রতিদিন শনাক্ত হচ্ছে ডেঙ্গু রোগী। কিন্তু অন্য জায়গায় তেমন একটা প্রভাব নেই।’
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল পরবর্তী ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আসলে বুলবুলের তেমন একটা প্রভাব পড়েনি। তাছাড়া বুলবুলের পর বৃষ্টি বাদল হয়নি।’

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাক্তার আখতারুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি যে এখন যারা আক্রান্ত হয়ে আসেন তারা খুব খারাপ অবস্থা নিয়ে আসেন। জাতীয়ভাবে প্রথমদিকে ডেঙ্গুতে  মৃত্যুর চেয়েও এখন বেড়েছে। তার বড় কারণ হলো যে এটার তেমন উপসর্গ দেখা যায় না। ডেঙ্গুর প্রকোপ কমলেও শঙ্কামুক্ত নয়। শেষ সময় এলে মানুষ গুরুত্ব দেয় না ফলে তখনই ঝামেলাটা হয়। আর অনেকে মোটেও সচেতন না।’
তবে চসিকের প্রচার-প্রচারণা নিয়ে সপক্ষে বক্তব্য দেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর।

এ প্রসঙ্গে ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহিরুল আলম জসিম বলেন, ‘আমরা সবসময়ই প্রচার প্রচারণা চালিয়েছি। এখনও এই কার্যক্রম অব্যাহত আছে। এছাড়া পুরো ওয়ার্ডে মশক নিধন কর্মসূচিও পালন করা হয়েছে। আমরা ডেঙ্গু আক্রান্ত এলাকায় বেশ কয়েকবার ওষুধ ছিটিয়েছি।’

image
image

রিলেটেড নিউজ


করোনায় আরও ৪৮ জনের মৃত্যু, শনাক্তের হার ৭.০৩

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বিস্তারিত


তিন মাসের মধ্যে করোনায় সর্বনিম্ন মৃত্যু

    গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা তিন মাসের বিস্তারিত


আরও ৫৮ জনের মৃত্যু, শনাক্তের হার ৮.৭৬

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত করোনায় মোট বিস্তারিত


করোনায় আরও ৫২ জনের মৃত্যু, শনাক্তের হার ৯.০৭

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত করোনায় মোট বিস্তারিত


দেশে পৌঁছেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ছয় লাখ ডোজ টিকা

কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় বাংলাদেশেকে দেওয়া ছয় লাখ ৩৪ হাজার ৯ শ’ ডোজ টিকা দেশে বিস্তারিত


আরও ১১৭ জনের মৃত্যু, শনাক্তের হার ১২.৭৮

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৭ জন মারা গেছেন। ফলে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বিস্তারিত


৫৮ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন ১০২ জনের মৃত্যু

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০২ জন মারা গেছেন। এটি গত ৫৮ দিনের মধ্যে বিস্তারিত


করোনায় আজও ১১৪ জনের মৃত্যু

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৪ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বিস্তারিত


গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু ৭ সেপ্টেম্বর: স্বাস্থ্য ডিজি 

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশে অনুষ্ঠিত ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইনে বিস্তারিত


image
image

নামাজের সময়সূচি

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত

এক ক্লিকে বিভাগীয় খবর

আবহাওয়া

ক্যালেন্ডার

March 2017
M T W T F S S

চট্টগ্রাম বন্দরের সিডিউল

বিমান বন্দরের সিডিউল


Cities_image
Cities_image

জোয়ার ভাটা

Cities_image