পানিতে মিটার বসাতে চায় চট্টগ্রাম ওয়াসা

নিজস্ব প্রতিবেদক জাগরণ ডট নিউজ

আপডেট: নভেম্বর ১৬, ২০১৯ ২১:৫৮

সিস্টেম লস নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বিলিং অনিয়ম রোধে এবার গ্রাহকদের পানি সরবরাহে প্রিপেইড মিটার সিস্টেম চালু করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। আগামী ছয় মাসের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে নগরীর ৫টি এলাকায় ৫ হাজার মিটার বসানো হবে।

আর প্রিপেইড মিটার স্থাপনের মাধ্যমে প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে কমিয়ে ২০২২ সালের মধ্যে ওয়াসা সিস্টেম লস ২৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায়।

৬০ বর্গমাইলের চট্টগ্রাম নগরীতে দৈনিক পানির চাহিদা রয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ কোটি লিটার। এর মধ্যে ৫০টির বেশি গভীর নলকূপ এবং হালদা নদীর পানি পরিশোধনের মাধ্যমে ওয়াসা ৩৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করছে। ফলে পানির ঘাটতি রয়েছে।

অন্যদিকে পানির বিল নিয়ে রয়েছে অসংখ্য অভিযোগ। বিশেষ করে অতিরিক্ত এবং ভুতুড়ে বিলের অভিযোগ সবচেয়ে বেশি।

বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন পর্ষদের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জিয়া হাবাবী আহসান বলেন, সুপেয় পানি পাচ্ছি না। পানিতে প্রায়ই ময়লা দেখা যায়, দুর্গন্ধ থাকে। ভুতুড়ে বিলের কমপ্লেইন তো আছেই।

চট্টগ্রাম ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার সাবেরী বলেন, ওয়াসার কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে এ রকম ভুতুড়ে বিল আসে।
কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ওয়াসার সিস্টেম লস নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ওয়াসার হিসাব অনুযায়ী, ২৫ শতাংশ সিস্টেম লসের কারণে প্রতিদিন ৮ কোটি লিটার পানি অপচয় হচ্ছে। আর্থিক মূল্যে প্রতিদিন ৮ লাখ টাকা হিসাবে মাসে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় আড়াই কোটি টাকা। এ অবস্থায় গ্রাহকদের প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াসা।

চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল্লাহ বলেন, মিটার রিডারদের নানা রকম ভুলভ্রান্তি হয়। তাই চিন্তা করছি যদি প্রিপেইড মিটার দিই, জনগণ প্রথমেই আমার কাছ থেকে কিনে নিল। তাহলে পয়সা সে দিল, সে পরিমাণ সে পেল, সেটা সে জেনে গেল।
ওয়াসার সর্বশেষ বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে পরীক্ষমূলকভাবে ৫ হাজার গ্রাহককে এ প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। প্রিপেইড মিটার এবং স্থাপন খরচ গ্রাহকদের কাছ থেকেই কিস্তি আকারে আদায় করা হবে।