দাম বাড়ার আশায় মজুদ হচ্ছিল সবজি
অর্থনীতি ডেস্ক জাগরণ ডট নিউজ
আপডেট: নভেম্বর ২১, ২০১৯ ১০:৩৭
গতকাল পর্যন্ত চলে আসা পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটে পরিবহন ব্যাহত হয়ে ঢাকায় চাহিদার তুলনায় সবজি সরবরাহ কমে গেছে কয়েকদিন ধরে। তাই দাম বাড়ার আশায় বিভিন্ন ধরনের সবজি মজুদ করেছেন আড়তদাররা। শুরুর দিন থেকেই এমন মজুদ চলছিল বলে অভিযোগ পাওয়া যা
মঙ্গলবার রাতে উত্তরবঙ্গ এবং নড়াইল, মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা থেকে সবজির ট্রাক আসতে কোনো সমস্যা হয়নি। তবে বুধবার রাতে সবজির ট্রাক কম আসতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।
সবজির ট্রাক আসতে সমস্যা হতে পারে বুঝতে পেরে আড়তদাররা আগের রাতেই ব্যাপক সবজি নিয়ে এসেছে। অনেকেই সব বিক্রি না করে নিজেদের আড়তে তা মজুদ করে রেখেছে।
বুধবার বাজারে দেশি টমেটো কেজিপ্রতি ৮০ টাকা, কচুরমুখী ৫০ টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, মরিচ ৫০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, সিম ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে পটল ও চিচিঙ্গার দাম কেজিতে অন্তত ১০ টাকা করে বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।
কারওয়ান বাজারে দাম তেমন না বাড়লেও রাজধানীর মহল্লার কাচাবাজারগুলোতে সবজির দাম কিছুটা বেড়ে গেছে। এক্ষেত্রে পরিবহন ধর্মঘটকে কারণ হিসাবে দেখাচ্ছেন বিক্রেতারা।
মহাখালী কাচাবাজারে সবজি বিক্রেতা আবুল কাশেম বলেন, বেগুন ৬০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, ঢেঁড়শ ৭০ টাকা, করলা ৭০ টাকায় প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর বাড্ডায় লেকপাড়ের কাচাবাজারে প্রতিটি ফুল কপি ৬০ টাকা এবং বাধাকপি ৪০ টাকায় বিক্রি হয়। এছাড়া বেগুন ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, শিম ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা ও ঢেঁড়শ ৬০ টাকায় বিক্রি হয়।
খোলা সয়াবিন তেল লিটারে ৩ টাকা করে বেড়ে ৮১ টাকা হয়েছে। পাম তেল ৫৭ টাকা থেকে বেড়ে ৬৩ টাকায় পৌঁছেছে। ময়দার দাম ছিল আগে ছিল প্রতি বস্তা ১৪৫০ টাকা, এখন হয়েছে ১৯৫০ টাকা। আটার বস্তা ১৩৫০ টাকা থেকে বেড়ে ১৫০০ টাকা হয়েছে।
এদিকে পেঁয়াজের দাম আরও কমেছে
এদিকে গত তিন দিনের ধারাবাহিকতায় বুধবার কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজের দাম আরেক ধাপ কমেছে। মিশরের পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১০০ টাকা, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৭০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
একদিন আগে মিশরের পেঁয়াজ ১২০ টাকা, দেশি ও মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল বলে জানান বিক্রেতারা।
বাড্ডা কাচাবাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ২০০ টাকায়।
কারওয়ান বাজারে মিয়ানমার ও মিশরের পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও দেশি পেঁয়াজের আড়ৎগুলো ছিল অনেকাংশেই ফাঁকা।