শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক জাগরণ ডট নিউজ
আপডেট: নভেম্বর ২৮, ২০১৯ ১১:৪৯
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছর দণ্ডিত বিএনপি
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আজও জামিন হয়নি।আগামী ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত জামিন শুনানি মূলতবি
করেছেন আদালত। এই সময়ের মধ্যে তার শারীরিক অবস্থার সবশেষ প্রতিবেদন দিতে বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ আজ বৃহস্পতিবার
এই আদেশ দেন।জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের
শুনানিতে আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে প্র্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন
আপিল বিভাগ বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।সঙ্গে ছিলেন
আইনজীবী সগীর হোসেন।অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আগামী ৫ ডিসেম্বর
মেডিকেল বোর্ডকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন
আপিল বিভাগ।
এর আগে শুনানিতে জয়নুল আবেদীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা, বয়স
ও মানবিক দিক বিবেচনার কথা জানিয়ে তাঁর জামিনের আরজি জানান।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গত ৭ অক্টোবর একটি মেডিকেল বোর্ড গঠিত
হয়। ৩০ অক্টোবর বোর্ডের প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহ করেছেন বলে আদালতকে জানান জয়নুল আবেদীন।
অনানুষ্ঠানিকভাবে পাওয়া এই প্রতিবেদনে খালেদা জিয়ার উন্নত থেরাপির
কথা বলা আছে বলে দাবি করেন জয়নুল আবেদীন।
এ অবস্থায় আদালত বলেন, তাহলে আমরা একটা রিপোর্ট কল করি।পরে আদালত খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট দাখিল করতে নির্দেশ দেন।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার
রায় ঘোষণা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক। রায়ে খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড
ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা বাতিল ও খালাস চেয়ে গত বছরের ১৮
নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করেন খালেদা জিয়া। এর গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানি
নিয়ে গত ৩০ এপ্রিল হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে
ওই মামলায় খালেদা জিয়াকে বিচারিক আদালতে দেওয়া জরিমানার আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
এ ছাড়া বিচারিক আদালতে থাকা মামলাটির নথি তলব করেন হাইকোর্ট। দুই মাসের মধ্যে নথি পাঠাতে
বলা হয়।
বিচারিক আদালত থেকে মামলার নথি গত ২০ জুন হাইকোর্টে পাঠানো
হয়। এরপর খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন আদালতে তুলে ধরেন তাঁর আইনজীবীরা।শুনানি নিয়ে বিচারপতি
ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৩১
জুলাই জামিন আবেদন খারিজ করেন। পরে খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে তাঁর আইনজীবীরা আপিল বিভাগে
যান।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।দুর্নীতির পৃথক দুটি মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে রয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিসের লোকবল ১৬ হাজার থেকে ২৫ হাজারে উন্নীত করার জন্য এর সাংগঠনিক কাঠামো বিস্তারিত
আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির পক্ষ থেকে চারটি শর্ত তোলা হয়েছে। দলীয় সরকারের বিস্তারিত
কুমিল্লা- ৭ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিস্তারিত
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্পর্কে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বিস্তারিত
''অন্ধ সমালোচনা আর বিষোদগারের রাজনীতি বিএনপির জন্য ফ্রাংকেনস্টাইন হয়ে নিজেদেরই আঘাত বিস্তারিত
পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে সংসদীয় কার্যক্রম সম্পর্কে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রতি বিস্তারিত
বিএনপির আন্দোলনের হাঁকডাককে আন্দোলন-বিলাস মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিস্তারিত
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন বিস্তারিত
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে বিস্তারিত
© Copyright JAGORON.NEWS
Developed By Muktodhara Technology Limited