বিজয় র্যালিকে কেন্দ্র করে সিরাজগঞ্জে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ
নিজস্ব প্রতিবেদক জাগরণ ডট নিউজ
আপডেট: ডিসেম্বর ৮, ২০১৯ ১৬:১১
সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সরকারি কলেজে বিজয় র্যালিকে কেন্দ্র করে রোববার (৮ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১২টার দিকে দুপক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৭০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় দোকানপাট ভাঙচুর ও বিএনপি অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার বেলা ১২ টার দিকে সরকারি কলেজের উদ্যোগে আয়োজিত বিজয় র্যালিতে হামলার ঘটনা কেন্দ্র করে শহরের ইবি রোডের চাররাস্তার মোড়ে (বিএনপি অফিসের পাশে) এ ঘটনা ঘটে।
সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের এমপি অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত মুন্না এ র্যালিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় শহরজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জানা যায়, সকালে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের উদ্যোগে বিজয় র্যালির আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত মুন্নার নেতৃত্বে র্যালিটি কলেজ থেকে বের হয়ে শহরের ইবি রোডের চাররাস্তার মোড়ে পৌঁছায়।
এ সময় বিএনপিকর্মীরা র্যালিতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিএনপির হামলা প্রতিহত করতে গেলে উভয় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
পরে তা আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে অন্তত ১৫-২০টি দোকানপাট ভাঙচুরসহ বিএনপি অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় দলের অন্তত ৭০ জন আহত হন। আহতদের সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
শহর আ’লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে সিরাজগঞ্জ-২(সদর-কামারখন্দ) আসনের এমপি অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত মুন্নার নেতৃত্বে র্যালিটি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করার সময় বিএনপির সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এতে দলের কমপক্ষে ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাহী কমিটির সদস্য সাইদুর রহমান বাচ্চু র্যালিতে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি অফিসের পাশে অবস্থিত ভাসানী মিলনায়তনে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ চলছিল।
এ সময় পূর্ব পরিকল্পতভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালান। হামলায় জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক শামীম হোসেন হিটলার গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
এ ছাড়া বিএনপি অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন তারা। এ সময় তিনি পরিকল্পিত এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সদর থানার ওসি মোহাম্মদ দাউদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।