চালু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর
অর্থনীতি ডেস্ক জাগরণ ডট নিউজ
আপডেট: ডিসেম্বর ১১, ২০১৯ ১৭:৫৯
চট্টগ্রামের মিরসরাই, সীতাকুণ্ড ও ফেনীর বিশাল এলাকা নিয়ে গড়ে ওঠা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে এরই মধ্যে উৎপাদন শুরু হবে বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী।
জানা গেছে, এক মাসের মধ্যে এ শিল্পনগরে পণ্য উৎপাদনে যাচ্ছে রাসায়নিক উৎপাদক চীনা কোম্পানি জেনিয়ান কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি। ১০ একর জমির ওপর নির্মিত কারখানায় জেনিয়ান শুরুতে লেড নাইট্রেট তৈরি করবে তারা। পরবর্তী ধাপে অন্য কেমিক্যাল প্রস্তুত করতে বিনিয়োগ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
চীনা এ কোম্পানি ছাড়াও শিগগিরই উৎপাদনে যাবে দেশী প্রতিষ্ঠান মডার্ন সিনটেক্স। টি কে গ্রুপের এ প্রতিষ্ঠান ২০ একর জমির ওপর কারখানা স্থাপনের জন্য ১৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। জার্মানির একটি গ্রুপের মাধ্যমে তাদের কারখানার নকশা তৈরি করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি পলিয়েস্টারের সুতা ও কাপড় তৈরির ভার্জিন চিপস উৎপাদন করবে। প্রতিদিন প্রায় ৪০০ টন উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
দৃশ্যমান হচ্ছে ৩০ হাজার একর জমির ওপর নির্মিতব্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর। মিরসরাই উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়নের সাধুরচর, শীলচর, মোশাররফচর ও পীরেরচর এলাকা, ফেনীর সোনাগাজী ও সীতাকুণ্ড অংশের চরাঞ্চলজুড়ে গড়ে উঠছে দেশের বৃহত্তম এ অর্থনৈতিক অঞ্চল। এরই মধ্যে ৫৫টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান জমি নিয়েছে। মাটি ভরাট করে প্রস্তুত করা হয়েছে দুই হাজার একর জমি।
জানা গেছে, ৭ হাজার ৭১৬ একর জমিতে ও সমুদ্রতীরবর্তী জেগে ওঠা ১৫ হাজার একর জমির মধ্যে চারটি মৌজায় ৬ হাজার ৩৯০ একর জায়গায় চলছে কর্মযজ্ঞ। চায়না হারবার কোম্পানির তত্ত্বাবধানে সেখানে নির্মিত হয়েছে অবকাঠামো, তৈরি হচ্ছে সড়ক যোগাযোগ। এরই মধ্যে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে তৈরি হয়েছে ১৯ কিলোমিটার পাকা সড়ক। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে মিরসরাই ইপিজেড পর্যন্ত নির্মাণ হচ্ছে চার লেনের আরো ১০ কিলোমিটার শেখ হাসিনা এভিনিউ। মেরিন ড্রাইভ সড়ক সংযুক্ত হচ্ছে এ অঞ্চলের সঙ্গে। সমুদ্র উপকূল ঘেঁষে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড, নৌবাহিনী ও চায়না হারবার কোম্পানি সাড়ে ১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণ করছে। কারখানায় পানি সরবরাহের জন্য দুই একর জমিতে তৈরি করা হবে জলাধার। সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে।
বেজা সূত্রে জানা গেছে, এ অঞ্চলে দেশী-বিদেশী শিল্পোদ্যোক্তাদের ৮৩ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব পাওয়া গেছে। সেখানে প্রায় দুই হাজার একর জমিতে বিনিয়োগ করতে চায় বসুন্ধরা, পিএইচপি, কেএসআরএম, বিএসআরএম, ঝেজিয়াং, কুনমিংসহ বিভিন্ন শিল্প গ্রুপ।