শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক জাগরণ ডট নিউজ
আপডেট: ডিসেম্বর ২১, ২০১৯ ১২:১৫
সুন্দরী নারীদের ফাঁদে পড়ে পাকিস্তানের চরবৃত্তির অভিযোগে ভারতীয় নৌবাহিনীর সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ। বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত বিশাখাপত্তনম, মুম্বাই এবং কর্নাটকের কারওয়ারে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের ডিজি গৌতম সোয়াগ।
পুলিশের এই ডিজি ইঙ্গিত দেন, একাধিক কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা, অন্ধ্র পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (এপিএসআইবি), নৌবাহিনীর গোয়েন্দা শাখার যৌথ অভিযানে এমন কিছু তথ্য উঠে এসেছে যার থেকে স্পষ্ট এই চক্রের শেকড় রয়েছে ভারতীয় নৌবহরের গভীর পর্যন্ত।
নৌবাহিনীর সাতজন ছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে ভাইজাগের এক ব্যবসায়ীকে, যে হুন্ডির সঙ্গে জড়িত। পুলিশের দাবি, ওই চর চক্রের সঙ্গে পাক গোয়েন্দা সংস্থার যোগ পাওয়া গেছে।
এই ‘ডলফিন নোজ’ অপারেশনের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেন, বেশ কয়েক মাস ধরেই আমরা খবর পাচ্ছিলাম পাক গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইনটেলিজেন্স (আইএসআই)-এর দুবাই মডিউল ভারতীয় নৌবাহিনী সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করছে। কিন্তু কোথা থেকে সেই তথ্য পাচ্ছে তা পাওয়া যাচ্ছিল না।
সূত্র জানায়, এর পরই গোয়েন্দারা একটি চক্রের সন্ধান পান যারা ওই দুবাই মডিউলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। সেই সূত্র ধরে অন্ধ্রপ্রদেশের এক ব্যাবসায়ীর হদিশ পান গোয়েন্দারা। এরপরই সাহায্য নেওয়া হয় এপিএসআইবি (অন্ধ্রপ্রদেশ স্পেশাল ইনটেলিজেন্স ব্র্যাঞ্চ) এবং নৌবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের। তদন্তে উঠে আসে সাত জনের সন্দেহজনক আচরণ।
এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সাত জনই ২০১৭ সালে নাবিক হিসেবে বাহিনীতে যোগ দেন। এখন পর্যন্ত জানা গেছে, এরা বাহিনীর নিয়ম ভেঙে ফেসবুকে অন্য নামে অ্যাকাউন্ট খোলেন। ২০১৮ সালে ফেসবুকের সূত্রেই ওই সাতজনের সঙ্গেই কথা হয় এক নারীর। ফেসবুকের মাধ্যমে বাড়তে থাকে ঘনিষ্ঠতা।
এরপরেই ওই নারী ভিডিও, অডিও এবং মেসেঞ্জারের সব চ্যাট ফাঁস করার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেল করা শুরু করেন অভিযুক্ত সাতজনকে। এদের মধ্যে তিনজন ভাইজাগে কর্মরত, দুজন মুম্বাই এবং বাকি দুজন কারওয়ারে। পরবর্তী সময়ে জানা গেছে, নারী একজন নন, তিনজন।
সূত্র জানায়, ওই সাত জনকেই ব্ল্যাকমেল করে ওই তিন নারী মূলত নৌবাহিনীর বিভিন্ন জাহাজের অবস্থান, সাবমেরিনের অবস্থান সংক্রান্ত খুঁটিনাটি তথ্য জেনে নিত। এরপর ওই নারীদের নির্দেশেই ওই সাতজন যোগাযোগ করে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তদন্তকারীদের ধারণা ব্যবসায়ী পরিচয় দেয়া ওই ব্যক্তি আসলে আইএসআইয়ের কোনো এজেন্ট। পরবর্তী সময়ে ওই এজেন্টকে যুদ্ধজাহাজের অবস্থান, গতিবিধি এবং সাবমেরিন সংক্রান্ত তথ্য দিত ওই সাতজন।
গ্রেফতাররা জেরায় দাবি করেছে, ওই তিন নারী তাদের ব্ল্যাকমেল করে টাকাও নিয়েছে। তবে তদন্তকারীদের দাবি, গ্রেফতাররা ওই তথ্যের বিনিময়ে আটক হুন্ডি অপারেটরের কাছ থেকে টাকা পেয়েছে তা গোপন করতেই পাল্টা টাকা দেয়ার কথা বলছে।
এক তদন্তকারী বলেন, বিশাখাপত্তনমের বিচ রোডে যে ব্যারাকে ওই চার অভিযুক্ত নাবিক থাকতেন, সেই বাড়ির নাম ডলফিন নোজ। সেই কারণেই অপারেশনের নাম দেয়া হয় ‘অপারেশন ডলফিন নোজ’।
তদন্তকারীরা দাবি করছেন, ওই সাতজন নয়, একইভাবে ওই নারীদের ‘হানি ট্র্যাপে’-র শিকার হয়েছেন নৌবাহিনীর আরও অনেক সদস্য। তাদের মধ্যে পদস্থ কর্মকর্তারাও রয়েছেন। তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুরো ঘটনায় সাতটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে অন্ধ্র পুলিশের পক্ষ থেকে। চর চক্রের পরবর্তী ধাপের তদন্তের দায়িত্ব নিতে পারে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ।
আফগানিস্তানের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ’র ভাই রোহুল্লাহ আজিজিকে হত্যার বিস্তারিত
আফগানিস্তানে বিক্ষোভের খবর সংগ্রহ ও ছবি তুলতে গিয়ে তালেবানের হাতে আটক, মারধর ও বিস্তারিত
খাদ্য সরবরাহ ও করোনভাইরাসের টিকাসহ আফগানিস্তানকে ২০ কোটি ইউয়ান (৩ কোটি ১০ লাখ ডলার) বিস্তারিত
ইন্দোনেশিয়ার বানতেন প্রদেশের এক কারাগারের জনাকীর্ণ একটি ব্লকে আগুন লেগে অন্তত ৪০ জনের বিস্তারিত
চলতি মাসের শুরুর দিকে পশ্চিমা-সমর্থিত সরকারকে বিতাড়িত করে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসা বিস্তারিত
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের বিমানবন্দরে ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বিস্তারিত
পশ্চিমা কয়েকটি দেশের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা যেতে না যেতে আফগানিস্তানের বিস্তারিত
আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে একটি বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এ বিস্তারিত
তালেবানের হাতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পতন হওয়ার পর ১০ দিন পার হয়েছে। সারাদেশের বিস্তারিত
© Copyright JAGORON.NEWS
Developed By Muktodhara Technology Limited