শিরোনাম
আজাহার ইসলাম, ইবি জাগরণ ডট নিউজ
আপডেট: ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯ ২১:৪৬
ভোর ৫ টা বেজে ১০ মিনিট। টুংটাং বেজে উঠলো মোবাইল ফোনের এলার্ম। অভ্যাসগত ভাবেই এলার্ম বন্ধ করে আবার ঘুমিয়ে পড়লাম।
ঠিক ১৫ মিনিট পর পাপ্পু ভাইয়ের ডাক। আজাহার, তাড়াতাড়ি উঠ। বাকিদের ও ডাক।
সাড়ে ৫ টা বাজে। ঘুমিয়েছিলাম রাঙামাটির ছাদ হিসেবে পরিচিত সাজেকের দু’টি রিসোর্টে প্রতি রুমে ৪/৫ জন করে।
সবাই দ্রুত উঠে রেডি হয়ে নিলাম। উদ্দেশ্য মেঘের বিচরণ দেখতে কংলাক পাহাড়।
সকাল ৬ টায় চান্দের গাড়িতে (জীপ) করে মেঘের সাথে সখ্যতা করতে যাবো সবাই।
আগের দিন বলা হয়েছিল কেউ গাড়ি মিস করলে তাকে রেখে যাওয়া হবে।
রেডি হয়ে রুম থেকে বেরিয়ে পড়লাম সবাই। রাস্তায় গাড়ির সামনে সবার সমাগম। উদ্দেশ্য কংলাক পাহাড়।
ড্রাইভার আসছে না। সবাই অস্থির, কখন যাবো মেঘের রাজ্যে বিচরণ করতে।
এদিকে কেউ একজন লক্ষ্য করলো রাস্তার ধার থেকে মেঘমালা দেখা যাচ্ছে। অনেকে আবার কোনভাবেই বিশ্বাস করছে না।
কেউ কেউ কুয়াশা বলে হাসা-হাসি করছে। একেকজন একেক ধরণের যুক্তি দিচ্ছে পক্ষে বিপক্ষে।
পাল্টাপাল্টি যুক্তি দিতে দিতেই ড্রাইভার আসলো। তখন ৬ টা বেজে ১৭ মিনিট। এদিকে কারো আর অপেক্ষা সইছে না।
উঠে পরলাম গাড়িতে মেঘের সাথে মিতালী করতে।
চান্দের গাড়ি (জীপ) চলল কংলাক পাহাড়ের উদ্যেশ্যে। কংলাক হচ্ছে সাজেকের সর্বোচ্চ চূড়া।
উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে, এই পাহাড়ের চূড়া ভূপৃষ্ঠ হতে ১ হাজার ৮০০ ফুট সুউচ্চ।
কংলাকে যাওয়ার পথে মিজোরাম সীমান্তের বড় বড় পাহাড়, উপজাতিদের জীবনযাপন, চারদিকে মেঘের আনাগোনা দৃষ্টি কেড়ে নেয়।
গাড়ি এসে থামলো পাহাড়ের নিচে। বাকি পথ হেঁটে উঠতে হবে। গাড়ি থেকে নেমে পাহাড়ি পথ বেয়ে সবার হাঁটা শুরু হলো। কেউ আবার ভিডিও করছে পাহাড়ি রাস্তা। একপর্যায়ে উঠে পড়লাম কংলাক পাহাড়ের চূড়ায়। যেখান থেকে মেঘমালার ভেসে বেড়ানোর মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করা যায়।
কংলাকের চূড়ায় উঠার সাথে সাথেই দৃশ্য উপভোগ করার পাশাপাশি অনেকে সেলফি, ছবি তোলা, ভিডিও করায় মেতে উঠেছে দৃশ্যটিকে ধারণ করতে। মন বলে, ‘আমি যদি পাখি হতাম, তবে মেঘের সাথে উড়ে বেড়াতে পারতাম।’
সূর্য উঠার সাথে সাথে যেন আরেক অপরূপ দৃশ্য হাজির। সুর্যের আলোয় মেঘমালা যেন নতুন সাজে সুসজ্জিত হয়ে উঠলো।
তুলার মতো ভেসে বেড়াচ্ছে মেঘ। পাহাড়ের গায়ে যেন আটকে যাচ্ছে। মেঘে ঢেকে যাচ্ছে পাহাড়।
আহা! কি মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।
সত্যি সত্যি মেঘের রাজ্যে হারিয়ে যেতে মন চায়। মন গেয়ে উঠে, ‘মন চায় মন চায়, যেদিকে চোখ যায়, সেদিকে যাবো হারিয়ে’।
হারানোর সপ্ন দেখতে দেখতেই সময় হয়ে এল ফিরে যাওয়ার।
কিন্তু ফিরে যেতে মন চায় না।
কবির ভাষায় ‘যেতে নাহি মন চায়, তবু চলে যেতে হয়।’
রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়েছে বিলুপ্ত প্রজাতির বিশাল এক ঢাই মাছ। পদ্মার ঘোলা বিস্তারিত
মার্কিন সেনাবাহিনীর আমন্ত্রণে দেশটিতে সরকারি সফরে যাচ্ছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান বিস্তারিত
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে ট্রাকচাপায় এক অটোরিকশাচালকসহ তিনজন বিস্তারিত
দলবেঁধে হাওর দেখতে যাওয়ার পথে ময়মনসিংহে ট্রাকচাপায় মটরসাইকেল আরোহী দুই বন্ধু নিহত বিস্তারিত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক নারীর মৃত্যু বিস্তারিত
গাবতলীর আমিনবাজার-আশুলিয়া নৌপথের আমিনবাজারে অবস্থিত পুরাতন লোহার বেইলি ব্রিজ ভেঙে বিস্তারিত
নওগাঁর মহাদেবপুরে স্বামীর পরকীয়ার জেরে ছেলেসহ স্ত্রী আত্মহনন করেছেন বলে জানা গেছে। বিস্তারিত
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সী-গার্ল পয়েন্টে গোসল করতে নেমে ভেসে যায় তিন বন্ধু। সেখান থেকে বিস্তারিত
রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় হানিফ ফ্লাইওভারে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ল্যাম্পপোস্টে বিস্তারিত
© Copyright JAGORON.NEWS
Developed By Muktodhara Technology Limited