শিরোনাম
ডেস্ক রিপোর্ট জাগরণ ডট নিউজ
আপডেট: মার্চ ২৬, ২০২০ ১৯:৫৮
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। আর বেগম জিয়ার চিকিৎসার সার্বিক তত্ত্বাবধান করছেন তার ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমান। আর চিকিৎসা করছে দলের গঠিত ৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড।
গতকাল দীর্ঘ ২৫ মাস পর মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন খালেদা জিয়া। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন তিনি। এজন্য তাকে বাসাতেই চিকিৎসা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তার বোন সেলিমা ইসলাম।
সেলিমা ইসলাম বলেন, উনা’র (খালেদা জিয়া) তো শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, কথা বলতে পারছেন না, উঠে দাঁড়াতে পারছেন না। হাঁটতে পারছেন না, বেশিক্ষণ বসে থাকতেও পারছেন না, গায়ে হাত দিলেই ব্যথা লাগছে তার। খাওয়া দাওয়াও করতে পারছেন না, খেলেই বমি হয়ে যাচ্ছে। মুভ করানোর মতো অবস্থা নাই। আর তারও মতামত বাসাতেই থাকবেন।
খালেদা জিয়ার জন্য দলের গঠিত মেডিকেল বোর্ড প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, অন্য যেসব চিকিৎসকরা আগে তাকে দেখতেন, তাদেরকে দিয়েই এই বোর্ড করা হয়েছে।
এদিকে খালেদা জিয়া আগামী ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে ফিরোজায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।
জাহিদ হোসেন বলেন, আপনারা গতকাল দেখেছেন যে, উনি (খালেদা জিয়া) অসুস্থ। কিন্তু গতকাল মুক্তি পাওয়ার পর (নিজের পরিবেশে আসার পর) উনি মানসিকভাবে যে অস্থিরতা ছিল, তা থেকে পরিত্রাণ পেয়েছেন। তবে উনা’র শারীরিক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা প্রয়োজন। কিন্তু যেহুত উনি ১৪দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন, সেহুত উনা’র শারীরিক অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা হোম কোয়ারেন্টিনের পরে করা হবে।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা হওয়ার পর সাংবাদিকদের জাহিদ বলেন, ম্যাডাম অসুস্থ। ম্যাডাম হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। আর উনাকে তার চিকিৎসকরা যেভাবে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন, উনি সেভাবেই আছেন।
তিনি জানান, উনাকে সার্বক্ষনিক ঔষধ দেয়ার জন্য এখানে নার্সরা আছেন। যারা কখনো বাইরে যান না। এই বাইরে উনি অন্য কারো সঙ্গে দেখা করছেন না। আর গতকাল উনা’র চিকিৎসকরা যেভাবে বলেছেন, উনি সেভাবেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে বন্দি হন খালেদা জিয়া। প্রথমে পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হলেও গত বছর ১ এপ্রিল থেকে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। অর্থাৎ প্রায় ১১ মাস ধরে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৫ মার্চ তিনি মুক্তি পেয়েছেন।
মুক্তি পাওয়ার পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজধানীর গুলশান ২ নম্বরের ৭৯ নম্বর সড়কের ‘ফিরোজা’ নিজ বাড়িতে উঠেন। বর্তমানে তিনি ফিরোজাতেই রয়েছেন।
অন্যদিকে ২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারির পর দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পরের বছর প্যারোলে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান। এরপর থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। আর তারেক রহমানের সঙ্গে তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানও বর্তমানে লন্ডনে আছেন।
ফায়ার সার্ভিসের লোকবল ১৬ হাজার থেকে ২৫ হাজারে উন্নীত করার জন্য এর সাংগঠনিক কাঠামো বিস্তারিত
আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির পক্ষ থেকে চারটি শর্ত তোলা হয়েছে। দলীয় সরকারের বিস্তারিত
কুমিল্লা- ৭ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিস্তারিত
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্পর্কে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বিস্তারিত
''অন্ধ সমালোচনা আর বিষোদগারের রাজনীতি বিএনপির জন্য ফ্রাংকেনস্টাইন হয়ে নিজেদেরই আঘাত বিস্তারিত
পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে সংসদীয় কার্যক্রম সম্পর্কে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রতি বিস্তারিত
বিএনপির আন্দোলনের হাঁকডাককে আন্দোলন-বিলাস মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিস্তারিত
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন বিস্তারিত
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে বিস্তারিত
© Copyright JAGORON.NEWS
Developed By Muktodhara Technology Limited