চট্টগ্রামে পোশাককর্মী, ব্যাংককর্মী ও গৃহিনী করোনায় আক্রান্ত; ৮ বাড়ি এবং ৩ দোকান লকডাউন

নিজস্ব প্রতিবেদক জাগরণ ডট নিউজ

আপডেট: এপ্রিল ১০, ২০২০ ০১:২০

চট্টগ্রামে পোশাক শ্রমিক ও ব্যাংকারসহ আরও তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। হালিশহর, পাহাড়তলী ও সীতাকুণ্ডের আটটি বাড়ি ও তিনটি দোকান লকডাউন।


এ নিয়ে বন্দরনগরীতে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচজনে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার গতকাল বুধবার রাতে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

ডা. হাসান শাহরিয়ার জানান, গতকাল বুধবার মোট ৬০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে তিনজনের করোনাভাইরাস পজেটিভ এসেছে। ওই তিনজন নগরীর সাগরিকা, হালিশহর ও সীতাকুণ্ড এলাকার বাসিন্দা। তাদের বয়স ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।

জানা গেছে, আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে একজন নারী। হালিশহর শাপলা আবাসিকের আল্লাহর দান মঞ্জিলের বাসিন্দা হাসিনা বেগম করোনাভাইরাস পজেটিভ, তার বয়স ৪০। তিনি একজন গৃহিনী। তার স্বামী কামাল হোসেন আগ্রাবাদস্থ হোটেল সেন্টমার্টিনে লন্ড্রিতে কাজ করেন। হাসিনা বেগম এখন আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।  


দ্বিতীয়জন সাগরিকা রোডে হাক্কানী পেট্রোল পাম্পের বিপরীতে ফারুক ভবনের বাসিন্দা মোঃ ওমর আলী, তার বয়স ৪৫। তিনি আকবর শাহ থানাধীন মোস্তফা হাকিম কলেজের পাশে গার্ডেক্স গার্মেন্টসে কাজ করেন। তার গ্রামের বাড়ী পশ্চিম পটিয়ার কুলাগাও গ্রামে। ওমর আলীও আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।  


তৃতীয়জন সীতাকুণ্ড পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর বাজার গোডাউন রোড এলাকার বাসিন্দা মোঃ আনোয়ার হোসেন, তার বয়স ৫০। তিনি নারায়ণগঞ্জে কমার্স ব্যাংকের সদর শাখায় সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করেন। তার গ্রামের বাড়ী সন্দ্বীপের বাউরিয়া গ্রামে।

এদিকে তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পরপরই বুধবার দিবাগত রাতে প্রশাসন হালিশহর, পাহাড়তলী ও সীতাকুণ্ডের আটটি বাড়ি ও তিনটি দোকান লকডাউন করে দিয়েছে।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বুধবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে এবং আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২১৮ জন।