শিরোনাম

যে কারণে গার্মেন্ট মালিকের মৃত্যু ও কুয়েত মৈত্রীর ৬ চিকিৎসক বরখাস্ত

অনলাইন ডেস্ক জাগরণ ডট নিউজ

আপডেট: এপ্রিল ১২, ২০২০ ১১:৪২

image করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সেবার জন্য সরকার রাজধানীর উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালকে নির্ধারণ করেছে। তবে ৬ জন চিকিৎসক কর্মস্থলে উপস্থিত না থাকায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে এ হাসপাতালে একজন গার্মেন্ট ব্যবসায়ী মারা গেছেন। তার চিকিৎসার বিষয়ে গাফিলতির অভিযোগ করেছেন ঘনিষ্ট একজন ব্যবসায়ী। তিনি নিজের ফেসবুক পেজে এ নিয়ে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. বেলাল হোসেন শনিবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চিকিৎসকদের বরখাস্তের আদেশ প্রদান করেন। গত বৃহস্পতিবার হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের প্রদান করা রিপোর্টের ভিত্তিতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বরখাস্ত চিকিৎসকরা হলেন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেস্থেসিওলজি) ডা. হীরস্ব চন্দ্র রায়, মেডিকেল অফিসার ডা. ফারহানা হাসানাত, মেডিকেল অফিসার ডা. ঊর্মি পারভিন, মেডিকেল অফিসার ডা. কাওসার উল্লাহ, জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. শারমীন হোসেন এবং আরপি ডা. মুহাম্মদ ফজলুল হক।

এদের মধ্যে ডা. শারমিন এবং ডা. ফজলুল জানিয়েছিলেন, করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী দেখতে তারা ইচ্ছুক নয়। এছাড়া অন্যরা গত দেড় থেকে ২ মাস ধরে হাসপাতালে অনুপস্থিত রয়েছেন।

ফেসবুকে ওই ব্যবসায়ী লিখেছেন, তসলিম ভাই মারা গেছেন। হ্যাঁ, প্রিন্স গার্মেন্টসের চেয়ারম্যান তসলিম ভাই। আমার শুরুর দিকের ব্যাংকিংয়ে ওনার সাথে পরিচয়। আমরা যে ভবনে ব্যাংকিং করতাম সেই ভবনের নাম ও প্রিন্স প্লাজা, ওনারই মালিকানা ছিলো। উনার দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুর পর আজ কথা হলো উনার ছোট ভাইয়ের সাথে। যা শুনলাম তাতে আমি স্তম্ভিত!! আমি হতভম্ব! আমি ক্ষুদ্ধ! আমি যা লিখছি তার কোনোটাই আমার বক্তব্য নয়।পুরোটাই উনার ছোট ভাইয়ের বক্তব্য। তসলিম ভাই অসুস্থতা অনুভব করলে (দুর্বলতা, ৯৯/১০০ জ্বর,পা ব্যাথা) প্রাথমিকভাবে ভর্তি হয়েছিলেন পুরাতন ঢাকার আজগর আলি হাসপাতালে। ওখানে বিভিন্ন টেস্ট করার পর কিছু না পাওয়ায় উনারাই বলেন কোভিড-১৯ টেস্ট করে দেখতে। পরে এপ্রিলের ৬ তারিখ আজগর আলি হাসপাতালে নমুনা নিয়ে পাঠানো হয় আইইডিসিআরে, ৭ তারিখ আজগর আলি থেকে জানানো হয় উনার কোভিড-১৯ পজিটিভ এসেছে।এই হাসপাতালে চিকিৎসা করা যাবেনা। কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে যেনো যায় উনারা (আজগর আলি সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীরা কি কোয়ারেন্টিনে আছেন? নিউজ চোখে পড়েনি)। কুয়েত মৈত্রীতে যোগাযোগ করার পর তসলিম ভাইয়ের পরিবার প্রথম দিন, অর্থ্যাৎ ৭ তারিখে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করাননি। ভর্তি করিয়েছে ৮ তারিখ দুপুরে। উল্লেখ্য উনার ডায়াবেটিস, প্রেসার সমস্যাসহ অন্য কিছু শারিরিক সমস্যা আগে থেকেই ছিলো। যাই হোক, তসলিম ভাইয়ের কাছে ফোন ছিলো যখন উনাকে ভর্তি করানো হয় কুয়েত মৈত্রীতে। উনি ভর্তি হয়েছেন দুপুর ২ টায়।

আগেই উল্লেখ করেছি তসলিম ভাইয়ের ডায়াবেটিস ছিলো। সেটা কুয়েত মৈত্রীকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে উনাকে রাত অব্দি কোনো খাবার সরবরাহ করা হয়নি, কোনো ডাক্তার ও উনাকে দেখতে যাননি। রাত ১০ টার পর উনার বাসা থেকে খাবার সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ছোট ভাই। আমরা সবাই জানি একজন ডায়াবেটিস রোগী সঠিক সময়ে খাবার গ্রহণ না করলে সুগার ফল করে বিপদ ঘটাতে পারে কিন্তু সকাল ৯ টায় (৯ তারিখ) যখন উনার ছোট ভাইয়ের সাথে উনার কথা হয় তখন তসলিম ভাই জানান যে উনাকে কোনো ডাক্তার দেখতে আসেন নাই। কোনো ঔষধ ও দেননি। সেই ফোনের পর থেকে, খেয়াল করুন সকাল ৯ টা, ৯ এপ্রিলের পর থেকে উনি কোনো ফোন রিসিভ করেননি বা কাউকে ফোন দেননি (পরিবারের)। এটা নোটিশ করার পর পরিবারের পক্ষ থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হয় সকাল ১০ টায়। জানানো হয়, ডাক্তারের ভিজিট চলছে হয়তো তাই ফোন ধরছে না। এক ঘণ্টা পর যোগাযোগ করুন।

পরে বারোটা বা সাড়ে বারোটায় জানানো হয় উনাকে অচেতন অবস্থায় ফ্লোরে পাওয়া গেছে এবং উনার চিকিৎসা চলছে। এদিকে পরিবার উৎকন্ঠা নিয়ে বারেবারে যোগাযোগের চেষ্টা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে। এই চেষ্টার মধ্যে বিকাল ৩ টায় উনারা জানতে পারেন যে তসলিম ভাইকে ফ্লোরে নয় পাওয়া গেছে একটা বাথরুমের দরজা বন্ধ অবস্থায় এবং দরজা কেটে উনাকে বের করার ও চেষ্টা করা হচ্ছে। খেয়াল করুন এর আগে ১২ টা নাগাদ জানানো হয়েছে ফ্লোরে পাওয়া গিয়েছে এবং চিকিৎসা চলছে,আর ৩ টায় জানাচ্ছে বাথরুম থেকে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বলা বাহুল্য তসলিম ভাইকে মৃত অবস্থায় বের করা হয় বাথরুম থেকে। একজন ডায়াবেটিস রোগী যিনি সঠিক চিকিৎসা দূরে থাকুক সঠিক সময়ে খাবারই পাননি আমাদের এক্সক্লুসিভ কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে। কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীরা এই অমানবিক পরিবেশে কিভাবে সারভাইভ করবে। ইতালির হাসপাতালের চিত্র আমরা আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় দেখেছি,আমাদের হাসপাতালে কি মিডিয়া ঢুকতে দেবে? বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী যে পালিয়ে যাচ্ছে, এই খাদ্যহীন, চিকিৎসাহীন পড়ে থাকা কি কোনোভাবে দায়ী না? প্লিজ সবাই সাবধান হউন। প্লিজ বেরোবেন না ঘর থেকে। এই মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হলে চিকিৎসা পাবেন না,পরিবার পাবেন না, লাশ নিতে ও কেউ আসবে না পরিবারের।

এদিকে চিকিৎসকদের বরখাস্তের এক আদেশে বলা হয়, কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের টেলিফোনিক নির্দেশে সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ধারা ১২ মোতাবেক সাময়িক বরখাস্ত করা হল।

অপর এক আদেশে বলা হয়, রোগীদের চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে অনিচ্ছা প্রকাশ করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের টেলিফোনিক নির্দেশে সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ধারা ১২ মোতাবেক জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. শারমিন হোসেন এবং আবাসিক চিকিৎসক ডা. মুহাম্মদ ফজলুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হল।

আদেশে আরও বলা হয়, এই আদেশে মহাপরিচালকের অনুমোদন রয়েছে এবং এই আদেশ জারির তারিখ থেকে কার্যকর হবে।



তথ্যসূত্রঃ পূর্বপশ্চিম

image
image

রিলেটেড নিউজ


করোনায় আরও ৪৮ জনের মৃত্যু, শনাক্তের হার ৭.০৩

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বিস্তারিত


তিন মাসের মধ্যে করোনায় সর্বনিম্ন মৃত্যু

    গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা তিন মাসের বিস্তারিত


আরও ৫৮ জনের মৃত্যু, শনাক্তের হার ৮.৭৬

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত করোনায় মোট বিস্তারিত


করোনায় আরও ৫২ জনের মৃত্যু, শনাক্তের হার ৯.০৭

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত করোনায় মোট বিস্তারিত


দেশে পৌঁছেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ছয় লাখ ডোজ টিকা

কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় বাংলাদেশেকে দেওয়া ছয় লাখ ৩৪ হাজার ৯ শ’ ডোজ টিকা দেশে বিস্তারিত


আরও ১১৭ জনের মৃত্যু, শনাক্তের হার ১২.৭৮

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৭ জন মারা গেছেন। ফলে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বিস্তারিত


৫৮ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন ১০২ জনের মৃত্যু

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০২ জন মারা গেছেন। এটি গত ৫৮ দিনের মধ্যে বিস্তারিত


করোনায় আজও ১১৪ জনের মৃত্যু

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৪ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বিস্তারিত


গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু ৭ সেপ্টেম্বর: স্বাস্থ্য ডিজি 

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশে অনুষ্ঠিত ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইনে বিস্তারিত


image
image

নামাজের সময়সূচি

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত

এক ক্লিকে বিভাগীয় খবর

আবহাওয়া

ক্যালেন্ডার

March 2017
M T W T F S S

চট্টগ্রাম বন্দরের সিডিউল

বিমান বন্দরের সিডিউল


Cities_image
Cities_image

জোয়ার ভাটা

Cities_image