শিরোনাম

ফাঁসির আগে খুনি মাজেদ যে ভঙ্ককর অজানা সব তথ্য দেন

অনলাইন ডেস্ক জাগরণ ডট নিউজ

আপডেট: এপ্রিল ১৯, ২০২০ ১১:৫১

image সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ ফাঁসি কার্যকর হওয়ার আগে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। দীর্ঘ সময় ধরে গোয়েন্দাদের নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে ঘটনার আদ্যোপান্তসহ অনেক অজানা তথ্য। যেখানে এমন অনেক বিষয় আছে, যা আগে কোনোদিন কারও জানা ছিল না। তার জিজ্ঞাসাবাদের পুরো বক্তব্য অডিও-ভিডিও আকারে ধারণ করা হয়েছে; যার ওপর ভিত্তি করে বিশেষ ডুকুমেন্টারি তৈরি করা হচ্ছে। তাকে গ্রেফতারের সঙ্গে প্রথম থেকে যুক্ত থাকা সংশ্লিষ্ট উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তা জবানবন্দি নিয়ে বই লেখার কাজেও হাত দিয়েছেন।

এছাড়া খুনি মাজেদের বক্তব্য যাচাই-বাছাই করতে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ চলমান রয়েছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রটি জানিয়েছে, পুরো প্রক্রিয়া শেষ হলে এটি জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে; যা হবে ইতিহাসের বড় একটি দলিল। ইতোমধ্যে সরকারের উচ্চপর্যায়কে সবিস্তারে জানানো হয়েছে।

সূত্র বলছে, জিজ্ঞাসাবাদে মাজেদ অভাবনীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরিকল্পনা থেকে পরবর্তী সময়গুলোর ধারাবাহিক বর্ণনা দেন মাজেদ। এমনকি পলাতক জীবনে বাংলাদেশ থেকে কারা কীভাবে তাকে সহায়তা দেয়াসহ ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করেছেন, তাদের নাম-পরিচয়ও তিনি অকপটে স্বীকার করেন। তবে মাজেদের স্বীকারোক্তি ও জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত অতি গোপনীয় এবং স্পর্শকাতর হওয়ায় এখনই তা জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে না। অধিকতর যাচাই-বাছাইসহ আরও কিছু কাজ সম্পন্ন করার পর যথাসময়ে তা প্রকাশ করা হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জিজ্ঞাসাবাদ সংশ্লিষ্ট একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, ১৫ আগস্ট কিলিং মিশন বাস্তবায়নের বহু আগে থেকেই আবদুল মাজেদ ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে যাতায়াত করতেন। সেরনিয়াবাদের ছোট ছেলে নাসেরের সঙ্গে বাড়ির লনে নিয়মিত ব্যাডমিন্টন খেলতেন। এ কারণে খুনি চক্র মাজেদকে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি রেকি করার বিশেষ দায়িত্ব দেয়। ব্যাডমিন্টন খেলার ছলে তিনি বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যসহ বাড়ির লোকজনের ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখতেন।

জিজ্ঞাসাবাদ সূত্র জানায়, মাজেদ মূলত ভারতে আত্মগোপনে থাকলেও বছরের বড় একটা সময় থাকতেন ইউরোপ-আমেরিকায়। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইয়ো অঙ্গরাজ্যে ছেলের বাড়িতে তার দীর্ঘ সময় কাটে। আমেরিকায় বসবাসকারী মাজেদের ছেলের নাম রিফাত মোরশেদ চৌধুরী। তিনি সেখানকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষণা করছেন। রিফাত চৌধুরী আমেরিকা যাওয়ার আগে বাংলাদেশ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে (ইইই) স্নাতক ডিগ্রি নেন। কিন্তু বুয়েটে পড়াকালীন কেউই তার পিতার পরিচয় জানতে পারেননি। জার্মানি, ফ্রান্স ও লিবিয়াতেও তিনি আত্মগোপনে ছিলেন দীর্ঘদিন।

সূত্র জানায়, মাজেদের চার মেয়ের মধ্যে একজন পেশায় চিকিৎসক। তিনি বর্তমানে ঢাকাতেই থাকেন। চাকরি করেন মিরপুরে একটি বেসরকারি সংস্থায়। তার স্বামীও ডাক্তার। কর্মরত আছেন মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে। মাজেদের ডাক্তার জামাইয়ের সঙ্গে বুধবার মুঠোফোনে যুগান্তর প্রতিবেদকের কথা হয়। এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রেম করে বিয়ে করেছেন। তার স্ত্রীর বাবা যে বঙ্গবন্ধুর খুনি ছিলেন তা তিনি আগে জানতেন না। পরে যখন জেনেছেন, তখন শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন।’

সূত্র জানায়, মাজেদ শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নয়, কারাগারে চার নেতা হত্যার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। এ দুটি ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডে তিনি সঙ্গী হিসেবে পান আরেক পলাতক খুনি রিসালদার মোসলেহ উদ্দিনকে। বিদেশে আত্মগোপনে থাকার সময় রিসালদার মোসলেহ উদ্দিনের সঙ্গেও মাজেদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। মাজেদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মোসলেহ উদ্দিনের খোঁজে ব্যাপক অনুসন্ধান তৎপরতা চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। ইতোমধ্যে মোসলেহ উদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। রিসালদার মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে সাজিদুল ইসলাম খান বর্তমানে নরসিংদীতে বসবাস করেন। তিনি যুগান্তরকে বলেন, বহু বছর ধরে পরিবারের সঙ্গে তার বাবার কোনো ধরনের যোগাযোগ নেই। তিনি বেঁচে আছেন কিনা তাও তারা জানেন না।

মাজেদের সন্ধান ও পরবর্তী গ্রেফতার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে বিষয়টির সঙ্গে শুরু থেকে সংশ্লিষ্ট একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, গত বছরের জুন-জুলাইয়ের দিকে ইউরোপের একটি দেশে তার (মাজেদ) অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর আমেরিকায় ছেলের বাড়িতে মাজেদের অবস্থানের বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত হন গোয়েন্দারা। মূলত আমেরিকা থেকেই তার ওপর নিবিড় নজরদারি শুরু হয়। একপর্যায়ে ভারতের কলকাতায় তার অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়। এরপরই তাকে গ্রেফতারের জন্য কঠোর গোপনীয়তায় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ ও গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু হয়। ভারতের গ্রিন সিগন্যাল পাওয়ার পরই কলকাতায় হাজির হয় বাংলাদেশের একটি চৌকস গোয়েন্দা প্রতিনিধি দল। তারাই মাজেদকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসে।

সূত্র বলছে, মাজেদের গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে বই লেখা শেষ হলেই পুরো বিষয়টি প্রকাশ করা হবে। তখন বঙ্গবন্ধু হত্যকাণ্ডের অনেক অজানা চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা যাবে। মুখোশ উন্মোচিত হবে ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডদের। সূত্র: যুগান্তর।

image
image

রিলেটেড নিউজ


চলন্ত ট্রেনে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা ‘ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায়’: র‌্যাব

ঢাকা থেকে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেনে দুজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় বিস্তারিত


গোলাপীর হাত-পা বেঁধে নির্জন চরে ফেলে এলেন স্বামী!

সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে নিজের স্ত্রীকে হাত-পা বেঁধে নির্জন চরের কাশবনে ফেলে দিয়েছেন বিস্তারিত


নোয়াখালীতে প্রকাশ্যে গুলি ছোড়া ছাত্রলীগ নেতাসহ চার অস্ত্রধারী গ্রেপ্তার

নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলা ও ধাওয়ার সময় অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি বিস্তারিত


সিআইডির বরখাস্ত এসআই আকসাদুর ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার

ঢাকার বিমানবন্দর এলাকায় গত বছর একটি আলোচিত ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সিআইডির বিস্তারিত


মাকে নির্যাতন, ‘ছেলের দায়ের কোপে’ প্রাণ গেল বাবার

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় মাকে নির্যাতন করায় ছেলে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে বিস্তারিত


একটি চক্রই ছিনতাই করেছে শতাধিক গাড়ি! 

নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ গাড়ি ছিনতাই চক্রের মূল হোতাসহ পাঁচ বিস্তারিত


অন্যের ছবি দেখিয়ে পাত্রী চাই বিজ্ঞাপন, যুবক গ্রেফতার

র‌্যাংকস এফসি প্রোপার্টিস লিমিটেডের সিইও প্রকৌশলী তানভীর শাহরিয়ার রিমনের ছবি ব্যবহার বিস্তারিত


স্বামীকে খুন করলেন নিজেই, সংবাদ সম্মেলনে চাইলেন বিচfর

প্রায় পাঁচ মাস আগে (২৭ মার্চ) নিজ কক্ষে এক ক্যাবল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় বিস্তারিত


পাবজি, ফ্রি ফায়ার বন্ধে বিটিআরসির কার্যক্রম শুরু

পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ক্ষতিকর অনলাইন গেমস দেশে বন্ধ করতে কার্যক্রম গ্রহণের পাশাপাশি বিস্তারিত


image
image

নামাজের সময়সূচি

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত

এক ক্লিকে বিভাগীয় খবর

আবহাওয়া

ক্যালেন্ডার

March 2017
M T W T F S S

চট্টগ্রাম বন্দরের সিডিউল

বিমান বন্দরের সিডিউল


Cities_image
Cities_image

জোয়ার ভাটা

Cities_image