শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক জাগরণ ডট নিউজ
আপডেট: মে ৭, ২০২০ ২২:০০
করোনাভাইরাস সংক্রমণ সংক্রান্ত সরকারি তথ্য-উপাত্ত সঠিক নয় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (৭ মে) দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা (পিপিই) প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারের তরফ থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, অসুস্থ, সুস্থ এবং মৃত্যু সম্পর্কে যে ডাটাগুলো দেওয়া হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষ তা বিশ্বাস করে না। সংক্রামণ যখন বাড়ছে, তখন মৃত্যু ২/৩/৪ এ এসে পৌঁছাছে। অথচ সেদিনই ঢাকা মেডিকেল কলেজের পরিচালক বলেছেন, আমার এখানে ৩১ জন মারা গেছেন, কয়েকজনের ডায়গোনেসিস হয়েছে করোনা পজেটিভ, বাকিদের আমরা এখন পর্যন্ত টেস্ট করিনি।’
‘এটাকে কী সরকার বলবেন আপনারা? যাদের এতোটুকু দায়িত্ববোধ নেই্, যারা চরম দুর্দিনেও জনগণকে সঠিক তথ্য দিচ্ছে না, জনগণকে বিভ্রান্ত করছে, জনগণকে প্রতারণা করছে। এটা ক্রিমিনাল অফেন্স ছাড়া কী বলব আমরা?’— প্রশ্ন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের।
তিনি বলেন, ‘আজ প্রশ্ন হচ্ছে জীবনের! আর এরা খুলে দিয়েছে শপিং মল। কেনো? ঈদের বাজার করতে হবে আর অর্থনীতিকে চালু রাখতে হবে। এতোদিন কী করলেন? এই যে মধ্য আয়ের দেশে চলে গেলেন, অর্থনীতি আপনার রোল মডেল বিশ্বের মধ্যে। বর্তমান অবস্থাকে ধারণ করার মতো শক্তি এই ইকোনমির তৈরি হয়নি কেন? কারণ, আপনারা পুরোটাই মিথ্যা কথা বলেছেন, মানুষকে প্রতারণা করেছেন, ভুল বুঝিয়েছেন।’
ফখরুল বলেন, ‘আমরা খুব পরিস্কারভাবে বলতে চাই, আপনারা ব্যর্থ হয়েছেন। যখন স্বাভাবিক অবস্থা ছিলো তখন ব্যর্থ হয়েছেন, আজ যখন যুদ্ধাবস্থা চলছে, চরম দুযোর্গ-মহামারি চলছে, সেই সময়ও রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছেন। আমরা যখন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি তখন আপনি সেটাকে নাকচ করে দিয়ে বলেছেন যে, কোনো দরকার নেই।’
তিনি বলেন, ‘এই যে ভয়াবহ পরিণতির দিকে তারা (সরকার) গোটা জাতিকে ঠেলে দিচ্ছেন, এটা আসলে ক্ষমাহীন অপরাধ। আমি তো মনে করি, দিস ইজ এ ক্রিমিনাল অফেন্স। এই ধরনের ভুল, এটা ভুল নয়, এগুলো হচ্ছে ক্রিমিনাল অফেন্স। এদেশের মালিক হচ্ছে জনগণ। জীবনের অধিকার তাদের ফান্ডামেন্টাল রাইট টু লিভ। সেই জায়গায় তারা আঘাত করছেন অর্থাৎ ইউ হেভ নট রাইট টু লিভ টু ডায়িং। কিচ্ছু যায় আসে না। অবস্থাটা আজকে সেরকম হয়ে গেছে।’
গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ পরিবেশ করছেন। কিন্তু তাদের অবস্থাটা কী? বিভিন্ন জায়গায় ছাটাই হচ্ছে, অনেক প্রতিষ্ঠানে বেতন বন্ধ হয়ে আছে তিন মাস যাবত। সেখানে সরকারের কোনো প্রণোদনা নেই। সরকার ৯৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছে, সেই প্রণোদনাতে সাংবাদিকদের কথা কিছুই বলা নেই।’
‘আমি আহ্বান জানাবো, সংবাদ মাধ্যমের যারা মালিক আছেন তারা দয়া করে সংবাদ কর্মীদের বেতন পরিশোধ করবেন, কাউকে চাকুরিচ্যুত করবেন না এই দুর্দিনে এবং তাদের প্রতি সহানুভুতিশীল হবেন। সরকারের প্রতি পরিস্কার আহবান, অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত সকল সাংবাদিককে মুক্তি দিন’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সহ-সভাপতি রাশেদুল হক বক্তব্য রাখেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর হেলাল উদ্দিন, বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেসউইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান, আতিকুর রহমান রুমন প্রমুখ।
ফায়ার সার্ভিসের লোকবল ১৬ হাজার থেকে ২৫ হাজারে উন্নীত করার জন্য এর সাংগঠনিক কাঠামো বিস্তারিত
আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির পক্ষ থেকে চারটি শর্ত তোলা হয়েছে। দলীয় সরকারের বিস্তারিত
কুমিল্লা- ৭ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিস্তারিত
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্পর্কে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বিস্তারিত
''অন্ধ সমালোচনা আর বিষোদগারের রাজনীতি বিএনপির জন্য ফ্রাংকেনস্টাইন হয়ে নিজেদেরই আঘাত বিস্তারিত
পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে সংসদীয় কার্যক্রম সম্পর্কে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রতি বিস্তারিত
বিএনপির আন্দোলনের হাঁকডাককে আন্দোলন-বিলাস মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিস্তারিত
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন বিস্তারিত
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে বিস্তারিত
© Copyright JAGORON.NEWS
Developed By Muktodhara Technology Limited