শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক জাগরণ ডট নিউজ
আপডেট: মে ২৩, ২০২০ ০১:০১
নাফিসা উমর। কাশ্মিরের এক মেয়ে। যার একটি দোয়ার (প্রার্থনা) কথা উল্লেখ করেছেন ভারতীয় সাংবাদিক অরবিন্দ মিশ্র। কাশ্মিরে দীর্ঘ সাতমাস লকডাউনের সময় দেশে-বিদেশে নানা কথা উঠছিলো। ওই সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকজন সাংসদকে কাশ্মির পরিদর্শন করানো হয়। এর আয়োজন ও ব্যবস্থা করে ভারত স’রকার। সেই পরিদর্শকদলের সঙ্গে থাকার অনুমতি দেয়া হয় কয়েকজন বাছাই করা সাংবাদিককে, যাতে রিপোর্টিং করা হলেও সরকারের প্রতিকূলে না যায়।
সাংবাদিকদের মধ্যে ছিলেন ইকোনমিক টাইমসের অরবিন্দ মিশ্র। কয়েকদিন আগে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ওই কাশ্মির ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি পোস্ট করেন, যেটি ভাইরাল হয়। শ্রীনগরের এক গলির মুখে একটি বাড়ির জানালায় দেখতে পাই এক পর্দানশীন মেয়েকে। মেয়েটি আওয়াজ দিতে আমি থেমে যাই। আমাকে দেখে বলেন, ভাই! আপনি বিলালেরবন্ধু, দিল্লিতে থাকেন, তাই না? আমি বললাম, হ্যাঁ। তখন মেয়েটি বললেন, বিলাল আপনার খুব প্রশংসা করে। বলে, আপনি মানুষের দুঃখ বোঝেন।
আমি নাফিসা উমর। বিলালের ফুফাতো বোন। সময়ের স্বল্পতা বুঝে মেয়েটি তাড়াহুড়ো করে যে কথাগুলো বলেছিলেন, তার সেই কথাগুলো শুনে আমি কয়েকদিন ঘুমাতে পারিনি। আর সেই কথাগুলো আজ আপনাদের কাছে বলাটা জরুরি মনে করছি।
নাফিসা বলেছিলেন,’যদি কোনো জায়গায় লাগাতার সাত মাস ধরে কারফিউ চলে, বাড়ি থেকে বের হওয়া দূরের কথা, বাইরে উঁকি দেওয়াও কঠিন হয়, এলাকাজুড়ে ৮-৯ লক্ষ সেনা মোতায়েন থাকে, ইন্টারনেট বন্ধ থাকে, মোবাইল বন্ধ থাকে, ল্যান্ডলাইন ফোনও বন্ধ থাকে, বাড়ি বাড়ি থেকে শিশু-যুবক-বৃদ্ধসহ হাজারো বেকসুরদের গ্রেপ্তার হতেই থাকে, ছোট-বড় সমস্ত নেতাদের জেলবন্দি করা হয়ে থাকে, স্কুল-কলেজ-দপ্তর সব বন্ধ থাকে, তাহলে কীভাবে বেঁচে থাকতে পারে মানুষ? তাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা কী হবে? অসুস্থদের অবস্থা কী হবে? এসব কথা ভাবার মতো কেউ নেই। যদি এলাকার জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষ অবসাদে ভুগতে ভুগতে মানসিক অসুস্থতার শিকার হয়ে পড়ে, বাচ্চারা আতঙ্কিত হয়ে থাকে, ভবিষ্যৎ থাকে অন্ধকারে, নির্যাতন-নিপীড়ন চরমে পৌঁছয়, আলোর কোনো রেখা দেখা না যায়, অবস্থা ভালো করার মতো কেউ যদি না থাকে এবং গোটা দুনিয়া চুপচাপ তামাশা দেখতে থাকে! নাফিসা এরপর কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমরা সব সহ্য করছি। যথেষ্ট সহ্য করছি। কিন্তু ওই সময় অন্তর কেঁদে ওঠে, মনটা বড়ো ছটফট করে, যখন শুনতে হয়, ওদিকের কিছু লোক বলে, ‘ভালোই হয়েছে, ওদের সঙ্গে এরকমই হওয়া দরকার ছিল!
তবুও আমরা ওদের জন্য, কিংবা অন্য কারোর জন্যেও, কখনো বদদোয়া করিনি, অভিশাপ দিইনি। কারোর খা’রাপ চাইনি। শুধু একটাই দোয়া/প্রার্থনা করেছি, যাতে সমস্ত মানুষ এবং গোটা দুনিয়া আমাদের অবস্থা কিছুটা হলেও অনুভব করতে পারে। অরবিন্দ ভাইয়া, আপনি দেখে নেবেন, আমার প্রার্থনা খুব শীঘ্রই মঞ্জুর হবে।এবার আমি জানতে চাইলাম, আপনি কী প্রার্থনা করেছেন, বোন? তখন নাফিসা ডুকরে কাঁদতে কাঁদতে চিৎকার করে যা বলেছিলেন- আমার কানে অনেকদিন বেজেছে- এবং এখন চোখের সামনে দেখতেও পাচ্ছি। তার ব্যথা অনুভব করার চেষ্টা করবেন, হুবহু তার কথাগুলোই তুলে ধরছি।
ইয়া আল্লাহ! যাকিছু আমাদের ওপর হচ্ছে তা যেন অন্য কারোর উপর না হয়, শুধু তুমি এমন একটা কিছু করে দাও যাতে গোটা পৃথিবী কিছুদিনের জন্য নিজেদের ঘরে বন্দি হয়ে থাকতে বাধ্য হয়, সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়, থেমে যায়। তাহলে হয়তো দুনিয়া এটা অনুভব করতে পারবে যে, আমরা বেঁচে আছি কেমন করে! আজ আমরা সবাই যে যার ঘরে বন্দি। আমার কানে নাফিসার সেই কথাগুলো যেন বাজছে। ভাইয়া, আপনি দেখে নেবেন, আমার দোয়া খুব শীঘ্রই কবুল হবে! নাফিসার কাশ্মিরের মতো পুরো পৃথিবীই আজ ঘরবন্দী। মানুষ প্রতিনিয়ত মৃ’ত্যুর সঙ্গে বসবাস করছে।
ফেসবুক থেকে
আফগানিস্তানের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ’র ভাই রোহুল্লাহ আজিজিকে হত্যার বিস্তারিত
আফগানিস্তানে বিক্ষোভের খবর সংগ্রহ ও ছবি তুলতে গিয়ে তালেবানের হাতে আটক, মারধর ও বিস্তারিত
খাদ্য সরবরাহ ও করোনভাইরাসের টিকাসহ আফগানিস্তানকে ২০ কোটি ইউয়ান (৩ কোটি ১০ লাখ ডলার) বিস্তারিত
ইন্দোনেশিয়ার বানতেন প্রদেশের এক কারাগারের জনাকীর্ণ একটি ব্লকে আগুন লেগে অন্তত ৪০ জনের বিস্তারিত
চলতি মাসের শুরুর দিকে পশ্চিমা-সমর্থিত সরকারকে বিতাড়িত করে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসা বিস্তারিত
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের বিমানবন্দরে ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বিস্তারিত
পশ্চিমা কয়েকটি দেশের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা যেতে না যেতে আফগানিস্তানের বিস্তারিত
আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে একটি বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এ বিস্তারিত
তালেবানের হাতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পতন হওয়ার পর ১০ দিন পার হয়েছে। সারাদেশের বিস্তারিত
© Copyright JAGORON.NEWS
Developed By Muktodhara Technology Limited