শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক জাগরণ ডট নিউজ
আপডেট: জুলাই ১১, ২০২০ ১৩:৩৭
আজ ১১ জুলাই। মিরসরাই ট্রাজেডি দিবস। দেখতে দেখতে পার হলো নয়টি বছর। স্বজনের বুকফাটা আহজারীতে এখনো ভারী হয় আবুতোরাবের আকাশ বাতাস। চোখের জল শুকিয়ে শোকে পাথর। এখনো গভীর রাতে ভেসে আসে কান্নার রোল। স্মৃতি বলতে শুধুই ছবির ফ্রেম। নাড়ী ছেঁড়া ধন ছেলেকে হারিয়ে মা-বাবা সেই ছবি বুকে আকড়ে ধরে আহজারী করেন। কখনো কখনো হয়ে যান নির্বাক। আদরের সন্তানদের স্মৃতি যেন কিছুতেই ভুলতে পারছেন না আবুতোরাববাসী।
২০১১ সালের এইদিনে মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া-আবুতোরাব সড়কে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় স্কুল ছাত্রসহ ৪৫ জন। শোকাহত পরিবারগুলোকে সান্তনা দিতে ছুটে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খালেদা জিয়া, সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দৌজা চৌধুরী, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনসহ বিদেশি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
প্রতি বছর বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিনটি পালন করা হলেও এইবার করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারণে সংক্ষিপ্ত আকারে কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
৯ বছর পেরিয়ে গেলেও শোকের ছায়া ভুলতে পারেনি কেউই। এখনো স্বজনের আর্তনাদ ভারি হয়ে উঠে এই জনপদ কেউ হারিয়েছেন ছোট ভাই কেউ হারিয়েছেন বড় ভাই। পিতা, মাতা হারিয়েছেন তাদের আদরের সন্তান। জুন পেরিয়ে জুলাই এলেই পরিবারগুলোর হৃদয় কেঁদে উঠে! আদরের শাকিব, নয়ন, উজ্জল, টিটু, ইফতেখার, সাজু, কাজল, জুয়েল, মোবারক, ধ্রুব নাথ সহ নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠে মায়ানী, মঘাদিয়ার আকাশ বাতাস।
একদিকে যেমন খোঁজ নেই কারো, অন্যদিকে ময়লা আবর্জনা আর ঝোপঝাড়ে পরিণত হয়েছে নিহতদের স্বরণে দুটি স্মৃতিস্তম্ভ। দুর্ঘটনার স্থলে নির্মিত ‘অন্তিম’ আর আবুতোরাব স্কুল প্রাঙ্গণে নির্মিত ‘আবেগ’। এসবস্থানে সন্ধ্যা হলে বসে আড্ডা, জমে উঠে সিগারেট খাওয়াসহ খোশগল্প।
নিহত ৬ষ্ঠ শ্রেণী শিক্ষার্থী জাহেদুল ইসলামের পিতা মীর হোসেন জানান, ছেলে হারানোর শোক এখনও ধুকে ধুকে কাঁদায় পুরো পরিবারকে। পরিবারে সে ছিলো বড় ছেলে।
তিনি জানান, স্কুল কতৃপক্ষ কিংবা রাজনৈতিক ব্যক্তিরা জুলাই এলে ডেকে নিয়ে যায়। সভা-সমাবেশ করে দুপুরে খাওয়ার আয়োজনেই সীমাবদ্ধ থাকে। ওইদিন পার হলে আমাদের খবর রাখেনা আর কেউ।
নিহত ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শাখাওয়াত হোসেনের ভাই সোহরাব হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, জুলাই এলেই আমাদের ফোনে অথবা বাড়িতে দাওয়াত কার্ড দিয়ে যায়। শোক সভা শেষে অশ্রুজলে আমাদের বাড়ি ফিরতে হয়। জুলাইয়ের নির্দিষ্ট একটি দিন ছাড়া মনে হয় না কেউ বাড়ি এসে আমার মা বাবাকে সান্তনা দিতে দেখা যায়নি। শাখাওয়াতের কথা মনে পড়লে মা ভেঙ্গে পড়েন। ছেলে হারানোর শোক কোনোভাবেই সইতে পারছেন না তিনি।
নিহত ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী উজ্জল চন্দ্র নাথের ভাই মুন্না চন্দ্র নাথ বলেন, আমাদের সাথে কারো কোনো যোগাযোগ হয় না। কোনদিন বাড়ি এসে মা কিংবা বাবাকে এসে সান্ত্বনা দিতে দেখা যায়নি। তবে ১১ জুলাই এলে স্কুলে শোক সভার
১১টি ভৌত ও রাসায়নিক প্যারামিটারে দেশের মিঠা পানির প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র বিস্তারিত
চট্টগ্রামের বন্দর থানার নিমতলা এলাকায় লাকড়ির দোকানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে বিস্তারিত
চট্টগ্রামের স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাগুলো শিক্ষার্থী বরণে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে। বিস্তারিত
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর (সোমবার) থেকে দুপুরে করোনা টিকা বিস্তারিত
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিস্তারিত
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৮২ জন। যা নমুনা পরীক্ষা তুলনায় ৫ দশমিক ৫৩ বিস্তারিত
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে যানজটে আটকে পড়ায় ১৩ হকারকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয়রা বলছেন, বিস্তারিত
প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে জনস্বার্থবিরোধী হাসপাতাল নির্মাণ করে সিআরবি ধ্বংসের চক্রান্ত বিস্তারিত
চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১০৬ জনের। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত ১ লাখ ৬৬৬ বিস্তারিত
© Copyright JAGORON.NEWS
Developed By Muktodhara Technology Limited