শিরোনাম
মনির হোসেন জাগরণ ডট নিউজ
আপডেট: জানুয়ারী ২০, ২০১৯ ২০:১৯
অর্থাভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধের খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদার আব্দুল মালেক বীর প্রতিক'র চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে। তার চিকিৎসার জন্য বিপুল অর্থের প্রয়োজন কিন্তু তার পরিবারের পক্ষে এতো টাকা জোগার করা অসম্ভব হয়ে পরেছে। এ কারণে অসুস্থ্য বীর প্রতীক আব্দুল মালেকের সু-চিকিৎসার জন্য তার পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা কামনা করেছেন।
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মালেকের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ছয় বছর আগে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে তিনি পঙ্গুত্ব বরন করেছেন। তার বাম হাত ও পা অবশ হয়ে গেছে। ডায়েবেটিকস ও হৃদরোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বাকশক্তি ও শ্রবনশক্তি হারিয়ে আব্দুল মালেক এখন শয্যাশয়ী।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহনকারী রনাঙ্গন কাঁপানো গ্রুপ কমান্ডার, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা বীর প্রতীক আব্দুল মালেক (৭৭) নানা রোগের কাছে আজ একজন পরাজিত সৈনিক। তাঁর চিকিৎসা করাতে গিয়ে পরিবারটি আর্থিকভাবে নিঃস্ব হয়ে পরেছেন।
সূত্রে আরও জানা গেছে, গৌরনদীর কুতুবপুর গ্রামের মৃত খাদেম আলী চাপরাশির পুত্র আব্দুল মালেক ১৯৬১ সালে তৎকালীন ইপিআর বাহিনীতে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে তিনি চাকরি ছেড়ে নিজ গ্রামে ফিরে আসেন।
যুবকদের নিয়ে তিনি মুক্তিবাহিনীর একটি ইউনিট গঠন করে প্রশিক্ষণের জন্য তাদেরকে ভারতে নিয়ে যান। ভারতের বেগুনদিয়ার টার্কি ক্যাম্পে তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে আব্দুল মালেককে ৫৬ জন মুক্তিবাহিনীর একটি দলের গ্রুপ কমান্ডার হিসেবে দায়িত্বভার প্রদান করা হয়। তিনি তাঁদের নিয়ে এলাকায় ফিরে মুক্তিযুদ্ধের ৯ নং সেক্টরের অধীনস্থ আঞ্চলিক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নিজাম উদ্দিন ও হেমায়েত বাহিনীর সাথে যুক্ত হয়ে গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, মুলাদী, উজিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহন করে বীরত্বের ভূমিকা পালন করেন।
তিনি (মালেক) ছিলেন ৯ নং সেক্টর কমান্ডার মেজর (অবঃ) জলিলের একনিষ্ঠ বিশ্বস্ত সহচর। তার সহযোদ্ধা ছিলেন গৌরনদী উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সৈয়দ মনিরুল ইসলাম বুলেট ছিন্টু, ডেপুটি কমান্ডার মনিরুল হক, সোহরাব হোসেন খানসহ এলাকার অর্ধশতাধিক মুক্তিযোদ্ধা।
স্বাধীনতাযুদ্ধে বীরত্বের ভূমিকা পালন করায় তাঁকে (আব্দুল মালেক) বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করা হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তিনি পূর্নরায় বিডিআর বাহিনীতে যোগদান করেন। হাবিলদার হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর ১৯৮৪ সালে তিনি অবসরগ্রহন করেছেন।
বীর প্রতীক আব্দুল মালেকের স্ত্রী রাবেয়া বেগম জানান, ২০১২ সালে তার স্বামী পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে পঙ্গুত্ব বরন করেন। পরবর্তীতে জমাজমি বিক্রি করে স্বামীর চিকিৎসার খরচ চালিয়েছেন। এরপর গত দুইবছর আগে তাঁর (রাবেয়া) উভয় কিডনীতে পাথর ধরা পরে। অপারেশন করে পাথর অপসারন করতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। তাদের তিন পুত্র ও দুই কন্যা এখনও পড়াশুনা করছে। স্বামীর (মালেক) পেনশন ও মুক্তিযোদ্ধা ভাতার টাকায় চলে সংসারের খরচ। ফলে চিকিৎসার টাকার জন্য তাদের রিতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এ কারণে নিরুপায় হয়ে তিনি তার অসুস্থ্য বীর প্রতীক স্বামী আব্দুল মালেকের সু-চিকিৎসার জন্য বঙ্গকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা কামনা করেছেন।
রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়েছে বিলুপ্ত প্রজাতির বিশাল এক ঢাই মাছ। পদ্মার ঘোলা বিস্তারিত
মার্কিন সেনাবাহিনীর আমন্ত্রণে দেশটিতে সরকারি সফরে যাচ্ছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান বিস্তারিত
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে ট্রাকচাপায় এক অটোরিকশাচালকসহ তিনজন বিস্তারিত
দলবেঁধে হাওর দেখতে যাওয়ার পথে ময়মনসিংহে ট্রাকচাপায় মটরসাইকেল আরোহী দুই বন্ধু নিহত বিস্তারিত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক নারীর মৃত্যু বিস্তারিত
গাবতলীর আমিনবাজার-আশুলিয়া নৌপথের আমিনবাজারে অবস্থিত পুরাতন লোহার বেইলি ব্রিজ ভেঙে বিস্তারিত
নওগাঁর মহাদেবপুরে স্বামীর পরকীয়ার জেরে ছেলেসহ স্ত্রী আত্মহনন করেছেন বলে জানা গেছে। বিস্তারিত
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সী-গার্ল পয়েন্টে গোসল করতে নেমে ভেসে যায় তিন বন্ধু। সেখান থেকে বিস্তারিত
রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় হানিফ ফ্লাইওভারে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ল্যাম্পপোস্টে বিস্তারিত
© Copyright JAGORON.NEWS
Developed By Muktodhara Technology Limited