চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, নেদারল্যান্ড, সিঙ্গাপুরের মতো দেশ সমুদ্র বন্দরকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করেছে। বর্তমান সরকার প্রকৃতি ও সৌন্দর্যের লীলাভূমি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে নেদারল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের মতো অর্থনৈতিক উন্নয়নে বদ্ধপরিকর। তাই বর্তমান সময়ে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার যোগাযোগ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
তিনি রোববার (২৩ আগস্ট) চট্টগ্রাম বন্দর চেয়াম্যান রিয়ার এডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে এসব কথা বলেন।
সুজন বলেন, চট্টগ্রাম যেহেতু বন্দর নগরী। তাই এই বন্দরকেই চট্টগ্রাম নগরীর লালন এবং উন্নতমানের শহরে রূপান্তর করতে ভূমিকা রাখতে হবে। চট্টগ্রাম বাঁচলেই সারা বাংলাদেশ বাঁচবে। এটা অনস্বীকার্য যে একটা দেশের কাঙ্খিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের দ্রুত প্রসারের জন্য সমুদ্র বন্দর পূবশর্ত। যার মাধ্যমেই দেশের মূলতঃ সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটে। যে দেশের কোন সমুদ্র বন্দর নেই সেই দেশকে বাধার সম্মুখীন হতে হয় আমদানি-রপ্তানী বাণিজ্যে।
তিনি আরও বলেন, দেশের মোট রপ্তানী বাণিজ্যের প্রায় ৭৫ ভাগ সংঘটিত হয় চট্টগ্রামের উপর দিয়ে। চট্টগ্রাম নগরীর সড়কগুলোর উপর সারা দেশের আমদানি-রপ্তানি পরিবহন চলাচল করে। তাই এই সড়কগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও সম্প্রসারণের দায়িত্ব বন্দরের উপরও বর্তায়। রাস্তায় বন্দরের বিশালাকৃতির গাড়ীগুলো পার্কিং করা হয়। এতে প্রায়ই সৃষ্টি হয় যানজট। এই যানজট থেকে নগরীকে মুক্ত রাখতে হলে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান এসএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আনোয়ারা, ফেনী ও মিরসরাই অর্থনৈতিক জোন চালু হলে এবং কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মিত হলে বন্দরের বহুমাত্রিক ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে। সে বিষয়টিকে আমলে এনে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।’
বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, বে-টর্মিনাল বাস্তবায়ন, কর্ণফুলী নদী’র ক্যাপিটাল ড্রেজিং অব্যাহত রাখা, পতেঙ্গা ও লালদিয়ার চরের টার্মিনাল নির্মাণ, কর্ণফুলী নদীর উভয় তীরের ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানান বন্দর চেয়ারম্যান।
সাক্ষাতকালে চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সোহেল আহমদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য(এডমিন এন্ড প্লানিং) জাফর আলম, সচিব মো. ওমর ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
# এন ইউ