শিরোনাম
নাজিফা ফাতিমা, জাগরণ ডট নিউজ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০ ২৩:৩৩
করোনা রোগীদের চিকিৎসায় বেসরকারি উদ্যোগে অস্থায়ীভাবে চালু করা চট্টগ্রামের
প্রথম ফিল্ড হাসপাতাল গুটিয়ে নেয়ার পর এবার বন্ধ হতে যাচ্ছে এমন আরও একটি
প্রতিষ্ঠান।
‘করোনা আইসোলেশন সেন্টার চট্টগ্রাম’ নামে নগরীর হালিশহরে গত ১৩ জুন
যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটি আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা
দিয়েছেন উদ্যোক্তারা। একদল ‘স্বপ্নবাজ’ তরুণ করোনাকালে হাসপাতাল ও চিকিৎসার চরম সংকটের মধ্যে স্বেচ্ছাশ্রমের
ভিত্তিতে প্রিন্স অব চিটাগং কমিউনিটি সেন্টারে অস্থায়ী এ চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে
তুলেছিলেন।
তিন মাস করোনা রোগীদের নিরলস সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠানটির এখন ইতি
টানতে যাচ্ছেন সেই উদ্যোক্তারাই।
করোনা রোগীদের চিকিৎসায় সীতাকুন্ডের ফৌজদারহাটে নাভানা গ্রুপের
একটি পাকা ভবনে ডা. বিপ্লব বড়ুয়া গড়ে
তুলেছিলেন চট্টগ্রামের প্রথম ফিল্ড হাসপাতাল। গত ২১ এপ্রিল থেকে বেসরকারি এ
হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত ও লক্ষণযুক্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া শুরু হয়। রোগী ও
অনুদান কমে যাওয়ায় গত ৩১ আগস্ট বন্ধ করে দেয়া হয় হাসপাতালটি । বন্ধ হওয়ার আগে
এখানে গত ৫ মাসে আক্রান্ত ও লক্ষণযুক্ত মোট ১৬১২ জন রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়।
বিপ্লব বড়ুয়ার ফিল্ড হাসপাতালের অনুকরণে ওই সময় চট্টগ্রামে কোভিড
চিকিৎসায় বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠে আরও কয়েকটি ফিল্ড হাসপাতাল। এর মধ্যে অন্যতম
হালিশহরের ১০০ শয্যার করোনা আইসোলেশন সেন্টার ।
করোনা আইসোলেশন সেন্টারে অবশ্য এখনো রোগী আসছেন চিকিৎসা নিতে। ১০
সেপ্টেম্বর এখানে ইনডোরে চিকিৎসাধীন ছিলেন
২২ জন কোভিড আক্রান্ত রোগী। এছাড়া আউটডোরেও রোগীদের ভীড় আছে এখনো। রোগী থাকলেও বিশাল
পরিচালন ব্যয় বহন করতে না পারা এবং স্থান সংকটের কারণে এই হাসপাতালটি বন্ধ করে
দিতে হচ্ছে বলে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন।
করোনা আইসোলেশন সেন্টার চট্টগ্রাম এর মুখপাত্র জিনাত সোহানা চৌধুরী
বলেন, ‘দীর্ঘ তিন মাস করোনা আক্রান্ত-উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পর আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর এই প্রতিষ্ঠানের ইতি টানতে যাচ্ছি।’
রোগী থাকার পরও কেন বন্ধ হচ্ছে হাসপাতালটি-এমন প্রশ্নেরে জবাবে তিনি বলেন, ‘মূলত চট্টগ্রামে করোনা রোগীদের চিকিৎসা স্বল্পতা-সংকটের কথা বিবেচনা করে একটি দুর্যোগময় সময়ে এ প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করলেও বর্তমান প্রেক্ষাপটে চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসার তেমন কোন ঘাটতি নেই। ১০ সেপ্টেম্বর আমাদের সেন্টারে ২২ জন পজিটিভ রোগী ভর্তি থাকলেও সরকারী হাসপাতালসমূহে প্রতিদিন প্রচুর সিট খালি থাকছে। যেহেতু আমাদের এই আইসোলেশন সেন্টারটি সম্পূর্ন বিত্তশালীদের অনুদান এবং জনগনের বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতায় পরিচালিত হয়ে আসছিল, সেহেতু আমাদের অনুদানের বিষয়টি মাথায় নিয়ে চলতে হচ্ছে। শুধুমাত্র ডাক্তার নার্সদের বেতন বাবদ প্রতিমাসে আমাদের খরচ ১০ লাখ টাকার অধিক। পাশাপাশি ওষুধ, খাবারসহ আনুষাঙ্গিক আরো সমপরিমান টাকা প্রতিমাসে খরচ হয়।’
‘স্বাভাবিকভাবেই বর্তমান পরিস্থিতিতে অনুদান সংগ্রহে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। যে প্রিন্স অব চিটাগং কমিউনিটি সেন্টারে আমরা এই আইসোলেশন সেন্টার গড়ে তুলেছিলাম তার মালিক বিশাল অন্তরের একজন মানুষ আবু ভাই আমাদের তিনমাসের জন্য এ ক্লাবটি ব্যবহার করতে দিলেও কোন ভাড়া নেননি। আমরা তার বিষয়টি বিবেচনা করে তাকে আর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন করতেচাই না,বলেন জিনাত সোহানা।
১১টি ভৌত ও রাসায়নিক প্যারামিটারে দেশের মিঠা পানির প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র বিস্তারিত
চট্টগ্রামের বন্দর থানার নিমতলা এলাকায় লাকড়ির দোকানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে বিস্তারিত
চট্টগ্রামের স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাগুলো শিক্ষার্থী বরণে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে। বিস্তারিত
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর (সোমবার) থেকে দুপুরে করোনা টিকা বিস্তারিত
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিস্তারিত
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৮২ জন। যা নমুনা পরীক্ষা তুলনায় ৫ দশমিক ৫৩ বিস্তারিত
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে যানজটে আটকে পড়ায় ১৩ হকারকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয়রা বলছেন, বিস্তারিত
প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে জনস্বার্থবিরোধী হাসপাতাল নির্মাণ করে সিআরবি ধ্বংসের চক্রান্ত বিস্তারিত
চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১০৬ জনের। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত ১ লাখ ৬৬৬ বিস্তারিত
© Copyright JAGORON.NEWS
Developed By Muktodhara Technology Limited