সড়কের অবৈধ স্থাপনা সরাতে ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম সুজনের
নিজস্ব প্রতিবেদক জাগরণ ডট নিউজ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২০ ১৭:৪২
নগরীতে মানুষ ও যাবাহন চলাচলের পথে কোনো প্রতিবন্ধকতা বা অবৈধ স্থাপনা থাকতে পারবে না উল্লেখ করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এসব স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তা না হলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এসব স্থাপনা উচ্ছেন করা হবে বলে হূঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দামপাড়া স্টোর থেকে শুরু করে আগ্রাবাদ জাম্বুরী মাঠ দেওয়ানহাট ডিটি রোড, দক্ষিণ পাহাড়তলী জোড়া ঢেবা হয়ে সাগরিকা মোড় পর্যন্ত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শনকালে তিনি এই হঁশিয়ারি দেন।
তিনি আগ্রাবাদস্থ জাম্বুরী মাঠ সংলগ্ন সিটি কর্পোরেশনের জায়গাটিকে জঞ্জাল মুক্ত করে সেখানে অকেজো ও পরিত্যক্ত যানবাহনের ডাম্পিং সেন্টারে পরিণত করা এবং অকেজো যানবাহনগুলো নিলামে বিক্রিরও নির্দেশ দেন।
চসিক প্রশাসক দেওয়ানহাট থেকে সাগরিকা পর্যন্ত ডিটি রোডের খানা-খন্দ ভরাট সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় প্রকৌশলীরা চসিক প্রশাসককে অবগত করেন যে বৃষ্টি বাধ না সাধলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সড়কটি ৪ ইঞ্চি ঢালাইয়ের মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে। তিনি প্রকৌশলী এবং ঠিকাদারবৃন্দকে কাজের গুণগত মান যাচাইয়ের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ সময় তিনি বলেন এ সড়কটিও চট্টগ্রামের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। বন্দর নগরীর আভ্যন্তরীন যোগাযাগসহ সারা বাংলাদেশের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এ সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে সড়কের দু’পাশের অবৈধ স্থাপনা, বিশেষ করে রড-সিমেন্ট, ফার্নিচার-ওয়ার্কসপসহ নানাবিধ দোকানপাটের সামগ্রী দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে এসব স্থাপনা দ্রুত সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন।
তিনি উপস্থিত এলাকাবাসীকে সড়কের নির্মাণকাজের তদারকি করারও আহবান জানান। এরপর চসিক প্রশাসক সাগরিকা থেকে একেখান মোড় পর্যন্ত রাস্তার দুপাশের ফুটপাত অবৈধ দখল থাকতে দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি দখলদারদের এসব ফুটপাতের দখল আজকের মধ্যেই স্বউদ্যোগে ছেড়ে দেওয়ার আহবান জানান। না হলে আগামীকাল সিটি কর্পোরেশন ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগীতায় এসব অবৈধ দোকান এবং স্থাপনা উচ্ছেদ করবেন বলে ঘোষণা করেন।
এ সময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব মো. আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সোহেল আহমেদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, ঝুলন কান্তি দাশ, আনোয়ার হোসেন, আবু ছালেহ, মনিরুল হুদা, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, বিপ্লব দাশ, এস্টেট অফিসার কামরুল ইসলাম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
# এন ইউ