শিরোনাম
নুর নবী রবিন জাগরণ ডট নিউজ
আপডেট: অক্টোবর ১৪, ২০২০ ১৮:১৯
করোনাভাইরাস মহামারীর প্রভাবে খাদ্যসংকট দেখা দেয়ার শঙ্কায় উৎপাদন ব্যবস্থা সচল রাখতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকদের প্রনোদনা প্রদানের ঘোষণা দেয় সরকার। একই সাথে কোনো জমি অনাবাদি না রাখতেও নির্দেশনা দেয় সরকার৷ কিন্তু মাঠ পর্যায়ে দেখা যায়, অধিকাংশ কৃষকের হাতেই পৌঁছেনি প্রনোদনার অর্থ। অনাবাদি থেকে গেছে অনেক জমি৷
৫ শতাংশ সুদে পাঁচ হাজার কোটি টাকার এই প্রনোদনা তহবিল থেকে গ্রামাঞ্চলে হাস-মুরগি লালন পালন, মৎস্য, চাষাবাদ, ফলমূল ও মসলাজাতীয় পণ্য উৎপাদনের সাথে সম্পৃক্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি মানের কৃষকদের সহায়তা করার কথা থাকলেও প্রত্যন্ত এলাকায় অনেকে এ ঋণ থেকে বঞ্চিত।
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার কৃষিনির্ভর ইউনিয়ন উড়িরচর যেখানে কৃষকরা প্রনোদনার সুবিধা থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত । চার লক্ষ বাসিন্দার সন্দ্বীপের কৃষিজপণ্যের উল্লেখযোগ্য অংশের জোগান দেন চরটির কৃষকেরা। কিন্তু করোনাকালীন সময়ে সরকারের ঘোষিত প্রনোদনার কোনো অর্থ পায়নি বলে জানিয়েছেন তারা।
দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদের সাথে জড়িত কৃষক মোহাম্মদ সোহরাব জাগরণ ডট নিউজকে বলেন, চাষের খরচ জোগানোর জন্য আমাকে চড়াসুদে স্থানীয় মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিতে হয়েছে। সরকারি কোনো সুবিধা পাইনি। প্রায় একই রকম অভিযোগ আরেক কৃষক নুর আলমের মুখেও। তিনি জানান, এবার আমন মৌসুমে ধান রোপনের জন্য স্থানীয় ধান ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। ধান কাটার পর দাম যা-ই হোক, সেই ব্যবসায়ীর কাছেই বিক্রি করতে হবে।
উড়িরচরে বর্ষা মৌসুমে শসার চাষ করেন মোহাম্মদ রিয়াদ। এবার চাষের খরচ জোগাতে সরকারি কোনো ঋণ পেয়েছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারের এসব ঋণ কীভাবে পেতে হয় সেসব তিনি জানেনও না।
তবে কৃষকদের এসব অভিযোগের বিপরীতে প্রায় ভিন্নরকম কথা বললেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুর রহিম। তিনি বলেন, উড়িরচর থেকেও অনেক মানুষ সরকারের ঘোষিত কৃষি প্রনোদনা পেয়েছেন। তিনি আরো বলেন, উড়িরচরের বেশিরভাগ কৃষক নিরক্ষর এবং অসচেতন। ফলে সরকারি ঋণের প্রক্রিয়াগত কিছু ব্যাপার থাকার কারণে তারা খুব একটা নজর দেন না।
খোজ নিয়ে জানাগেছে, উড়িরচরের ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যায়ের কৃষকরা প্রনোদনার অর্থ না পেলেও এখানকার কয়েকজন প্রভাবশালি ব্যক্তি সরকারি ঋণের সুবিধা পেয়েছেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিদর্শী সম্বোধি চাকমা এ প্রতিবেদককে উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
আর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল বাছেত সবুজ বলেন, কৃষিঋণের জন্য কৃষকের জমিনের মালিকানার বৈধ কাগজপত্র থাকতে হয়। প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকেরা অনেকে বর্গাচাষি। অনেকের কার্ড নেই।নিজস্ব জমিন নেই, ফলে কাগজপত্র সরবরাহ করতে না পারার দরুণ অনেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আর করোনাকালীন প্রনোদনার বিষয়টি কৃষি ব্যাংকের কাছে। উড়ির চরের কৃষকরা প্রনোদনা সুবিধা পেয়েছেন কিনা তা জানতে কৃষি ব্যাংকের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেন কৃষি কর্মকর্তা সবুজ৷
এদিকে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সন্দ্বীপ শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মাদ ইলিয়াস জাগরণ ডট নিউজকে জানান, সরকারের ঘোষিত কৃষি প্রনোদনার ঋণ আমরা দিচ্ছি। তবে সেক্ষেত্রে স্থানীয় চেয়ারম্যানের প্রত্যায়ন পত্রসহ জমিনের বৈধ কাগজপত্রের দরকার হয়। উড়ির চরের কৃষকরা প্রনোদনা অর্থ পেয়েছেন কিনা সেই বিষয়ে সুনিদির্ষ্ট তথ্য দিতে পারেন নি কৃষিব্যাংক ম্যানেজার ইলিয়াস৷
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশগামী যাত্রীদের বিস্তারিত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’-এ পরিণত হওয়ায় সাগর উত্তাল বিস্তারিত
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, কাল রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে। তবে বিস্তারিত
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে করোনাভাইরাসের টিকা নিতে না পেরে বিক্ষোভ করেছেন বিস্তারিত
চীনের সিনোফার্মের তৈরি আরও ৫৪ লাখ ডোজ টিকার চালান দেশে পৌঁছেছে। শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে বিস্তারিত
চলতি বছর দেশে বড় বন্যার শঙ্কা নেই। বন্যাকবলিত সব এলাকার পরিস্থিতি এখন উন্নতির দিকে। বিস্তারিত
আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে ৫০ লাখ করে করোনা ভাইরাসের টিকা আসবে বলে বিস্তারিত
বাংলাদেশকে ২ লাখ ৭০ হাজার টিকা উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপের দেশ বুলগেরিয়া। দেশটির বিস্তারিত
ট্রেইনি কনস্টেবল পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। জেলা অনুযায়ী শূন্যপদের বিস্তারিত
© Copyright JAGORON.NEWS
Developed By Muktodhara Technology Limited