নৌযান ধর্মঘট : চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ 

নিজস্ব প্রতিবেদক জাগরণ ডট নিউজ

আপডেট: অক্টোবর ২০, ২০২০ ১৫:২২

দেশব্যাপি নৌযান ধর্মঘটে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে গেছে। একই সঙ্গে নদীপথে নৌযান চলাচলও বন্ধ। 

১১ দফা দাবি আদায়ে সোমবার মধ্যরাত থেকে সারা দেশে পণ্য ও তেলবাহী নৌযানে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন।

এর ফলে মঙ্গলবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে কোনো লাইটার জাহাজ পণ্য আনতে যায়নি। বহির্নোঙরে অবস্থান করা মাদার ভেসেল থেকে লাইটার বা ছোট জাহাজে পণ্য বোঝাই করে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। ধর্মঘটের কারণে লাইটার জাহাজগুলো কূলে অবস্থান করছে। তাই বহির্নোঙরে পণ্য খালাস হচ্ছে না। 

এদিকে নগরীর সদরঘাট থেকে বাংলাবাজার পর্যন্ত কর্ণফুলী নদীর ১৬ টি ঘাট থেকেও কোনো লইটার চলাচল করছে না। এসব ঘাটে লাইটার জাহাজগুলো অলস বসে রয়েছে। 
বাংলাদেশ  লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ও নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নবী আলম মাস্টার জানান, বন্দরের বহির্নোঙরে ৬০ টির মতো লাইটার জাহাজ কাজ না করে বসে রয়েছে। এছাড়া কর্ণফুলীর ১৬ টি ঘাটে আরও ১৬ টি লাইটার পণ্য খালাস করছে না। চট্টগ্রামে  পণ্য ও তেলবাহী নৌযান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। 

তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বহির্নোঙরে পণ্য খালাস ব্যাহত হলেও জেটিতে পণ্য ওঠানামা স্বাভাবিক রয়েছে। 

নবী আলম  জানান, নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগপত্র  ও পরিচয়পত্র প্রদানসহ ১১ দফা দাবি আদায়ে এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে । 

তিনি বলেন, ১১ দফা দাবি আদায়ে এর আগে আমরা চারবার ধর্মঘট পালন করেছি। প্রতিবারই দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে তা আর বাস্তবায়ন করা হয়নি। তাই আবারও ধর্মঘট ডাকতে নৌযান শ্রমিকরা বাধ্য হয়েছেন। ১১ দফা দাবির মধ্যে আরও রয়েছে-নাবিক কল্যাণ ফান্ড গঠন, দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেক নৌযান শ্রমিককে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদান, প্রতি মাসে ৪ হজার টাকা করে খাদ্য ভাতা, ১ হাজার -২ হাজার টাকা পর্যন্ত সি এলাউন্স প্রদান।  

# এন ইউ