শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক জাগরণ ডট নিউজ
আপডেট: অক্টোবর ২১, ২০২০ ১২:৩৬
১১ দফা দাবিতে শ্রমিক ধর্মঘটে সারা দেশের নৌপথে পণ্য পরিবহনে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এতে সমুদ্রবন্দরগুলোতে খালাস কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। ঘাটে ঘাটে পণ্য নিয়ে অলস বসে রয়েছে লাইটার জাহাজ। সোমবার মধ্যরাত থেকে পণ্য ও তেলবাহী নৌযান শ্রমিকদের লাগাতার এ ধর্মঘট শুরু করে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন।
এদিকে নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহারে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানকে চিঠি দিয়েছেন দ্য চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) এ চিঠি পাঠানো হয়। সেখানে চেম্বার সভাপতি বলেন, ১৯ অক্টোবর রাত থেকে নৌযান শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন শুরু করেছেন।
এতে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে শিল্পের কাঁচামাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। লাইটারেজ জাহাজ চলাচল না করায় সারা দেশে এসব কাঁচামাল ও পণ্য পরিবহন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি বন্দরে জাহাজ জট এবং কনটেইনার জট সৃষ্টি হয়ে নতুনভাবে সংকট তৈরি করবে। জাহাজের টার্ন অ্যারাউন্ড টাইম বৃদ্ধি এবং ওভার স্টের কারণে ডেমারেজ চার্জসহ পণ্য আমদানি-রফতানি ব্যয় বৃদ্ধি পাবে।
ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং সাধারণ ভোক্তাদের অতিরিক্ত মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী ক্রয় করতে হবে। তিনি বলেন, বিশ্ব মহামারী করোনাভাইরাসের এ সময়ে আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত সাধারণ মানুষ আরও চাপের মুখে পড়বেন। অর্থনীতির গতিধারা পুনরুদ্ধারে কার্যক্রম পরিচালনাকারী ব্যবসায়ীদের নতুন করে অস্তিত্ব সংকটে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেবে।
চিঠিতে চেম্বার সভাপতি আরও উল্লেখ করেন, দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এ ধরনের ধর্মঘট অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি ক্ষতিকারক। এতে শিল্পোৎপাদন ব্যাহত হবে এবং সারা দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে যাবে। ফলে বাজার অস্থিতিশীল হবে এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বেড়ে যাবে, যা সামষ্টিক ও ব্যাষ্টিক অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে খাদ্যশস্য, সার, সিমেন্ট ক্লিংকার ও শিল্পের কাঁচামাল নিয়ে অর্ধশত মাদার ভেসেল অপেক্ষা করছে। লাইটার জাহাজ না চলায় এগুলো থেকে পণ্য খালাস করা যাচ্ছে না। মাদার ভেসেলগুলোর ড্রাফট বেশি হওয়ায় বন্দর চ্যানেলে প্রবেশ করতে পারে না। বহির্নোঙরে অপেক্ষা করে। লাইটার জাহাজগুলো সেখানে গিয়ে মাদার ভেসেল থেকে পণ্য বোঝাই করে দেশের বিভিন্নস্থানে পৌঁছে দেয়।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এসোসিয়রশনের সভাপতি আহসানুল হক চৌধুরী জানান, একটি মাদার ভেসেল একদিন বসে থাকলে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার ডলার ডেমারেজ দিতে হয়। এই টাকা আমদানিকারকরা নিজের পকেট থেকে দেন। শেষ পর্যন্ত পণ্যমূল্য বাড়িযে দিয়ে তারা ক্ষতি সমন্বয় করেন। শুধু তাই নয়, মাদার ভেসেলের ওয়েটিং টাইম বেড়ে গেলে বহির্বিশ্বে বন্দরের সুনাম ক্ষুন্ন হয়। এতে বড় বড় অপারেটররা বন্দরে জাহাজ পাঠাতে অনীহা প্রকাশ করে।
১১টি ভৌত ও রাসায়নিক প্যারামিটারে দেশের মিঠা পানির প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র বিস্তারিত
চট্টগ্রামের বন্দর থানার নিমতলা এলাকায় লাকড়ির দোকানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে বিস্তারিত
চট্টগ্রামের স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাগুলো শিক্ষার্থী বরণে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে। বিস্তারিত
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর (সোমবার) থেকে দুপুরে করোনা টিকা বিস্তারিত
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিস্তারিত
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৮২ জন। যা নমুনা পরীক্ষা তুলনায় ৫ দশমিক ৫৩ বিস্তারিত
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে যানজটে আটকে পড়ায় ১৩ হকারকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয়রা বলছেন, বিস্তারিত
প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে জনস্বার্থবিরোধী হাসপাতাল নির্মাণ করে সিআরবি ধ্বংসের চক্রান্ত বিস্তারিত
চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১০৬ জনের। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত ১ লাখ ৬৬৬ বিস্তারিত
© Copyright JAGORON.NEWS
Developed By Muktodhara Technology Limited