শিরোনাম
সিলেট প্রতিনিধি: জাগরণ ডট নিউজ
আপডেট: অক্টোবর ২৫, ২০২০ ১৭:৪৬
আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে ‘আমরণ অনশন করেছেন সিলেটের বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ‘নির্যাতনে’ নিহত রায়হান আহমদের মা সালমা বেগমসহ পরিবারের সদস্যরা।
যে ফাঁড়িতে রায়হান আহমদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দরবাজারের সেই ফাঁড়িতেই আমরণ অনশন করেছেন রায়হানের মা সালমা বেগম।
রোববার সকাল ১১টা থেকে রায়হানের মা মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে আমরণ অনশন শুরু করেন। তার সঙ্গে রয়েছে রায়হানের চাচা-চাচি, মামা, খালা ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজনসহ আখালিয়া এলাকাবাসী। পরে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সিলেটের মেয়র জুশ খাওয়ায়ে তাদের অনশন ভাঙ্গেন ।
এর আগে সকালে রায়হান আহমদের মা বলেন, এই ফাঁড়িতেই আমার ছেলেকে পুলিশ হত্যা করেছে। সেখানেই আমরণ অনশন শুরু করেছি। আকবর গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অনশন চলবে।
সালমা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে করে বলেন, রায়হান নিহতের ঘটনায় বরখাস্তকৃতরা কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। নিহতের ১৩ দিন হলেও কেন ঘটনার মূল হোতা এসআই আকবরকে গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর ভোরে রায়হান আহমদ (৩৩) নামে সিলেট নগরের আখালিয়ার এক যুবক নিহত হন। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমে প্রচার করা হয়, ছিনতাইয়ের দায়ে নগরের কাষ্টঘর এলাকায় গণপিটুনিতে নিহত হন রায়হান। তবে বিকালে পরিবারের বক্তব্য পাওয়ার পর ঘটনা মোড় নিতে থাকে অন্যদিকে। পরিবার দাবি করে, সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দর বাজার ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে প্রাণ হারান রায়হান।
ওই রাতেই পুলিশকে অভিযুক্ত করে সিলেটের কোতোয়ালি থানায় হেফাজতে মৃত্যু আইনে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি। পরদিন রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (উত্তর) শাহরিয়ার আল মামুনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সিলেট মহানগর পুলিশ।
এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে রায়হানকে ফাঁড়িতে এনে নির্যাতনের প্রাথমিক প্রমাণ পায় কমিটি। এই তদন্ত কমিটির সুপারিশে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূইয়া, কনস্টেবল হারুন রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটু চন্দ্র দাসকে সাময়িক বরখাস্ত এবং এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়।
তদন্তে নেমে পুলিশ হেফাজতে রায়হান উদ্দিনের মৃত্যু ও নির্যাতনের প্রাথমিক সত্যতাও পায় তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটি জানতে পারে ১১ অক্টোবর ভোররাত ৩টার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে সুস্থ অবস্থায় রায়হান আহমদকে আনা হয় বন্দরবাজার ফাঁড়িতে। সেখানে ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়ার নেতৃত্বেই তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রায়হানকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সকাল ৭টার দিকে মারা যান তিনি।
রায়হান নগরের আখালিয়ার নেহারিপাড়া এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকায় এক চিকিৎসকের চেম্বারে সহকারি হিসেবে কাজ করতেন।
রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়েছে বিলুপ্ত প্রজাতির বিশাল এক ঢাই মাছ। পদ্মার ঘোলা বিস্তারিত
মার্কিন সেনাবাহিনীর আমন্ত্রণে দেশটিতে সরকারি সফরে যাচ্ছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান বিস্তারিত
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে ট্রাকচাপায় এক অটোরিকশাচালকসহ তিনজন বিস্তারিত
দলবেঁধে হাওর দেখতে যাওয়ার পথে ময়মনসিংহে ট্রাকচাপায় মটরসাইকেল আরোহী দুই বন্ধু নিহত বিস্তারিত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক নারীর মৃত্যু বিস্তারিত
গাবতলীর আমিনবাজার-আশুলিয়া নৌপথের আমিনবাজারে অবস্থিত পুরাতন লোহার বেইলি ব্রিজ ভেঙে বিস্তারিত
নওগাঁর মহাদেবপুরে স্বামীর পরকীয়ার জেরে ছেলেসহ স্ত্রী আত্মহনন করেছেন বলে জানা গেছে। বিস্তারিত
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সী-গার্ল পয়েন্টে গোসল করতে নেমে ভেসে যায় তিন বন্ধু। সেখান থেকে বিস্তারিত
রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় হানিফ ফ্লাইওভারে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ল্যাম্পপোস্টে বিস্তারিত
© Copyright JAGORON.NEWS
Developed By Muktodhara Technology Limited