শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাগরণ ডট নিউজ
আপডেট: নভেম্বর ৩, ২০২০ ১৫:৫৬
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জয়ী হলে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের কোনো প্রতিশ্রুতি দেননি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটির সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার দীর্ঘ ঐতিহ্যের ওপর তাই আশঙ্কার কালো মেঘের ছায়া পড়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, হেরে গিয়েও যদি ফল না মানেন ট্রাম্প? কী হবে তাহলে? এমন পরিস্থিতিতে অবশ্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শীর্ষ কর্মকর্তাদের উদ্যোগে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরেরই প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন।
আধুনিক যুক্তরাষ্ট্রের সব প্রেসিডেন্টই নির্বাচনের ফল বিপক্ষে গেলে হার স্বীকার করে হোয়াইট হাউস ছেড়েছেন। কিন্তু রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ফল মানতে অস্বীকার করলে তা হবে এক নজিরবিহীন ঘটনা। সে ক্ষেত্রে এর পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের ধাপগুলো কী হবে তা স্পষ্ট নয়। তবে ট্রাম্পের প্রধান প্রতিপক্ষ ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বাইডেন বলেছেন, সে ক্ষেত্রে হোয়াইট হাউস থেকে ট্রাম্পকে সরাতে ডাকা হতে পারে সামরিক বাহিনীকে।
শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের কোনো প্রতিশ্রুতি ট্রাম্প না দেওয়ায় তার দল রিপাবলিকান পার্টির অনেক নেতাও বিব্রত হয়েছেন। ট্রাম্পের অতি ঘনিষ্ঠ সিনেটররাও বলেছেন, শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর সংবিধানের অংশ এবং প্রজাতন্ত্রের টিকে থাকার প্রধান শর্ত। তারপরও থামছে না বিতর্ক। আইন বিশেষজ্ঞ এবং ম্যাসাচুসেটসের অ্যামহার্স্ট কলেজের অধ্যাপক লরেন্স ডগলাসের সন্দেহ, বাইডেনের কাছে সামান্য ব্যবধানে হেরে গেলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো ফলাফল প্রত্যাখ্যান করবেন।
অধ্যাপক ডগলাস এসব জটিলতা নিয়ে একটি বই লিখেছেন। গত আগস্টে প্রকাশিত সে বইটির নাম 'উইল হি গো? ট্রাম্প অ্যান্ড দ্য লুমিং ইলেকশন মেল্টডাউন ইন ২০২০'। ট্রাম্প নির্বাচনের ফলাফল মানতে অস্বীকার করলে কী কী হতে পারে তার বিস্তারিত চিত্র বইটিতে তুলে ধরেছেন অধ্যাপক ডগলাস। সবশেষে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পদ্ধতি এ ধরনের সম্ভাবনার জন্য প্রস্তুত নয়। যুক্তরাষ্ট্রে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর না হওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই, বরং ধরেই নেয় যে, শান্তিপূর্ণভাবেই ক্ষমতা হস্তান্তর হবে। ১৮০০, ১৮৭৬ এবং ২০০০ সালের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে জটিলতা তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবেই ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছে। সম্ভাব্য তিন বিপর্যয়ের কথা অধ্যাপক ডগলাস তার বইয়ে তুলে ধরেছেন। এ তিনটি সম্ভাব্য বিপর্যয় হলো- ইলেকটররা যদি পপুলার ভোটের বিরুদ্ধে ভোট দেন, বিদেশি হ্যাকাররা যদি ইলেকট্রনিক বা নির্বাচনী ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করে এবং কোনো রাজ্য থেকে যদি পরস্পরবিরোধী ফল আসে। দ্য গার্ডিয়ানে এক প্রবন্ধে অধ্যাপক ডগলাস বলেছেন, কল্পিত এসব সম্ভাব্য ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ইতিহাসে ঘটেছে।
অধ্যাপক ডগলাসের কল্পিত ঘটনাগুলো সত্য হলে কংগ্রেসের দুই কক্ষেই প্রচণ্ড গোলমালের সৃষ্টি হবে। এ অবস্থায় বাইডেন এবং ট্রাম্পের শিবির সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে পারে। সুপ্রিম কোর্টে বর্তমানে ৯ বিচারপতির ৬ জনই রক্ষণশীল। তাদের মধ্যে তিনজনকে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাম্প। ফলে নির্বাচনী ফলের ফয়সালা আদালতে গড়ালে ট্রাম্পই শেষ হাসি হাসার সুযোগ পেতে পারেন।
অন্যদিকে সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নির্বাচন-সংক্রান্ত কোনো বিতর্ক যদি একবার কংগ্রেসের হাতে যায় তাহলে তাতে আদালত আর কোনো ভূমিকা রাখতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে দুটি অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। অধ্যাপক ডগলাস বলেছেন, কোনো পক্ষই তখনও পরাজয় স্বীকার না করলে কংগ্রেসে অচলাবস্থা তৈরি হবে। সহিংস বিক্ষোভ শুরু হতে পারে। ট্রাম্প তখন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাবলে 'বিজয়' সুরক্ষিত করার জন্য সেনাবাহিনী ডাকতে পারেন। দ্বিতীয় পথটি হলো, নির্বাচনে কে জিতেছেন তা স্পষ্ট না হলে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হবেন। ট্রাম্প হয়তো তা না মেনে টুইটারের মাধ্যমে সহিংসতা ছড়িয়ে দিতে পারেন।
অধ্যাপক ডগলাস মনে করেন, এসব বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব, যদি ট্রাম্প বিপুল ব্যবধানে বাইডেনের কাছে হেরে যান। সূত্র :সিএনএন ও বিবিসি।
আফগানিস্তানের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ’র ভাই রোহুল্লাহ আজিজিকে হত্যার বিস্তারিত
আফগানিস্তানে বিক্ষোভের খবর সংগ্রহ ও ছবি তুলতে গিয়ে তালেবানের হাতে আটক, মারধর ও বিস্তারিত
খাদ্য সরবরাহ ও করোনভাইরাসের টিকাসহ আফগানিস্তানকে ২০ কোটি ইউয়ান (৩ কোটি ১০ লাখ ডলার) বিস্তারিত
ইন্দোনেশিয়ার বানতেন প্রদেশের এক কারাগারের জনাকীর্ণ একটি ব্লকে আগুন লেগে অন্তত ৪০ জনের বিস্তারিত
চলতি মাসের শুরুর দিকে পশ্চিমা-সমর্থিত সরকারকে বিতাড়িত করে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসা বিস্তারিত
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের বিমানবন্দরে ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বিস্তারিত
পশ্চিমা কয়েকটি দেশের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা যেতে না যেতে আফগানিস্তানের বিস্তারিত
আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে একটি বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এ বিস্তারিত
তালেবানের হাতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পতন হওয়ার পর ১০ দিন পার হয়েছে। সারাদেশের বিস্তারিত
© Copyright JAGORON.NEWS
Developed By Muktodhara Technology Limited