শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক জাগরণ ডট নিউজ
আপডেট: নভেম্বর ১৫, ২০২০ ১৮:০৭
জলাবদ্ধতার কারণে চট্টগ্রামের অন্যতম ব্যবসাকেন্দ্র খাতুনগঞ্জের অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে সমীক্ষা হচ্ছে। সমীক্ষার চূড়ান্ত রিপোর্ট চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে তৈরি ও সংশ্লিষ্টদের কাছে পেশ করা হবে।
রোববার (১৫ অক্টোবর) সমীক্ষার ড্রাফট রিপোর্ট শেয়ারিং কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
নগরীর আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি, বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন ও ইউএনডিপি’র যৌথ উদ্যোগে “ইকনোমিক ইমপেক্ট অব ওয়াটারলগিং অন লোকাল ট্রেডঃ দ্যা কেইস স্ট্যাডি অব খাতুনগঞ্জ, হোলসেল কমোডিটি মার্কেট চট্টগ্রাম” শীর্ষক সমীক্ষটি পরিচালিত হচ্ছে।
খাতুনগঞ্জ এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে যে অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধিত হয় তা নিরুপণে পরিচালিত সমীক্ষার প্রাথমিক রিপোর্ট এর উপর স্টেকহোল্ডারদের মতামত নেয়ার লক্ষ্যে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি প্ল্যানিং কমিশন প্রোগ্রাম ডিভিশনের চীফ (অতিরিক্ত সচিব) খন্দকার আহসান হোসেন, জয়েন্ট চীফ ও প্রকল্প পরিচালক-এনআরপি ড. নুরুন নাহার, বুয়েট’র ফ্যাকাল্টি অব আর্কিটেকচার এন্ড প্ল্যানিংয়ের ডীন প্রফেসর খন্দকার শাব্বির আহমেদ, চেম্বার পরিচালক মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন) ও অঞ্জন শেখর দাশ, ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম এর চ্যাপ্টার চেয়ারম্যান নাজমুল লতিফ, চসিক এর চীফ সিটি প্ল্যানার আর্কিটেকচার একেএম রেজাউল করিম ও খাতুনগঞ্জ ট্রেড এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল হোসেন বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া চেম্বার পরিচালক একেএম আক্তার হোসেন, মোঃ আবদুল মান্নান সোহেল, সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর ও সাকিফ আহমেদ সালাম, ইউএনডিপি’র প্রতিনিধি জাহিদুল হক, এনআরপি’র সহকারী প্রকল্প পরিচালক মিস ফাতেমা, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
স্টাডি রিপোর্ট উপস্থাপন করেন এনআরপি’র কনসালটেন্ট ড. রিয়াজ আক্তার মল্লিক, ড. নজরুল ইসলাম, ড. আবু তৈয়ব মো. শাহজাহান ও সুমাইয়া বিনতে মামুন।
প্রধান অতিথি প্ল্যানিং কমিশন প্রোগ্রাম ডিভিশন’র চীফ (অতিরিক্ত সচিব) খন্দকার আহসান হোসেন বলেন, যেকোন সমস্যা সমাধানে গবেষণা ও সমীক্ষা পরিচালনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খাতুনগঞ্জ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে যে অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধিত হয় তা নিরুপণের লক্ষ্যে এই রিসার্চ করা হয় এবং আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরী করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর পেশ করা হবে। তিনি এই জলাবদ্ধতা দূরীকরণে চিটাগাং চেম্বারকে অগ্রণী ভূমিকা পালনসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানান।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন,৩০০-৪০০ বছরের পুরানো এবং প্রায় ২৫০ বছর আগে নামকরণকৃত খাতুনগঞ্জে ২০০৪ সাল থেকে জলাবদ্ধতার কারণে দোকান ও গুদামের মালামাল নষ্ট হয়ে শত শত কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। তিনি চাকতাই খালকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে জলাবদ্ধতা নিরসনে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী কার্যকরী পরিকল্পনা গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেন। চট্টগ্রাম বন্দর তথা দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে কর্ণফুলী নদী ড্রেজিং করা, নালা নর্দমা নিয়মিত পরিস্কার করা, চাকতাই খালকে নৌ-চলাচলের উপযোগীকরণ, খালের মাটি দ্রæত উত্তোলন ও গভীরতা নিশ্চিত করা, খালের দুই পাড়ে রাস্তা ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ, মিঠা পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থাকরণ এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের মধ্যে সমন্বয় সাধনের অনুরোধ জানান।
জয়েন্ট চীফ ও প্রকল্প পরিচালক-এনআরপি ড. নুরুন নাহার জলাবদ্ধতাকে চট্টগ্রামের উন্নয়নের অন্যতম প্রধান প্রতিবন্ধকতা উল্লেখ করে পরিকল্পিত পরিকল্পনার মাধ্যমে এর সমাধান সম্ভব বলে মনে করেন। তিনি কর্মশালা থেকে প্রাপ্ত পরামর্শ ও নির্দেশনা এ সমীক্ষাকে আরও সমৃদ্ধ করবে উল্লেখ করে নীতি নির্ধারকদের কাছে উপস্থাপন করা হবে বলে জানান।
প্রফেসর খন্দকার শাব্বির আহমেদ সমীক্ষা রিপোর্টকে বিজ্ঞানসম্মত উল্লেখ করে জানান রাজপথগুলো কাজে লাগিয়ে নগরীর বিন্যাস পুনরুদ্ধার করা যায়। তিনি এই সমীক্ষার উপর ভিত্তি করে আরও পর্যালোচনার মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা এবং সরকারি, আন্তর্জাতিক বিশেষ করে জলবায়ু তহবিল ও বেসরকারি খাতের সহযোগিতায় বাস্তবায়নের পরামর্শ প্রদান করেন।
চেম্বার পরিচালক মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন) বলেন,খাতুনগঞ্জ, আছাদগঞ্জ, কোরবানীগঞ্জ, চাকতাইসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিদ্যমান নালা নর্দমা একটির সাথে অপরটি সংযুক্ত হলেও তা হারিয়ে গেছে। এসব সংযোগ পুনরুদ্ধার করে আপাতত স্বল্পমেয়াদী সমাধানের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের বিষয় বিবেচনায় আনতে হবে।
ধন্যবাদজ্ঞাপনসূচক বক্তব্যে চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ নাগরিকদের সচেতনতার উপর গুরুত্বারোপ করে খাতুনগঞ্জকে ইতালির ভেনিস নগরীর আদলে পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে কানেক্টিভিটি উন্নয়নের অনুরোধ জানান।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, চট্টগ্রামে বেদখল ও ভরাটকৃত খালসমূহ পুনরুদ্ধার, নদীর পাড় উন্নয়ন করে পর্যটন প্রসার, প্রয়োজনে বসতি স্থানান্তর, প্রাকৃতিক জলাধার রক্ষা করা, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা, সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা, পাহাড়ী মাটি খাল-নালায় না আসা, এলাকার জনগণকে সম্পৃক্ত করা, নালা ও খালে বর্জ্য নিক্ষেপের ক্ষেত্রে জনগণের আচরণ পরিবর্তনের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে উক্ত এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব হবে।
# এনইউ
১১টি ভৌত ও রাসায়নিক প্যারামিটারে দেশের মিঠা পানির প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র বিস্তারিত
চট্টগ্রামের বন্দর থানার নিমতলা এলাকায় লাকড়ির দোকানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে বিস্তারিত
চট্টগ্রামের স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাগুলো শিক্ষার্থী বরণে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে। বিস্তারিত
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর (সোমবার) থেকে দুপুরে করোনা টিকা বিস্তারিত
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিস্তারিত
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৮২ জন। যা নমুনা পরীক্ষা তুলনায় ৫ দশমিক ৫৩ বিস্তারিত
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে যানজটে আটকে পড়ায় ১৩ হকারকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয়রা বলছেন, বিস্তারিত
প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে জনস্বার্থবিরোধী হাসপাতাল নির্মাণ করে সিআরবি ধ্বংসের চক্রান্ত বিস্তারিত
চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১০৬ জনের। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত ১ লাখ ৬৬৬ বিস্তারিত
© Copyright JAGORON.NEWS
Developed By Muktodhara Technology Limited