শিরোনাম

চুয়ান্ন শেষে চবি, শিক্ষার্থীদের ভাবনা কী?

নুর নবী রবিন জাগরণ ডট নিউজ

আপডেট: নভেম্বর ১৯, ২০২০ ১১:১৫

image

প্রতিষ্ঠার চুয়ান্ন বছর পার করে আজ পঞ্চান্নতে পা রাখলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর মাত্র পাঁচটি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু হয় দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের সর্বোচ্চ এ বিদ্যাপীঠের। চট্টগ্রাম শহর হতে ২২ কিলোমিটার দূরে হাটহাজারীর ফতেহপূর ইউনিয়নের জোবরা গ্রামে অবস্থিত এ ক্যাম্পাসের বর্তমান আয়তন প্রায় ২১ শ একর। যা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আয়তনের দিক থেকে সর্বোচ্চ। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য নিজস্ব শাটল ট্রেনের ব্যবস্থা এ বিশ্ববিদ্যালয়কে করেছে অনন্য। 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১০টি অনুষদ ও ২টি ইনস্টিটিউটের আওতাধীন ৫৪টি বিভাগে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম করছে প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী। প্রতিষ্ঠানটির চুয়ান্ন বছর শেষে পঞ্চান্নতম জন্মদিনে কী ভাবছে বর্তমান শিক্ষার্থীরা? কয়েকটি বিভাগে গত চার বছরে সবচেয়ে ভালো রেজাল্ট করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে  কয়েকজনের সাথে কথা হয় জাগরণ ডট নিউজের।

প্রতিবেদকের কাছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নিজেদের আশা আকাঙ্খা প্রাপ্তি আর প্রত্যাশার কথা প্রকাশ করেছেন সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী এলিনা আকতার, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহাবুবুল মাওলা, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী নুজহাত তাবাসসুম তুরী এবং মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ইনসান আলী। 

জান্নাতুল ফেরদৌস: আজ ১৮ই নভেম্বর, ২০২০ । আমার প্রাণের ক্যাম্পাস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। চবিতে আমার পথচলার চার বছর পূর্ণ হলো মাস দুয়েক আগে, যদিও চবির খুব কাছে আমার বাড়ি হওয়ায় অনেক আগে থেকেই আমি পরিচিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে। আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগে ভর্তি হই ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে। স্বভাবতই আমি ক্লাস করতে খুব পছন্দ করি, শিক্ষকদের নির্দেশনা মেনে চলতে পছন্দ করি। কিন্তু প্রথম যখন আমি প্রতিদিন ক্লাস করতাম, তখন এক শ্রেণীর মানুষ আমাকে বলতো , বিশ্ববিদ্যালয়ে অতো ক্লাস করা লাগেনা, ক্লাস করে খুব উপকার হয়না। কিন্তু এক্ষেত্রে আমার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন আমার মা এবং আমার বিভাগের শিক্ষকগণ। তাদের অনুপ্রেরণায় আমি প্রতিদিন প্রতিটা কোর্সের ক্লাস করতাম। এভাবে আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষকগণের থেকে আমি যা শিখেছি তার কোন বিকল্প হয়না। এক্ষেত্রে আমি মনে করি, আমরা যারা শিক্ষার্থী আছি তাদের এবং আমাদের যারা পরামর্শদাতা কিংবা অভিভাবক আছেন তাদের দৃশটিভঙ্গিতে পরিবরতন আনা দরকার। আমি যখন শিক্ষার্থী তখন আমার সর্বপ্রথম এবং প্রধান কাজ হলো জ্ঞান অর্জন করা আর জ্ঞানারজনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কোন বিকল্প আছে বলে আমি মনে করিনা। আবার আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকগণ যদি আমার মতন ক্লাসে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে বছরের শুরু থেকেই প্রতিটা কোর্সের পর্যাপ্ত ক্লাস নেন , তাহলে আমরা আমাদের জ্ঞানের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করতে সক্ষম হবো। সর্বশেষ আমি বলতে চাই , আমি ছিলাম বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী  আর বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীর স্বপ্ন কখনোই ছিলনা সমাজতত্ত্ব পড়ার। আবার এই বিষয় পড়তে পারব কিনা সেটি নিয়েও আমি শঙ্কিত ছিলাম । কিন্তু আমি পেরেছি, ভয়কে আমি জয় করতে পেরেছি , সমাজতত্ত্ব আমি পড়তে পেরেছি এবং এখনও পড়ছি। আর এই পারার পেছনে ছিলেন আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষকগণ এবং আমার সহপাঠীরা, যাদেরকে আমি পেয়েছি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারার সুবাদে। ধন্যবাদ চবি , আমার মতো লাখো শিক্ষার্থীকে আশার আলো দেখানোর জন্য। তোমার ছায়ায় আশ্রয় পেয়ে আমি ধন্য , তোমার রূপলাবণ্যে আমি মুগ্ধ।

এলিনা আকতার: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। একটি আবেগ আর অনুভূতির নাম। ৪বছর আগে আমার নামের পাশেও যুক্ত হয়েছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। কেউ জিজ্ঞেস করলেও গর্ব করে বলার মতো নাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় । উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে সবারই ইচ্ছে থাকে ভালো কোথাও চান্স পাওয়া, ভালো জায়গায় ভর্তি হওয়া। পরীক্ষা শেষে টানা ২বছর প্রিপারেশন নিয়েছিলাম মেডিকেল পড়ার জন্য।ব্যর্থতা আমার হলো না। মেয়ে হওয়ার বদৌলতে চট্টগ্রামের বাইরে পড়ার সাহস আর অনুমতি কোনোটাই ছিল না। বাকি রইল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। আরো একটি স্বপ্নের জায়গা।প্রথমবার ভর্তি পরীক্ষা বলতে শুধুমাত্র এফ & এ ইউনিট দেওয়া এবং অকৃতকার্য। দ্বিতীয়বার আবার অংশগ্রহণ, শেষ চেষ্টা। বি ইউনিট এর ফর্ম নিতে গিয়ে ভুলে নেওয়া বি৭ ইউনিটের 'আই ই আর'  ওয়েটিং লিস্টে নিজের নাম দেখে অনেকটা অবাক হয়েছিলাম আর ঠিক করলাম যতদিন ওয়েটিং থেকে ডাকছে না আমি কোথাও ভর্তি হচ্ছি না। ভর্তি কার্যক্রম একদম শেষের দিকেই আমি ভর্তি হই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে।মাথায় তখন কাজ করছিল কোন সাবজেক্টে পড়ছি ওটা বড় কথা নয়,বড় কথা হচ্ছে আমিও এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন। শুরুরদিকে অনেক খুশি ছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী বলে। দিন যতই যেতে লাগলো নিজ ইনস্টিটিউটের অবস্থা সব চোখের সামনে একের পর এক ভেসে উঠতে থাকলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট এর মতো ক্লাস রুম না থাকা, কমনরুম, ক্যান্টিন, লাইব্রেরি বলতে গেলে জীর্নশীর্ন এক জায়গা কে আপন করে নেওয়া।র সায়ন ডিপার্টমেন্টের একজন স্যার আমাদের অনেক উৎসাহ দিয়েছিল সে সময়।তিনি বলেন," আই ই আর এর মাত্র ৫বছর আর তোমরা আলাদা ইন্সটিটিউট, আলাদা ক্যাম্পাস পেয়েছো। আর আমাদের এর রসায়ন ডিপার্টমেন্টটা "রসায়ন ডিপার্টমেন্ট " হইতে ৫০বছর সময় লেগেছে। সবকিছু একদিনে হয় না। তোমরাও হয়তো একসময় আমাদের মতোই "আই ই আর" নিয়ে গর্ব করবে।" সেই থেকে ইনস্টিটিউট নিয়ে হতাশা অনেকটা ছুড়ে ফেলে দিয়েছি। সেশনজট- প্রতিষ্ঠান নিয়ে সবাই হাসিতামাশা করে কিন্তু এখন আর আগের মতো গায়ে লাগে না, সহ্য করতে শিখে গেছি। আমরা এখন আই ই আর কে নিয়ে গর্বও  করতে শিখে গেছি। প্রতিদিন সকাল সকাল উঠে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে ক্লাসে যাওয়া, ক্লাস করা,ক্লাসের ফাঁকে দুষ্টুমি, ক্লাসের পরে সবাই মিলে আড্ডা দেওয়া, ঘোরাঘুরি এসব নিয়েই আমি সন্তুষ্ট। ট্রেনে আসা যাওয়া নিয়ে বলতে গেলে বলা যায় ট্রেনে আসা যাওয়ার অভিজ্ঞতা আমার ৪বছর জীবনের খুবই কম। তার অবশ্য কারণও আছে। ক্লাস করে ক্যাম্পাস থেকে ফেরার সময় বন্ধুবান্ধবরা সবাই মিলে শাটলে উঠি।স্বাভাবিকভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের   ২৭,৮৩৯ জন শিক্ষার্থীর জন্য শাটল পর্যাপ্ত নয়। তাই ধাক্কাধাক্কি করে সিট ধরতে হতো তখন। সেদিন সিট না পেয়ে আমি আর এক বান্ধবী মিলে বসলাম শাটল ট্রেনের দরজায়। ভালোই লাগছিলো ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত। ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন পার হওয়ার পর ট্রেন যখন একটু স্পিড হচ্ছিলো, বাইরে থেকে কে জানি আমার ব্যাগ টান দিলো। যদি ও ব্যাগটা আমার হাতের মধ্যেই ছিল বলে সেবার বেঁচে গেলাম।এরপর থেকে ট্রেনে আসা যাওয়া খুব একটা করা হয়ে উঠে না। তার উপর গ্রীষ্মকালে তীব্র গাদাগাদি করে দাড়ানো,ঝুলে ঝুলে আসা যাওয়া আমার দ্বারা হয়ে উঠতো না। এর পর থেকে বাস ই শেষ ভরসা। অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া,গাড়ির জ্যাম,এতটুক জার্নি  সত্ত্বেও বাস জার্নি করেই আসা যাওয়া করতাম।

যদি আমাকে কেউ জিজ্ঞেস করে আমার বিশ্ববিদ্যালয়, আমার ইন্সটিটিউট নিয়ে আমি কতটুক সুখী, যদি আমাকে বলা হয় আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কোন দিক উন্নতি করতে চাইবো,আর ৪বছরে আমার প্রাপ্তি কতটুকু পূর্ণতা পেয়েছে? উত্তরে আমি বলব শতভাগ মোটেও নই। যদি যাতায়াত ব্যবস্থা নিয়ে বলে তাহলে সবার আগে আসে শাটল ট্রেন মেরামত,বগিবৃদ্ধি আর নতুন শাটল চালু করা। কেননা এত বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থীর জন্য শাটলে সিট পর্যাপ্ত না। সে ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য টিচারদের মতো স্টুডেন্ট বাসও চালু করা যেতে পারে। আর ট্রেনের পাথর নিক্ষেপ,ব্যাগ টান নিয়ে নিজে সচেতন থাকা, ট্রেনের দরজা আর ট্রেনের উপরে না উঠা। উন্নয়নের সবটুকু  আমি আমার ইন্সটিটিউটের জন্যই করব।প্রথমত সেশন জট নিরসন করা। বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের এই বিষয়ে এগিয়ে আসা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহ্যিক সৌন্দর্য এর দিকে নজর না দিয়ে উচিত ভেতরের সৌন্দর্যে ফোকাস করা। অনেকটা "তেলে মাথায় তেল দেওয়া বন্ধ করা।"আই ই আর এর অবকাঠামোগত উন্নয়ন জরুরি।লাইব্রেরির ব্যবস্থা করা,ল্যাব,সেমিনারের ব্যবস্থা করা। আই ই আর এর বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়। কেমিস্ট্রি, ফিজিক্স, জুওলজি,বোটানি এসব কোর্স শেষ করতে আমাদের দৌঁড়াতে হয় আই ই আর টু সায়েন্স ফ্যাকাল্টি, বায়োলজি ডিপার্টমেন্ট।একবার ইন্সটিটিউটে ক্লাস আরেকবার ঠিক অপর প্রান্তে এসব জায়গায়। কষ্ট তো আছেই, সাথে এই আসা যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সুবিধা ও নেই।নিজেদের খরচে রিকশা ভাড়া দিয়ে আসা যাওয়া করতে হয়। কোর্স শেষে আবার ব্যবহারিক। আই ই আর থেকে আমরা যখন ল্যাবে যাই, আমাদের অনেকটা তাচ্ছিল্যের ভঙ্গিতেও দেখা হয়। অনেকটা ভাব কি দরকার এদের পিছে খরচের। কোনোমতে একটা দিয়ে ১০ জন গনহারে বুঝিয়ে কাজ শেষ করলেই হয়। নিজস্ব ল্যাবের যে কতটুকু প্রয়োজন একমাত্র আমরাই জানি। এত কিছু সহ্য করার পর ও যখন সময় মতো পরীক্ষা নেওয়া না হয়,রেজাল্ট দিতেও বছর হয়ে যায় তখন আমরা হতাশ হয়ে পড়ি। ৪বছরের জায়গায় ৭/৮বছর আটকে থাকা এবং স্নাতক শেষে চাকরিতে কতটুকু সফল হতে পারবে এই নিয়ে দিনশেষে সবাই চিন্তিত নিজেদের লাইফ নিয়ে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া যেমন প্রশান্তি। তেমনি ভাবে এসব নিয়ে চিন্তাও যেন দুশ্চিন্তা।আক্ষেপ বলতে শুধু এই সেশন জটই। সময় মতো বের হওয়ার। বাকি বিশ্ববিদ্যালয় জীবন যেন আমার কাছে এক স্বপ্নে বাস। আই ই আর আমার ভালোবাসার জায়গা।স্বপ্ন দেখি এসব সমস্যা কাটিয়ে আই ই আর ও একসময় সবার পছন্দের শীর্ষে থাকবে। মানুষ হাসিখুশি আই ই আরে ভর্তি হবে, অন্যদের ও ভর্তি হতে উৎসাহিত করবে। এসব না পাওয়ার কষ্ট,আমাদের ত্যাগকে তখন হাসিমুখে স্মৃতিতে জায়গা দিব। ইনশাআল্লাহ।

মাহাবুবুল মাওলা: স্বপ্ন ছোঁয়ার উদ্যম সেদিন ই শুরু হয়েছিল যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়ে আমার পদ চারণা শুরু হয়েছিল। সেদিন জন্মসুত্রে পাওয়া একটি পরিবারের পর আরেকটি পরিবার পেয়েছিলাম। যে পরিবার আমাকে সযত্নে আগলে রেখেছে এ ক'টি বছর। ২১০০ একরের এ ভূমি যেন আমার মায়ের আঁচলসম। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি শিখিয়েছে জীবন সম্পর্কিত অনেককিছু। তাই ভালোবেসে প্রিয় বিদ্যাপীঠকে বলি আমার এবং আমার প্রথম পরিবারের স্বপ্নের ঠিকানা৷ প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে এ ক্যাম্পাসে আমার বিচরণ। আজ অবধি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে শিখিয়েছে কীভাবে ভালোবাসতে হয়, কীভাবে সবার সাথে মানিয়ে নিতে হয়৷ যদি কেউ প্রশ্ন করে জীবনে কী পেয়েছি?- তাহলে শুরুতেই বলবো চবির মতো একটি প্রতিষ্ঠান পেয়েছি। শুভ জন্মদিন চট্টগ্রাম। 

নুজহাত তাবাসসুম তুরী, : আজ ১৮ নভেম্বর। দেশের অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের  জন্মবার্ষিকী।গৌরব আর ঐতিহ্যের ৫৩ বছর পেরিয়ে ৫৪ বছরে পা দিলো চিরসবুজ চবি।শিক্ষা, গবেষণা,বিতর্ক, সংস্কৃতি চর্চা ও খেলাধুলায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করছে চবি শিক্ষার্থীরা। শুধু দেশেই নয় বিশ্বজুড়ে  শিক্ষা ও সাহিত্যের আলো ছড়াচ্ছে তারা।

কিন্তু করোনা মহামারীতে প্রাণবন্ত ক্যাম্পাসের সেই রঙিন মুখ যেন আজ মলিন। প্রায় আট মাস ধরে বিষন্ন মন নিয়ে চার দেয়ালে আটকে আছি আমরা সবাই। খুব মনে পড়ে প্রিয় ক্যাম্পাস কে।প্রতিদিনের মত আজও মনটা পড়ে আছে প্রিয় ক্যাম্পাসের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ৫০৪ নম্বর কক্ষে,প্রিয় বিভাগের অলিন্দে, সেমিনারে ও ঝুপড়ির আড্ডায়।

সুস্থ এক পরিবেশে আবার জমে উঠবে আমাদের  শাটল, জিরো পয়েন্ট, ঝুপড়ির আড্ডা গুলো। সবার পদচারণায় মুখরিত হবে চবি ক্যাম্পাস।এই মহামারিতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাই সুস্থ থাকুক সেই প্রত্যাশাই করছি।

ইনসান আলী, এমবিএ : পাহাড়ী এলাকায় অবস্থিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম যে দিকটি আমার হৃদয়ে আছড় কেটেছে তা হলো এর অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।১৯৬৬ সালে যাত্রা শুরু করা এ বিদ্যপিঠটির মুক্তিযুদ্ধে ছিলো সক্রিয় অবদান। দেশবরেণ্য বহু খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বের আধার এ চবি। শিক্ষাঙ্গন আয়তনের দিক দিয়ে সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়টির রয়েছে উল্লেখ করার মতো নানা দিক। একমাত্র চবির রয়েছে নিজস্ব শাটল ব্যবস্থা যা হাজারো স্মৃতিঘেরা চবির ঐতিহ্য। সম্প্রতি বগিভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করায় শাটল ঐতিহ্যে যোগ হয়েছে এক নতুন মাত্রা। চবি ক্যাম্পাসে খ্যাতনামা শিল্পীর নজরকাড়া স্থাপত্যকর্মগুলো ধারণ করে আছে দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য।এখানে রয়েছে দেশের তৃতীয় সর্ববৃহৎ লাইব্রেরি যা দেশী-বিদেশী, দুষ্প্রাপ্য ও দূর্লভ বইসহ প্রায় দু লক্ষাধিক বইয়ের সংগ্রশালা। চবির যাদুঘরে রয়েছে ঐতিহাসিক পুরাকীর্তি ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহ। সব মিলিয়ে অনন্য যৌবনা চবি একজন শিক্ষার্থীর জন্য হতে পারে স্বপ্নের মতোন। সেশনজটজনিত কিছু সমস্যা কয়েকটা বিভাগে যদিও আজও রয়ে গেছে যা কাটিয়ে উঠতে পারলে চবি একদিন হয়ে উঠবে দেশের সেরা বিদ্যাপীঠ। শুভ জন্মদিন চবি

image
image

রিলেটেড নিউজ


বগুড়া জিলা স্কুলের তিন শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত

বগুড়া জিলা স্কুলের তিন শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত হয়েছে। পঞ্চম শ্রেণির একজন এবং দশম বিস্তারিত


সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ‘মানসিকভাবে প্রস্তুত নন’ অভিভাবকরা

করোনা মহামারির এই সময়ে ভ্যাকসিন ছাড়া এবং স্কুলগুলোর সন্তোষজনক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিস্তারিত


প্রাথমিকে প্রতিদিন দুই শ্রেণির ক্লাস, আসছে মৌলিক রুটিন

প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর করোনা মহামারি পরিস্থিতি ক্রমে শিথিল হওয়ায় আগামী ১২ সেপ্টেম্বর বিস্তারিত


'সংক্রমণ বাড়লে আবারো স্কুল-কলেজ বন্ধের পরামর্শ দেওয়া হবে'

দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়লে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবারো বন্ধের পরামর্শ দেওয়া হবে জানিয়েছেন বিস্তারিত


এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র তালিকা প্রকাশ

২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র তালিকা প্রকাশ করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিস্তারিত


বিশ্ববিদ্যালয় খুললেই একটি গোষ্ঠী বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে : সেতুমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শিগগিরই বিস্তারিত


চবি ছাত্রের বিরুদ্ধে কলেজছাত্র অপহরণের অভিযোগ!

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ছাত্র শহিদুল ইসলামের বিস্তারিত


১৭ অক্টোবর থেকে খুলছে বিশ্ববিদ্যালয়

আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এর আগে টিকা বিস্তারিত


টিকা কার্যক্রম দেখে পহেলা অক্টোবর খুলবে ঢাবির হল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): টিকা কার্যক্রম দেখে আগামী পহেলা অক্টোবর থেকে ঢাকা বিস্তারিত


image
image

নামাজের সময়সূচি

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত

এক ক্লিকে বিভাগীয় খবর

আবহাওয়া

ক্যালেন্ডার

March 2017
M T W T F S S

চট্টগ্রাম বন্দরের সিডিউল

বিমান বন্দরের সিডিউল


Cities_image
Cities_image

জোয়ার ভাটা

Cities_image