শিরোনাম

ধর্ষণ মামলায় ‘বয়ান’ পাল্টালেন দুই সাক্ষী, কান্নায় লুটিয়ে পড়লেন তরুণী

শরীয়তপুর প্রতিনিধি: জাগরণ ডট নিউজ

আপডেট: নভেম্বর ২২, ২০২০ ১৮:২৮

image

গত বছর ২৯ জুন শরীয়তপুরের জাজিরার একটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল পৌর এলাকার বাসিন্দা মাসুদ ব্যাপারীর (৩২) বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় তরুণী মাসুদ তাঁর সহযোগী শরীফ সরদারকে আসামি করে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।

রোববার ওই ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ কার্যক্রম চলছিল শরীয়তপুর নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে। মামলার দুজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীকে বয়ান পাল্টাতে দেখে আদালতের বারান্দায় কান্নায় লুটিয়ে পড়েন ওই তরুণী।

জাজিরা থানা, স্থানীয় বাসিন্দা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই তরুণী জাজিরার একটি দরিদ্র পরিবারের মেয়ে। পড়ালেখার পাশাপাশি উপজেলা সদরের একটি রোগনির্ণয়কেন্দ্রে কাজ করতেন তিনি। গত বছরের ২৯ জুন সন্ধ্যায় নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন অভিযোগযুক্ত মাসুদ।

ঘটনার পর তরুণীকে উদ্ধার করেছিলেন মানছুরা বেগম আলেকজান বেগম নামের দুই নারী। তাঁরা গণমাধ্যমের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছিলেন। গত বছরের ১১ জুলাই তাঁরা শরীয়তপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জবানবন্দি দেন। আজ তাঁরা নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিতে এসে আদালতকে বলেন, ঘটনার বিষয়ে তাঁরা কিছুই জানেন না।

দুই সাক্ষীর এমন বয়ান শুনে কাঁদতে শুরু করেন তরুণীটি। কাঁদতে কাঁদতে আদালতের বারান্দায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। মেয়ের কান্না দেখে মাবাবাও কাঁদতে থাকেন।

কাঁদতে কাঁদতে তরুণীটি  বলেন, ‘আমার জীবন শেষ হয়ে গেছে। পড়ালেখা, স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকা; সবই বন্ধ হয়ে গেছে। তারপরও বিচার চাইতে আদালতে আসছি। প্রতিনিয়ত বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে। নানা গঞ্জনা সইতে হচ্ছে। আসামিরা প্রভাবশালী। তাঁরা হুমকি দিচ্ছেন। গরিব বলে কি বিচার পাব না? সঠিক বিচার না পেলে এই জীবন রাখব না। গঞ্জনার জীবন রেখে কী হবে!’

ওই তরুণীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়েটি এখন ঘর থেকে বের হতে পারে না। তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। এসব জানিয়ে থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করেছি। তাঁরা প্রভাব বিস্তার করে সাক্ষীদের প্রভাবিত করছেন। গরিব মানুষ আমরা, কেউ আমাদের পাশে নেই।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মির্জা হযরত আলী  বলেন, ‘ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্য নেওয়ার কার্যক্রম চলছে। আদালতের বাইরে আসামিরা হয়তো সাক্ষীদের প্রভাবিত করেছেন। কারণে তাঁরা আগের বয়ান বদলে থাকতে পারেন। সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিনে একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চিকিৎসকের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আমরা আশা করছি, ভুক্তভোগী নারী ন্যায়বিচার পাবেন।

image
image

রিলেটেড নিউজ


চলন্ত ট্রেনে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা ‘ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায়’: র‌্যাব

ঢাকা থেকে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেনে দুজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় বিস্তারিত


গোলাপীর হাত-পা বেঁধে নির্জন চরে ফেলে এলেন স্বামী!

সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে নিজের স্ত্রীকে হাত-পা বেঁধে নির্জন চরের কাশবনে ফেলে দিয়েছেন বিস্তারিত


নোয়াখালীতে প্রকাশ্যে গুলি ছোড়া ছাত্রলীগ নেতাসহ চার অস্ত্রধারী গ্রেপ্তার

নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলা ও ধাওয়ার সময় অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি বিস্তারিত


সিআইডির বরখাস্ত এসআই আকসাদুর ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার

ঢাকার বিমানবন্দর এলাকায় গত বছর একটি আলোচিত ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সিআইডির বিস্তারিত


মাকে নির্যাতন, ‘ছেলের দায়ের কোপে’ প্রাণ গেল বাবার

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় মাকে নির্যাতন করায় ছেলে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে বিস্তারিত


একটি চক্রই ছিনতাই করেছে শতাধিক গাড়ি! 

নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ গাড়ি ছিনতাই চক্রের মূল হোতাসহ পাঁচ বিস্তারিত


অন্যের ছবি দেখিয়ে পাত্রী চাই বিজ্ঞাপন, যুবক গ্রেফতার

র‌্যাংকস এফসি প্রোপার্টিস লিমিটেডের সিইও প্রকৌশলী তানভীর শাহরিয়ার রিমনের ছবি ব্যবহার বিস্তারিত


স্বামীকে খুন করলেন নিজেই, সংবাদ সম্মেলনে চাইলেন বিচfর

প্রায় পাঁচ মাস আগে (২৭ মার্চ) নিজ কক্ষে এক ক্যাবল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় বিস্তারিত


পাবজি, ফ্রি ফায়ার বন্ধে বিটিআরসির কার্যক্রম শুরু

পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ক্ষতিকর অনলাইন গেমস দেশে বন্ধ করতে কার্যক্রম গ্রহণের পাশাপাশি বিস্তারিত


image
image

নামাজের সময়সূচি

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত

এক ক্লিকে বিভাগীয় খবর

আবহাওয়া

ক্যালেন্ডার

March 2017
M T W T F S S

চট্টগ্রাম বন্দরের সিডিউল

বিমান বন্দরের সিডিউল


Cities_image
Cities_image

জোয়ার ভাটা

Cities_image