শিরোনাম
নুর নবী রবিন জাগরণ ডট নিউজ
আপডেট: ডিসেম্বর ১, ২০২০ ১৯:২১
বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে যাওয়া মহামারি করোনা ভাইরাসের (কোভিড ১৯) তান্ডবে পুরো পৃথিবীর স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দেখা গেছে এক দিশেহারা চিত্র। অনুন্নত কিংবা উন্নয়নশীল দেশগুলোর মতোই সেবা দিতে হিমশিম খেয়েছে ইউরোপ - আমেরিকার উন্নতমানের হাসপাতালগুলোও।
দেশে কোভিড সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে গেলে সরকারি হাসপাতালগুলোর পাশাপাশি প্রথম বেসরকারি হাসপাতাল হিসেবে কোভিড আক্রান্ত রোগীদের সেবা নিয়ে এগিয়ে আসে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল।
জেনারেল চিকিৎসা এবং মা ও শিশুর বিশেষায়িত সেবার মাধ্যমে সুনাম কুঁড়ানো প্রতিষ্ঠানটি কোভিডকালেও অর্জন করেছে ভূয়সী প্রশংসা।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ড হতে মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সেবা নিয়েছে ২ হাজার ২ শ ১৩ জন রোগী। বর্তমানে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি আছে ১শ'য়েরও বেশি রোগী। ১১টি কেবিন ও ৩৬টি বেডের সাথে করোনা ওয়ার্ডে যুক্ত আছে ২৫টি অবজারভেশন রুম। রোগীদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে কোভিড ওয়ার্ডের প্রতিটি শিফটে কাজ করছেন ৫৬জন ডাক্তার, নার্স ও স্টাফ। হাসপাতালটির নবনির্মিত নতুন ভবনের তিনটি ফ্লোর জুড়ে চলছে কোভিড আক্রান্ত রোগীদের এই শুশ্রূষা।
হাসাপাতলের পরিচালক ডা. নুরুল হক জাগরণ ডট নিউজকে জানান, মানুষকে সেবা প্রদানই আমাদের মূখ্য উদ্দেশ্য। আমাদের কোভিড ওয়ার্ডে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিটি শিফটে কাজ করা ডাক্তার নার্স ও স্টাফদের আবাসনের ব্যবস্থা করেছি। তাদের দিচ্ছি বাড়তি বেতন। কিন্তু আমরা রোগীদের কাছ থেকে কোনো অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছি না। দরিদ্র রোগীদের জন্য আমরা নিজেরাই নিজেদের বেতন থেকে একটা ফান্ড করেছি। করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরু হতেই আমরা সেবা দিয়ে আসছি। এখন আবার সংক্রমণ বেড়েছে। রোগী ফের বাড়তে শুরু করলে আমাদের নতুন ভবনের আরো একটি ফ্লোরে সেবা চালু করার পরিকল্পনা আছে। আমাদের বর্তমানে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন এবং হাই ফ্লো ক্যানোল সংগ্রহে রয়েছে।
ডা. নুরুল হক আরও বলেন, সংকটের সময় অনেক মানুষ আমাদেরকে সাহায্য করেছেন। অনেকে আর্থিক সাপোর্ট করেছেন। অনেকে নিজের নামটুকুও প্রকাশ করেন নি। একজন তো টেস্ট কিটের পুরো অর্থটাই দিয়েছেন। এসকল মহানুভব মানুষদের জন্যই দরিদ্র রোগীদের পাশে দাঁড়ানো সম্ভব হয়েছে।
এদিকে হাসপাতালের সেবা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন অনেক রোগী।
কিছুদিন আগে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি হন সমাজকর্মী আবু ইউসুফ রিপন। জাগরণ ডট নিউজকে তিনি বলেন, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স আর স্টাফদের আন্তরিকতাপূর্ণ সেবায় কিছুটা সুস্থ্য হয়ে এখন আমি বাসায় ফিরেছি। হাসপাতালটিতে কর্মরত সকলের মাঝে সর্বোচ্চটুকু দেওয়ার একটা প্রচেষ্টা আছে। শহরে দরিদ্র ও নিম্নমধ্যবিত্তদের জন্য এ হাসপাতাল আর্শিবাদস্বরূপ৷
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসাপাতালে গরীব রোগীদের চিকিৎসার জন্য নিজেদের অর্থায়নে ফান্ড তৈরি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া নিজেদের যাকাত ফান্ডের মাধ্যমেও দরিদ্র মানুষদের সাহায্য করছে হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা। প্রতিদিন এতিম বাচ্ছাদের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে খাবার সরবহরাহের সাথে মুসলিম অসচ্ছল রোগীদের জন্য প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে চিকিৎসার পূর্ণ ছাড়।
# এন ইউ
১১টি ভৌত ও রাসায়নিক প্যারামিটারে দেশের মিঠা পানির প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র বিস্তারিত
চট্টগ্রামের বন্দর থানার নিমতলা এলাকায় লাকড়ির দোকানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে বিস্তারিত
চট্টগ্রামের স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাগুলো শিক্ষার্থী বরণে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে। বিস্তারিত
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর (সোমবার) থেকে দুপুরে করোনা টিকা বিস্তারিত
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিস্তারিত
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৮২ জন। যা নমুনা পরীক্ষা তুলনায় ৫ দশমিক ৫৩ বিস্তারিত
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে যানজটে আটকে পড়ায় ১৩ হকারকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয়রা বলছেন, বিস্তারিত
প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে জনস্বার্থবিরোধী হাসপাতাল নির্মাণ করে সিআরবি ধ্বংসের চক্রান্ত বিস্তারিত
চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১০৬ জনের। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত ১ লাখ ৬৬৬ বিস্তারিত
© Copyright JAGORON.NEWS
Developed By Muktodhara Technology Limited