শিরোনাম

'জ্যেষ্ঠ শিক্ষক' পদ হলো সরকারি হাইস্কুলে

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাগরণ ডট নিউজ

আপডেট: ডিসেম্বর ৮, ২০২০ ১০:৪৮

image

দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে সৃষ্টি হলো 'জ্যেষ্ঠ শিক্ষক' (সিনিয়র টিচার) পদ। কর্মরত সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে মোট পদের অর্ধেক শিক্ষক পদে পদোন্নতি পাবেন। এটি প্রথম শ্রেণির পদ। এই পদে কর্মরত শিক্ষকরা জাতীয় বেতন স্কেলের নবম গ্রেডে (২২ হাজার টাকা মূল বেতন) বেতন পাবেন। প্রথমবারের মতো এই পদ সৃষ্টি করে তাতে পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু করেছে এই বিদ্যালয়গুলোর নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ 'মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর'(মাউশি) এই পদে সারাদেশের পাঁচ হাজার ৪০৬ জন শিক্ষক এবার পদোন্নতি পেতে যাচ্ছেন।

বিষয়ে মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক বেলাল হোসাইন বলেন, সরকারি হাইস্কুলে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এরই মধ্যে বিষয়ে সরকারি গেজেটও হয়েছে। এখন পদের জন্য যোগ্যদের তালিকা করা হচ্ছে। শিগগিরই পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে।

মাউশি সূত্র জানায়, সারাদেশের মোট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে (নতুন জাতীয়করণসহ) ৬৮৩টি। এসব বিদ্যালয়ে বর্তমানে জ্যেষ্ঠ শিক্ষকের কোনো পদ নেই। জাতীয় বেতন স্কেলের দশম গ্রেডে সহকারী শিক্ষক হিসেবে এন্ট্রি পদে চাকরিতে ঢুকে শিক্ষকরা ক্রমান্বয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি পান। সরকার সহকারী শিক্ষক সহকারী প্রধান শিক্ষকের মাঝে নতুন করে 'জ্যেষ্ঠ শিক্ষক' পদ সৃষ্টি করেছে। শতভাগ পদোন্নতির মাধ্যমে পদ পূরণ করা হবে। চাকরির আট বছর পূর্ণ হলে সহকারী শিক্ষকরা পদে পদোন্নতির যোগ্য হবেন। তবে পদে পদোন্নতি পেতে শিক্ষকদের তিনটি শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রথমত, সহকারী শিক্ষক পদে আট বছরের সন্তোষজনক চাকরিকাল হতে হবে। দ্বিতীয়ত, যোগদান থেকে প্রথম পাঁচ বছরের মধ্যে বিএড ডিগ্রি অর্জন করতে হবে এবং তৃতীয়ত, শিক্ষাজীবনে একাধিক তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না।

মাউশি থেকে জানা গেছে, দেশের ৬৮৩টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদ রয়েছে ১০ হাজার ৮১২টি। এর বাইরে ৬৮৩টি প্রধান শিক্ষক ৬৮৩টি সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ রয়েছে। যদিও এসব পদের বিপুলসংখ্যক বর্তমানে শূন্য রয়েছে। ২০১২ সাল থেকে টানা সাত বছর শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ ছিল। এতে শূন্যতা তৈরি হয়। ২০১২ সাল থেকে কারিকুলাম সিলেবাস পরিবর্তনের কারণে গত আট বছরে চারটি নতুন বিষয় বিদ্যালয়গুলোতে চালু হয়েছে। এগুলো হলো- তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি), শারীরিক শিক্ষা, কর্মমুখী শিক্ষা, চারু কারুকলা। এসব বিষয়েরও কোনো বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে নেই। এক বিষয়ের শিক্ষক পড়াচ্ছেন অন্য বিষয়। তথ্যপ্রযুক্তির মতো মৌলিক বিষয়ও পড়ানো হচ্ছে অন্য বিষয়ের শিক্ষক দিয়ে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১২ সালের ১৫ মে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা ঘোষণা দেন। আর এবার প্রথম শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদায় 'জ্যেষ্ঠ শিক্ষক' পদও চালু হলো।

খসড়া গ্রেডেশন লিস্ট নিয়ে আপত্তি: পদে পদোন্নতিযোগ্য সহকারী শিক্ষকদের খসড়া গ্রেডেশন লিস্ট ডিসেম্বর মাউশির ওয়েবসাইটে টাঙিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে শিক্ষকদের কোনো আপত্তি থাকলে বা তথ্যগত কোনো ভুল থাকলে সাত দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়। গতকাল ডিসেম্বর সময় শেষ হয়েছে। জানা গেছে, বিপুলসংখ্যক সহকারী শিক্ষক এই খসড়া গ্রেডেশন লিস্ট নিয়ে তাদের আপত্তি মাউশিতে জানিয়েছেন। ডিসেম্বর বিপুলসংখ্যক শিক্ষক মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক . সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের লিখিত আপত্তি জানিয়ে আসেন।

মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুল মালিক, সিরাজগঞ্জের বিএল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আবু হাসেম কক্সবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. রাশেদ হোসাইন বলেন, নিয়োগবিধির শর্ত অনুসারে পাঁচ বছরের মধ্যে বিএড প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য তারা ২০১২, ২০১৩, ২০১৪ সালে মৌখিকভাবে প্রধান শিক্ষকের কাছে এবং ২০১৫ সালে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে লিখিতভাবে মাউশিতে আবেদন করেন এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বরাবরও প্রাথমিক আবেদন দেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক শ্রেণি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে তাদের অনুমতি দেননি।

একাধিক শিক্ষক জানান, মাউশির প্রকাশিত তালিকায় অনেক অসংগতি ত্রুটি রয়েছে। '৯১ এর পরবর্তী সময়ে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের ২০১৮-এর নিয়োগবিধি অনুযায়ী তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, যা তাদের নিয়োগবিধির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিএড বিষয়ক আদালতে মামলার রায় অনুযায়ী জন পিটিশনারের জন্য প্রয়োগ না করে সব শিক্ষকের জন্য প্রয়োগ করা হয়েছে, যা সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের মাঝে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মতো পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানসহ '১১ ব্যাচের নিয়োগপ্রাপ্ত সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নন-ক্যাডার বিধিমালা-২০১১' প্রয়োগ করা হয়নি। ছাড়া বিএডের ফলাফল প্রকাশের তারিখ না ধরে পাঁচ বছরে যারা বিএডে ভর্তি হয়েছেন, তাদেরই তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, পাঁচ বছরের ভেতর বিএড করেননি এমন অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকাকেও তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে। এসব কারণে গ্রেডেশন তালিকা নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।

এসব বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক বেলাল হোসাইন  বলেন, এটি তো খসড়া তালিকা। তাই এতে ভুল থাকার বিষয়টি অস্বীকার ক?

image
image

রিলেটেড নিউজ


বগুড়া জিলা স্কুলের তিন শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত

বগুড়া জিলা স্কুলের তিন শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত হয়েছে। পঞ্চম শ্রেণির একজন এবং দশম বিস্তারিত


সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ‘মানসিকভাবে প্রস্তুত নন’ অভিভাবকরা

করোনা মহামারির এই সময়ে ভ্যাকসিন ছাড়া এবং স্কুলগুলোর সন্তোষজনক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিস্তারিত


প্রাথমিকে প্রতিদিন দুই শ্রেণির ক্লাস, আসছে মৌলিক রুটিন

প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর করোনা মহামারি পরিস্থিতি ক্রমে শিথিল হওয়ায় আগামী ১২ সেপ্টেম্বর বিস্তারিত


'সংক্রমণ বাড়লে আবারো স্কুল-কলেজ বন্ধের পরামর্শ দেওয়া হবে'

দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়লে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবারো বন্ধের পরামর্শ দেওয়া হবে জানিয়েছেন বিস্তারিত


এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র তালিকা প্রকাশ

২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র তালিকা প্রকাশ করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিস্তারিত


বিশ্ববিদ্যালয় খুললেই একটি গোষ্ঠী বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে : সেতুমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শিগগিরই বিস্তারিত


চবি ছাত্রের বিরুদ্ধে কলেজছাত্র অপহরণের অভিযোগ!

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ছাত্র শহিদুল ইসলামের বিস্তারিত


১৭ অক্টোবর থেকে খুলছে বিশ্ববিদ্যালয়

আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এর আগে টিকা বিস্তারিত


টিকা কার্যক্রম দেখে পহেলা অক্টোবর খুলবে ঢাবির হল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): টিকা কার্যক্রম দেখে আগামী পহেলা অক্টোবর থেকে ঢাকা বিস্তারিত


image
image

নামাজের সময়সূচি

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত

এক ক্লিকে বিভাগীয় খবর

আবহাওয়া

ক্যালেন্ডার

March 2017
M T W T F S S

চট্টগ্রাম বন্দরের সিডিউল

বিমান বন্দরের সিডিউল


Cities_image
Cities_image

জোয়ার ভাটা

Cities_image