আমার স্বামী একটা সাইকো: তমা মির্জা

বিনোদন প্রতিবেদক: জাগরণ ডট নিউজ

আপডেট: ডিসেম্বর ১৯, ২০২০ ১৫:৪০

'আমার স্বামী হিশাম চিশতি একজন সাইকো। বিশ্বাস করুন আসলেই মানসিক রোগি সে। কোন কিছুই স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেনা সে। বিয়ের পর থেকেই আমাকে মানসিক অত্যাচারের মধ্যে রেখেছে। আমার অর্থের প্রতি লোভ তার। আমার উপার্জনের টাকা কেনো আমার পরিবারকে দেই। এটাতে বাধা দেয় সে।  আমাকে কাজ করতেও বাঁধা দেয়।আমার থেকে টাকা নিতে ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করে ।' চিত্রনায়িকা তমা মির্জা তার স্বামী হিশাম চিশতিকে নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন।

গত বছর মে মাসে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডীয় ব্যবসায়ী হিশাম চিশতির সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন তমা মির্জা। বিয়ের দেড় বছরের মাথায় এসে আলাদা থাকছেন তিনি। একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় মামলাও করেন। মামলায় হিশাম চিশতি উল্লেখ করেছেন পাওনা টাকা চাওয়ায় তাকে হত্যার চেষ্টা করেন তমা ও তার পরিবার। অন্যদিকে যৌতুক, নির্যাতন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মামলা করেছেন তমা মির্জা।

বিষয়টি নিয়ে আলাপের শুরুতেই স্বামী হিশাম চিশতিকে 'সাইকো' বলে মন্তব্য করেন তমা।

তমা মির্জা বলেন, ‘যৌতুকের জন্য আমাকে নির্যাতন করে হিশাম। শুধু তাই নয়, আমাকে মারধরও করেছে একাধিকবার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আমার সুনাম ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করেছে। বিভিন্ন জনের কাছে আমার নামে আপত্তিকর কথা বলে আসছে। আমার কাছের গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ফোন করে উল্টা-পাল্টা তথ্য দিচ্ছিল। যে তথ্যগুলো একেবারেই মিথ্যা। ও আসলেই একটা পাগল। আমি বেশ কয়েকবার তাকে জোর করে মানসিক ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছি। তার চিকিৎসার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। কিন্তু সে চিকিৎসা নিতে অনীহা প্রকাশ করে।   

হিশাম তার মামলার এজহারে জানিয়েছেন তমা ও তার পরিবার বিশ লাখ টাকা ধার নিলে তা চাইতে গেলে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে তমার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খবরটি পুরোপুরি মিথ্যা। তার কাছ থেকে আমার পরিবার টাকা ধার নেবে কেনো। সেই তো কানাডা থেকে দেশে এলে আমার টাকায় চলে। আমি যদি টাকা না দেই সে আমার উপর টর্চার করে। তার টর্চারের কারণেই আমার বাবার বাসায় চলে আসি। একদিন রাত তিনটায় সে আমার বাবার বাসায় এসে সিনক্রিয়েট করা শুরু করে। বিষয়টি নিয়ে বাড্ডা থানায় অভিযোগও করি। আমার দেখাদেখি সেও মামলা করে।

এখন কি ডিভোর্সের পথে আগাবেন, না সমাধানের পথে হাটবেন? জানতে চাইলে তমা মির্জা বলেন, এই পাগলের সঙ্গে সংসার করা তো সম্ভব না। সে আমাকে ডিভোর্সও দিতে চায়না। কয়েকবার মিউচুয়াল ডিভোর্স দিতে আইনজীবীর চেম্বারে গিয়েছিলাম আমরা। সেখানে আইনজীবীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করে চলে এসেছে। যেহেতু থানা পুলিশ হয়েছে এবার আইনিভাবেই এগোবো আমি।'

দেশের একজন পরিচিত অভিনেত্রী তমা মির্জা। ‌নদীজন’ চলচ্চিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে সেরা পার্শ্ব-অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন। কাজ করেছেন ‘বলো না তুমি আমার’, ‘ও আমার দেশের মাটি’, ‘অহংকার’সহ আরও কয়েকটি ছবিতে।