ইউসুফের ফোনে দুর্ঘটনা থেকে বাঁচল ট্রেন

জয়পুরহাট প্রতিনিধি: জাগরণ ডট নিউজ

আপডেট: ডিসেম্বর ২০, ২০২০ ১৬:০৫

ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ৭টা। ইউসুফ আলী (২৫) নামের এক যুবক রেললাইন দিয়ে হেঁটে মাঠে যাচ্ছিলেন বীজতলা দেখতে। এসময় রেললাইনে একটি ভাঙা স্থান তার চোখে পড়ে। ভেঙে যাওয়া অংশটুকুর মাঝখানে একটু ফাঁকও দেখতে পান তিনি। ইউসুফ আলী বুঝতে পারেন- ওই রেললাইন দিয়ে দ্রুতগতিতে কোনো ট্রেন চললে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে ইউসুফ আলী মোবাইল ফোনে দ্রুত রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যাপারটি জানান। এতে সম্ভাব্য দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় তিনটি ট্রেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার আক্কেলপুর নওদুয়ারী মাঠ সংলগ্ন রেইলাইনের একটি স্থান শনিবার রাতের কোনো এক সময়ে ভেঙে যায়। রোববার সকালে ইউসুফ আলী সেটা দেখতে পান।

ইউসুফ আলী বলেন, সকালে মাঠে বীজতলা দেখতে যাওয়ার সময় রেললাইনের ওই ভাঙা অংশ দেখতে পাই। সাথে সাথে আমি মোবাইল ফোনে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানালে রেলওয়ের লোকজন উপস্থিত হয়ে নিরাপদে ট্রেনগুলোর চলাচলের ব্যবস্থা করেন।

রেলওয়ের চাবিওয়ালা (কি ম্যান) মহিউদ্দিন জানান, সকাল ৭টায় এক যুবক মোবাইল ফোনে রেললাইনের একটি স্থান ভাঙার খবর দেন। এরপর সঙ্গে সঙ্গে তিনি লাল পতাকা হাতে নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এরপর সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত লাল পতাকা উঠিয়ে সীমান্ত আন্তঃনগর, মালবাহী এবং তিতুমীর আন্তঃনগর ট্রেন দাঁড় করিয়ে খুব ধীর গতিতে ওই ভাঙা অংশটুকু পার করতে সহায়তা করেন।

রেলওয়ের শ্রমিকের হেড মিস্ত্রি আশরাফুল আলম জানান, খবর পেয়ে রেলওয়ের কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং ভেঙে যাওয়া অংশে একটি কাঠের পাত দিয়ে মেরামত করা করেন। তিনি বলেন, সোমবার পুরোপুরিভাবে মেরামত কাজ সম্পূর্ণ করা হবে। তবে এখন সব ট্রেন দ্রুতগতিতে নিরাপদে চলাচল করতে পারবে।

আক্কেলপুর স্টেশনের মাস্টার খাতিজা খাতুন বলেন, রেললাইন ভেঙে যাওয়ার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়েছিল। তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভাঙা অংশটি ঠিক করেছে। এখন সব ট্রেন নিরাপদে চলাচল করছে।