স্ত্রীকে ‘হত্যা’ করে পালাচ্ছিলেন স্বামী, ধরিয়ে দিলেন ছেলে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জাগরণ ডট নিউজ

আপডেট: জানুয়ারী ১১, ২০২১ ২০:৫৮

রাজধানীর পল্লবীর একটি বাসায় স্ত্রী সেলিনা বেগম (৪০) নামে এক নারীকে গলা কেটে ‘হত্যার’ পর পালিয়ে যাচ্ছিলেন তার স্বামী রবিউল ইসলাম। তড়িঘড়ি করে বাসা থেকে বের হতেই সন্দেহ হয় তাদের ছেলে রেজাউল ইসলামের। শেষ পর্যন্ত বাবাকে ঝাপটে ধরে আটকের পর জানতে পারেন- মাকে খুন করে পালাচ্ছিলেন তার বাবা। সোমবার দুপুরে পল্লবীর উত্তর কালশীর সিরামিক রোডের ভাড়া বাসায় ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে। পুলিশ রবিউলকে আটক করে থানায় নিয়েছে।

পুলিশ বলছে, পারিবারিক কলহের জের ওই নারীকে হত্যা করেছেন তার স্বামী। ঘটনার সময়ে ওই দম্পতির বড় ছেলে রজাউল অদূরে থাকায় তাকে হাতেনাতে ধরা সম্ভব হয়েছে। সেলিনার মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।

রবিউল এক সময়ে রিকশা চালালেও গত কয়েক মাস ধরে বেকার ছিলেন। নিহত সেলিনা স্থানীয় একটি গার্মেন্টের কর্মী ছিলেন। দুই সন্তান নিয়ে ওই দম্পতি পল্লবীর উত্তর কালশীর সিরামিক রোডে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

ওই দম্পতির ২০ বছর বয়সী ছেলে রেজাউল একটি ওয়ার্কশপে কাজ করেন। তিনি জানান, সকাল থেকেই তার বাবা-মা বাসায় ঝগড়া করছিলেন। বেলা পৌনে ১২টার দিকে তিনি বাসার অদূরে নিজের বাইসাইকেল মেরামত করার সময়ে হঠাৎ মায়ের চিৎকার শুনতে পান। বাসায় ঢোকার আগেই দেখেন, বাবা তড়িঘড়ি করে বেরিয়ে যাচ্ছেন। তখন তার কাছে ঘটনা জানতে চাইলে তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। এসময় বাবাকে ঝাপটে ধরে তিনি চিৎকার দেন। পরে বাসায় ঢুকে দেখেন তার মায়ের রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে।

পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, ‌‘রবিউল তার স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন। এজন্য তাকে গার্মেন্টসে কাজে যেতে নিষেধ করেন এবং তাকে গ্রামের বাড়ি চলে যেতে বলেন। এসব বিষয় নিয়ে পারিবারিক কলহ চলছিল তাদের। সোমবার ঝগড়ার এক পর্যায়ে বাসায় থাকা ছুরি দিয়ে তাকে গলা কেটে হত্যা করে স্বামী রবিউল। ওই দম্পতির ছেলে তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’