হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলা: আসামিপক্ষের অবশিষ্ট যুক্তি উপস্থাপন ৪ মার্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাগরণ ডট নিউজ

আপডেট: জানুয়ারী ৩১, ২০২১ ১৭:১২

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় আসামিপক্ষের অবশিষ্ট যুক্তি উপস্থাপন শুনানির জন্য আগামী ৪  মার্চ দিন ধার্য  করেছেন আদালত।

রবিবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মাকছুদা পারভীনের আদালত এ আদেশ দেন।

এ দিন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক  উপস্থাপন করেন। তাদের  যুক্তিতর্ক  উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় অবশিষ্ট যুক্তিতর্ক  উপস্থাপনের জন্য বিচারক নতুন এ দিন ধার্য করেন।

মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়,২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাংলা একাডেমির উল্টোদিকের ফুটপাতে সন্ত্রাসী হামলায় মারাত্মক আহত হন অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ। এ হামলার পর তিনি ২২ দিন সিএমএইচে এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসা নেন। ওই বছরের ১২ আগস্ট তিনি জার্মানির মিউনিখে মারা যান। ওই ঘটনার পরদিন তার ছোট ভাই মঞ্জুর কবির বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। পরে তা হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। এছাড়া একই ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনেও অপর একটি মামলা হয়।

এরপর ২০০৭ সালের ১১ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ওই চার্জশিটে আবুল আব্বাস ভূঁইয়া ও গোলাম মোস্তফা নামে দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলো– জেএমবির শুরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শাওন, আনোয়ার আলম, হাফিজ মাহমুদ, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু। আসামিদের মধ্যে সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু পলাতক এবং হাফিজ মাহমুদ মারা গেছে।

এরপর ২০০৯ সালের ৬ অক্টোবর এই মামলার বাদী মো. মঞ্জুর কবির মামলাটির অধিকতর তদন্তের আবেদন করেন। পরে বিচারক ২০ অক্টোবর তার আবেদন মঞ্জুর করে মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন। এরপর ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল ওই মামলার তদন্ত শেষে সিআইডির পরিদর্শক লুৎফর রহমান পাঁচ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। একই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর ওই পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ গঠন করেন আদালত।