শিরোনাম

স্বাধীনতার মিথ্যা ঘোষকের ঠিকানা আন্তর্জাতিকভাবেও থাকবে না

সিনিয়র প্রতিবেদকঃ জাগরণ ডট নিউজ

আপডেট: মার্চ ২১, ২০২১ ১৫:৩৭

image

বাংলাদেশের স্বাধীনতার মিথ্যা ঘোষকের আর কোনো ঠিকানা আন্তর্জাতিকভাবেও থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ইতিহাস থেকে তার নামটা মুছে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা হয়েছিল। স্বাধীনতার ঘোষক হিসাবে জিয়াকে দাঁড় করানো হয়েছিল। স্বাধীনতার নায়ক বানানো হয়েছিল। মিথ্যা ঘোষক হওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল, আজকে আন্তর্জাতিকভাবেও সেই ঘোষকের আর কোনো ঠিকানা থাকবে না।


বিজ্ঞাপন
রোববার (২১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

১৫ আগস্ট জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের নির্মম বর্বরতার কথা বিভিন্ন প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। তিনি বলেন, ‘এইভাবে তাকে হত্যা করা হবে, এটি বোধহয় তিনি কখনো কল্পনাও করতে পারেননি, বিশ্বাসও করতে পারেননি। তার কারণ ছিল বাংলাদেশের মানুষকে তিনি গভীরভাবে ভালবেসেছিলেন।’


বঙ্গবন্ধুর শৈশব স্মৃতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে তার বড় মেয়ে শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘দুভার্গ্যরে বিষয় হল সেই দীর্ঘ সংগ্রামের পথ বেয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আমাদের যে স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন, অথচ সেই স্বাধীন দেশেই তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। শুধু হত্যা করা না, হত্যার পর ইতিহাস থেকে তার নামটা মুছে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা। এখানে স্বাধীনতার ঘোষক দাঁড় করানো হলো। স্বাধীনতার নায়ক বানানো হল। স্বাধীনতার ইতিহাস পাল্টে দেওয়া হলো।’


‘এই বাংলাদেশে এমন একটা সময় ছিল যে বঙ্গবন্ধুর নামটা পর্যন্ত নেওয়া যেত না। তার নামটা নেওয়া যেন নিষিদ্ধ ছিল। যে মহান মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদ রক্ত দিয়েছে, কত মা-বোন ইজ্জত দিয়েছে, কত মানুষ আপনজন হারিয়েছে, গৃহহারা হয়েছে— এই যে এতো বড় একটা বিশাল অবদান; সেই অবদানের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছিলাম স্বাধীনতা। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে ৭৫’র পর এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, যে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিল তারা নিজেরা যে বলবে, আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি; সেই কথাটা বলার মতো সাহস তাদের ছিল না। সে সাহসটাও হারিয়ে ফেলেছিল। কারণ তাহলেই নির্যাতনের শিকার হতে হতো।

‘শুধুমাত্র জাতির পিতাকে হত্যা করে অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা ক্ষমতা দখল করেছিল, তাদের চাটুকারিতা যারা করতে পারত শুধু তারাই সবকিছইু বলতে পারত। তাদের জন্য যেন সবকিছু বলার একটা অধিকার ছিল।’


কিন্তু সত্যকে সত্য বলা, সত্য ইতিহাস তুলে ধরা নিষিদ্ধ ছিল দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭ মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণ, যে ভাষণ এদেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। যে ভাষণের মধ্য দিয়ে অসহযোগ আন্দোলন করে, সেই অসহযোগ আন্দোলনকে সশস্ত্র বিপ্লবে রূপ দিয়েছিলেন। সেই ভাষণ নিষিদ্ধ ছিল।’

‘আজকে জাতির পিতার জন্মদিন আমরা পালন করছি। আমি বাংলাদেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি আমার দল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী সংগঠনের সকল নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’


‘এই কারণে আজকে আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পেরেছিলাম বলে রাষ্ট্রীয়ভাবে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়ও আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবার সুযোগ পেয়েছি। এই উদযাপন আমরা করে যাচ্ছি।’

মুজিব চিরন্তন প্রতিপাদ্যে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে রাষ্ট্রীয়ভাবে ১০ দিনের কর্মসূচি কর্মসূচি পালন করার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।

যা বিগত সময়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে গৃহীত কর্মসূচিগুলো বাতিল করে দিয়ে শুধুমাত্র ভার্চুয়ালি করা হয়েছিল সে কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তাই এখন ১৭ই মার্চ থেকে ২৬ মার্চ ১০ দিনব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাওয়ার কথা তুলে ধরে সেখানে বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান-সরকারপ্রধানসহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দের আগমন ও ভিডিওতে শুভেচ্ছা বার্তা প্রদান করার কথা তুলে ধরেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে অনুষ্ঠানগুলো করার সুযোগ পেয়েছি জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিল বলেই। যেখানে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। আজকে আর সেই নাম মুছতে পারবে না। যেখানে মিথ্যা ঘোষক হওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল আজকে আন্তর্জাতিকভাবেও আপনারা দেখেন, সেই ঘোষকের আর কোনো ঠিকানা থাকবে না। তার কারণ-আজকে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ, তারাই কিন্তু আজ এটা নিজেরাই প্রচার করছেন এবং অনেক জায়গায় রেজ্যুলেশনও হচ্ছে যে, ২৬শে মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।’

‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্ম এই মাটিতে হয়েছিল বলেই তার মতো একজন বলিষ্ট নেতৃত্ব আমরা পেয়েছিলাম। তিনি ছোট বেলা থেকেই খুব সংবেদনশীল ছিল, মানুষের প্রতি দরদী ছিলেন। তার তোন অহমিকা ছিল না। তিনি সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে পছন্দ করতেন। মানুষের পাশে থাকতেন। দরিদ্র্য ছেলে-মেয়েদেরকে পড়াশোনা থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে তিনি সহযোগিতা করতেন। দুর্ভিক্ষ পীড়িত অবস্থা যখন সৃষ্টি হল সেই মানুষের পাশে দাঁড়ালেন। নিজেদের গোলা খুলে দিয়ে ধান বিলিয়ে দেন গরিবের কাছে।’

‘প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কারো কাছে কখনো মাথা নত করেননি। ভাষা আন্দোলন তিনি শুরু করেছিলেন সেই ১৯৪৮ সালের ১১ই মার্চ প্রথম কর্মসূচি ধর্মঘট পালন করা হয়।’

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান, শিক্ষা সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান এবং দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। এ ছাড়া সভায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরাসহ ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

গণভবন প্রান্তে সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।

image
image

রিলেটেড নিউজ


২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিমানবন্দরে চালু হবে আরটি-পিসিআর টেস্ট

আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশগামী যাত্রীদের বিস্তারিত


ঘূর্ণিঝড় গুলাবের প্রভাবে সাগর উত্তাল

 বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’-এ পরিণত হওয়ায় সাগর উত্তাল বিস্তারিত


সংক্রমণ বাড়লে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, কাল রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে। তবে বিস্তারিত


টিকা না পেয়ে ঢাকা মেডিক্যালের সামনে প্রবাসীদের বিক্ষোভ 

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে করোনাভাইরাসের টিকা নিতে না পেরে বিক্ষোভ করেছেন বিস্তারিত


সিনোফার্মের ৫৪ লাখ টিকা এক চালানেই

চীনের সিনোফার্মের তৈরি আরও ৫৪ লাখ ডোজ টিকার চালান দেশে পৌঁছেছে। শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে বিস্তারিত


বড় বন্যার শঙ্কা নেই, কমছে পানি

চলতি বছর দেশে বড় বন্যার শঙ্কা নেই। বন্যাকবলিত সব এলাকার পরিস্থিতি এখন উন্নতির দিকে। বিস্তারিত


নভেম্বর পর্যন্ত সপ্তাহে ৫০ লাখ টিকা আসবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

 আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে ৫০ লাখ করে করোনা ভাইরাসের টিকা আসবে বলে বিস্তারিত


বাংলাদেশকে ২ লাখ ৭০ হাজার টিকা উপহার দেবে বুলগেরিয়া

বাংলাদেশকে ২ লাখ ৭০ হাজার টিকা উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপের দেশ বুলগেরিয়া। দেশটির বিস্তারিত


এসএসসি পাসে পুলিশে কনস্টেবল পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

ট্রেইনি কনস্টেবল পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। জেলা অনুযায়ী শূন্যপদের বিস্তারিত


image
image

নামাজের সময়সূচি

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত

এক ক্লিকে বিভাগীয় খবর

আবহাওয়া

ক্যালেন্ডার

March 2017
M T W T F S S

চট্টগ্রাম বন্দরের সিডিউল

বিমান বন্দরের সিডিউল


Cities_image
Cities_image

জোয়ার ভাটা

Cities_image