শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক জাগরণ ডট নিউজ
আপডেট: মার্চ ২৯, ২০২১ ২০:০৬
চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবন এলাকায় বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৬ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনার সময় ও এর পরে নগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, নগর মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, নগর মহিলা দল নেত্রী আঁখি সুলতানাসহ বিএনপির ১৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাস্তা দখল করে মিছিল ও সমাবেশ করতে বাধা দেয়া হলে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সোমবার (২৯ মার্চ) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নগরীর কোতোয়ালি থানার নূর আহমদ সড়কে নাসিমন ভবনের সামনে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষের কারণে একঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘাতে সারাদেশে হতাহতের ঘটনায় বিএনপি দেশের সকল মহানগরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি পালন করে। চট্টগ্রামে নাসিমন ভবনের সামনে সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সমাবেশে যোগ দিতে আসা একটি মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর, ডাবের খোসা নিক্ষেপ শুরু হয়। পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। শুরু হয় ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়া। অন্যদিকে সমাবেশ থেকেও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। ফুটপাতে একটি মোটরসাইকেল, সড়কে কাঠের বাক্স এনে সেগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
একপর্যায়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশ কয়েক রাউন্ড শটগানের গুলি ও রাবার বুলেট ছোঁড়ে। নেতাকর্মীরা আশপাশের বিভিন্ন অলিগলি দিয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। সমাবেশ ভণ্ডুল হয়ে যায়। প্রায় একঘণ্টা পর পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আসে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘সড়ক অবরোধ করে বিএনপি সমাবেশ শুরু করে। এতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আমরা শুধু সড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছি। তারা আচমকা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। খবর পেয়ে আমি দ্রুত আসি। আমি গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির মতো ইট আর পাথর ছুঁড়তে শুরু করে তারা। তখন বাধ্য হয়ে আমরা ফাঁকা গুলি করেছি।’
তবে, নগর বিএনপির সাবেক সহ-দফতর সম্পাদক ইদ্রিস আলী বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রঘোষিত সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ছিল। সুফিয়ান ভাইয়ের নেতৃত্বে ছাত্রদলের একটি মিছিল আসে চট্টগ্রাম ক্লাবের সামনে থেকে। সেই মিছিল এস এ পরিবহনের সামনে আসার পর পুলিশ সামনে দাঁড়িয়ে বাধা দেয়। তারা বাধা উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে থাকলে পেছনদিকে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। তখন ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়া শুরু হয়। প্রচুর নেতাকর্মী ছিল। পুলিশকে ধাওয়া দিয়ে লাভ লেইনের দিকে নিয়ে যায়। কিন্তু নেভাল মোড় থেকে আচমকা পুলিশ সমাবেশ লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষণ শুরু করে। পুলিশ আমাদের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে।’
ইদ্রিস আলী জানান, পুলিশ সংঘর্ষের পরে ডা. শাহাদাতকে নগরীর পাঁচলাইশে ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে নিজের চেম্বার থেকে আটক করে।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান বলেন, ‘তাদের হঠাৎ আক্রমণে আমাদের ছয়জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আমরা নাসিমন ভবন থেকে ১৫ জনকে আটক করেছি। পরে শাহাদাত হোসেনকে আমরা অন্য জায়গা থেকে আটক করি।’
১১টি ভৌত ও রাসায়নিক প্যারামিটারে দেশের মিঠা পানির প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র বিস্তারিত
চট্টগ্রামের বন্দর থানার নিমতলা এলাকায় লাকড়ির দোকানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে বিস্তারিত
চট্টগ্রামের স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাগুলো শিক্ষার্থী বরণে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে। বিস্তারিত
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর (সোমবার) থেকে দুপুরে করোনা টিকা বিস্তারিত
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিস্তারিত
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৮২ জন। যা নমুনা পরীক্ষা তুলনায় ৫ দশমিক ৫৩ বিস্তারিত
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে যানজটে আটকে পড়ায় ১৩ হকারকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয়রা বলছেন, বিস্তারিত
প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে জনস্বার্থবিরোধী হাসপাতাল নির্মাণ করে সিআরবি ধ্বংসের চক্রান্ত বিস্তারিত
চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১০৬ জনের। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত ১ লাখ ৬৬৬ বিস্তারিত
© Copyright JAGORON.NEWS
Developed By Muktodhara Technology Limited