শিরোনাম

রেকর্ড ৪৮ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ

বিনোদন প্রতিবেদক: জাগরণ ডট নিউজ

আপডেট: আগস্ট ২৪, ২০২১ ২২:৫৬

image

ক‌রোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ একের পর এক রেকর্ড গড়‌ছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর ভর করে রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে রেকর্ড গড়েছে। 

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৬ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারের এসডিআর বরাদ্দ (ঋণ-সহায়তা) যোগ হওয়ায় দিন শেষে রিজার্ভ ৪৮ দশমিক শুন্য ৪ বিলিয়ন ডলার বা চার হাজার ৮০৪ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। বাংলা‌দে‌শি মুদ্রায় যার প‌রিমাণ চার লাখ ৯ হাজার ৮৬ কো‌টি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ১৫ পয়সা ধরে)। প্রতি মাসে ৪ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে মজুদ এ বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে ১২ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বল‌ছে, চল‌তি বছ‌রের ৩ মে দে‌শের রিজার্ভ প্রথমবা‌রের মতো ৪৫ বি‌লিয়ন ডলার ছাড়ায়। ওইদিন রিজার্ভ বে‌ড়ে দাঁড়ায় ৪৫ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারে। গত ২৪ ফেব্রুয়া‌রি রিজার্ভ ৪৪.০২ বিলিয়ন বা চার হাজার ৪০২ কোটি ডলার ছাড়ায়। এরও আগে, গত বছরের ৩০ ডি‌সেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ৪৩ বিলিয়ন ডলার, ১৫ ডি‌সেম্বর ৪২ বিলিয়ন এবং ২৮ অক্টোবর রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়।

বাংলাদেশের রিজার্ভ প্রথম ৪০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায় ২০২০ সালের অক্টোবরে। এরপর ধারাবাহিকভাবে বেড়ে ডিসেম্বরে ৪২ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। এই বছরের প্রথম ৬ মাসে আরও ৪ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ বাড়ল।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রথম বার্ষিক রিপোর্ট ১৯৭১-১৯৭৩ এর অষ্টম পৃষ্ঠায় বলা হয়, ‘স্বাধীনতাপ্রাপ্তির পরপর বাংলাদেশের কোনো বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয় ছিল না। কিন্তু ইতোমধ্যে বাংলাদেশ আস্তে আস্তে তার বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয় করে নিয়েছে। ১৯৭২ সালের ৩০ জুন বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় ছিল ১১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ১৯৭৩ সালের ২৯ জুন এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।’

৪০ বছর আগে ১৯৮১-৮২ সালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল সর্বনিম্ন ১২ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার, যা এক মাসের আমদানি ব্যয়ের চেয়েও কম ছিল।

১৯৯১-৯২ অর্থবছরের শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১০০ কোটি (এক বিলিয়ন) ডলার অতিক্রম করে ১ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। ১৯৯২-৯৩ অর্থবছরে তা দুই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে ২ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছর তা বেড়ে তিন বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে।

১৯৯৫-৯৬ অর্থবছরের শেষে তা কমে ২ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। ১৯৯৬-৯৭ অর্থবছরে আরও কমে ১ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।

আওয়ামী লীগের ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদের শেষের দিকে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন কমে এসে এক বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি অবস্থান করে।

রিজার্ভ ১০০ কোটি ডলারের নিচে নামলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে— এমন আশঙ্কায় ২০০১ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল বাকি রাখতে বাধ্য হয়। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার মজুত থাকতে হয়।

বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, ইরান ও মালদ্বীপ— এই ৯টি দেশ বর্তমানে আকুর সদস্য। দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ যেসব পণ্য আমদানি করে তার বিল দুই মাস পরপর আকুর মাধ্যমে পরিশোধ ক‌রে। আকুর বিল প‌রি‌শোধ কর‌লে রিজার্ভ কিছুটা ক‌মে যা‌য়।

বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সব শেষ জুলাই মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার (১.৮৭ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।

গেল ২০২০-২১ অর্থবছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিটেন্স দেশে আসে। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। এর আগে কোনো অর্থবছরে এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি বাংলাদেশে। এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে এক হাজার ৮২০ কোটি ডলার বা ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলের প্রবাসীরা। অর্থবছর হিসেবে যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ। তারও আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আহরণের রেকর্ড হয়। ওই সময় এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে দেশে।

২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। অর্থাৎ, কোনো প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে আরও ২ টাকা যোগ করে মোট ১০২ টাকা পাচ্ছেন সুবিধাভোগী। এছাড়া, ঈদ ও উৎসবে বিভিন্ন ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সকারের প্রণোদনার সঙ্গে বাড়তি এক শতাংশ দেওয়ার অফার দিচ্ছে। এতে করে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহী হচ্ছেন প্রবাসীরা।

গত ২০২০-২১ অর্থবছরের পণ্য রফতানি করে ৩৮ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৫ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।

image
image

রিলেটেড নিউজ


এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান রাগীব গ্রেপ্তার

১৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান মুফতি রাগীব আহসান ও বিস্তারিত


চিনির দাম নির্ধারণ করে দিলো সরকার 

সরকার চিনির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) থেকে পরবর্তী আদেশ বিস্তারিত


ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধে 'বিশেষ সুবিধা' প্রত্যাহার

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনের সময় ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধে যে বিশেষ ছাড় বিস্তারিত


রেকর্ড ৪৮ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ

ক‌রোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ একের পর এক রেকর্ড বিস্তারিত


কনটেইনার পরিবহনের বৈশ্বিক তালিকায় নয় ধাপ পিছিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর

করোনার কারণে গত বছর বন্দর দিয়ে কনটেইনার পরিবহনে ধাক্কা লেগেছিল। সেই ধাক্কায় বৈশ্বিক বিস্তারিত


আরও ১ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি

আরও ৯৪ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ২৪ প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে সরকার। বিস্তারিত


ধান-চালের মান নিয়ে আপস করা হবে না: খাদ্যমন্ত্রী

২৭ টাকা কেজি দরে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু হয়েছে। ধান ও চালের কোয়ালিটির সঙ্গে বিস্তারিত


বোরো সংগ্রহ: কৃষকের বাড়ল কেজিতে ১ টাকা, মিলারদের ৩ টাকা

কৃষকের জন্য কেজিতে এক টাকা এবং মিলারদের জন্য কেজিতে তিন টাকা দাম বাড়িয়ে এবারের বোরো বিস্তারিত


‘থার্টি আন্ডার থার্টি’: ফোর্বসের তালিকায় বাংলাদেশের ৯

এশিয়ার ২২ দেশের সেরা ৩০০ তরুণ উদ্যোক্তার তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন বাংলাদেশের নয় জন। এই বিস্তারিত


image
image

নামাজের সময়সূচি

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত

এক ক্লিকে বিভাগীয় খবর

আবহাওয়া

ক্যালেন্ডার

March 2017
M T W T F S S

চট্টগ্রাম বন্দরের সিডিউল

বিমান বন্দরের সিডিউল


Cities_image
Cities_image

জোয়ার ভাটা

Cities_image