শিরোনাম
সাহিত্য-সংস্কৃতি ডেস্ক জাগরণ ডট নিউজ
আপডেট: ফেব্রুয়ারী ১৬, ২০১৯ ১৭:১২
সোনালী কাবিনের কবি আল মাহমুদ (৮২) আর নেই। তিনি শুক্রবার রাত ১১ টা ৫ মিনিটে ধানমন্ডি শংকরে ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চিরনিদ্রার পথে যাত্রা করেছেন। কবির জামাতা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তার মৃত্যুতে সাহিত্যাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি শারীরিক অসুস্থতার কারণে আল মাহমুদকে ধানমন্ডি শংকরে ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরের দিন একই হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি নিউরোলোজিস্ট প্রফেসর আব্দুল হাইয়ের তত্ত্বাবধানে ছিলেন।
আল মাহমুদ ত্রিশোত্তর আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম কবি। কবিতার পাশাপশি গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ এবং শিশুসাহিত্য রচনা করেও তিনি খ্যাতির শিখর স্পর্শ করেছেন।
৫০-এর দশকের তার সমসাময়িক কবি-বন্ধুরা যখন একে একে মৃত্যুবরণ করছেন তখন কবি আল মাহমুদ বার্ধক্যজনিত নানান অসুখে থেকেছেন গৃহবন্দি। মাঝে মাঝে গিয়েছেন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে। দীর্ঘদিন ধরে চোখে ভালো দেখতেন না, কানেও কম শুনতেন। তবু বিশেষ সংখ্যার জন্য তিনি অন্যের সহযোগিতা নিয়ে মুখে মুখে কবিতা রচনা করতেন।
কবি আল মাহমুদ ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার সাধনা হাই স্কুল এবং পরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড হাই স্কুলে পড়ালেখা করেন। সেই সময় থেকেই তার লেখালেখির শুরু। সেসময় তিনি মধ্যযুগীয় প্রণয়োপাখ্যান, বৈষ্ণব পদাবলি, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল প্রমুখের সাহিত্য পাঠ করেন।
১৮ বছর বয়সে তার কবিতা প্রকাশিত হয়। ঢাকা থেকে প্রকাশিত সিকান্দার আবু জাফর সম্পাদিত সমকাল পত্রিকা এবং কলকাতার নতুন সাহিত্য, চতুষ্কোণ, ময়ূখ, কৃত্তিবাস ও বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত 'কবিতা' পত্রিকায় লেখালেখির সুবাদে ঢাকা-কলকাতার পাঠকদের কাছে তিনি সুপরিচিত হন।
তার কাব্যগ্রন্থ লোক লোকান্তর (১৯৬৩), কালের কলস (১৯৬৬), সোনালী কাবিন (১৯৬৬), মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো (১৯৬৯) কাব্যগ্রন্থগুলো তাকে প্রথম সারির কবি হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করে। ১৯৯৩ সালে বের হয় তার প্রথম উপন্যাস কবি ও কোলাহল।
১৯৬৮ সালে ‘লোক লোকান্তর’ ও ‘কালের কলস’-এর জন্য তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৬ সালে পান একুশে পদক।
১৯৫৪ সালে আল মাহমুদ ঢাকা আসেন। তখন তিনি আব্দুর রশীদ ওয়াসেকপুরী সম্পাদিত ও নাজমুল হক প্রকাশিত সাপ্তাহিক কাফেলায় লেখালেখি শুরু করেন। পাশাপাশি দৈনিক মিল্লাত পত্রিকায় প্রুফ রিডার হিসেবে সাংবাদিকতা জগতে প্রবেশ করেন। ১৯৫৫ সাল আব্দুর রশীদ ওয়াসেকপুরী কাফেলার চাকরি ছেড়ে দিলে আল মাহমুদ সেখানে সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন।
১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এবং যুদ্ধের পরে দৈনিক গণকণ্ঠ পত্রিকায় সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। সম্পাদক থাকাকালীন সময় সরকারের বিরুদ্ধে লেখার কারণে এক বছরের জন্য কারাবরণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি গল্প লেখায় মনোযোগী হন। ১৯৭৫ সালে তার প্রথম ছোটগল্প গ্রন্থ পানকৌড়ির রক্ত প্রকাশিত হয়। পরে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে শিল্পকলা একাডেমীর গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের সহপরিচালক পদে নিয়োগ দেন। দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনের পর তিনি পরিচালক হন। পরিচালক হিসেবে ১৯৯৩ সালে অবসর গ্রহণ করেন।
আল মাহমুদ ব্যক্তিগত জীবনে সৈয়দা নাদিরা বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে।
নগরীর লালখান বাজারস্থ হাই লেভেল রোড শাইনীং আওয়ার স্কুল চত্তরে আওয়ত পৌষ উৎসব ও বিস্তারিত
শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীর জন্মদিন উপলক্ষে ডুডল প্রকাশ করেছে জনপ্রিয় সার্চ বিস্তারিত
প্রিয় কষ্ট, না বলা কষ্ট, না দেখা কষ্টবুকের ভেতরের কষ্ট, চোখের ভেতরের কষ্টমাথা নষ্ট করা কষ্ট, বিস্তারিত
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অন্যতম প্রাণপুরুষ, বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিস্তারিত
ভাল লেখক হতে চাইলে কিছু নির্দেশনা মেনে চলতেই হয়। সাবেক আর্টস সম্পাদক এবং কলামিস্ট এবং দ্য বিস্তারিত
বন্ধু তোমার বন্দনায় আমি বাধিত!তোমার শোকে আমি শোকাহত।তোমার আদলে তাই লিখছি আজো টুকরো টুকরো বিস্তারিত
বিনম্র শ্রদ্ধায় বাংলা চলচ্চিত্র কিংবদন্তী অভিনেত্রী পাবনার মেয়ে সুচিত্রা সেনের বিস্তারিত
বোধন আবৃত্তি স্কুলের ৫৩তম আবর্তনের নবীনবরণ আগামীকাল শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত বিস্তারিত
নড়াইলে বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ৯৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ১২ দিনব্যাপী বিস্তারিত
© Copyright JAGORON.NEWS
Developed By Muktodhara Technology Limited