ট্রান্সকমের চেয়ারম্যানকে দেওয়া ‘ভুয়া’ চিঠির বিষয়ে আদেশ মঙ্গলবার

নিজস্ব প্রতিবেদক জাগরণ ডট নিউজ

আপডেট: মার্চ ১০, ২০১৯ ১৮:২২

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও লতিফুর রহমানকে দেওয়া দুদকের নোটিশ ও পরে একটি স্বাক্ষর, স্মারক ও তারিখ ছাড়া ২৫ ফর্দে কথিত চিঠির মাধ্যমে তথ্যাদি চাওয়ার বিরুদ্ধে করা রিটের ওপর আগামী ১২ মার্চ মঙ্গলবার আদেশের দিন নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।

আজ রবিবার (১০ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের এই দিন নির্ধারণ করেন।

আদালতে লতিফুর রহমানের রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক।  দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম  খান।  আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।

এর আগে গত ৭ মার্চ এ মামলার শুনানিতে দুদক আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান আদালতকে জানিয়েছিলেন, অবৈধ উপায়ে অর্থ সংগ্রহের অভিযোগে ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লতিফুর রহমানকে দেওয়া কথিত ‘চিঠি’টি দুদকের নয়।

প্রসঙ্গত, দুদকের পক্ষ থেকে গত বছরের ১১ অক্টোবর লতিফুর রহমানকে একটি নোটিশ দেওয়া হয়। ওই নোটিশে তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ট্রান্সকম গ্রুপভুক্ত বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল, ভ্যাট ইত্যাদি ফাঁকি দিয়ে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিভিন্ন দেশে অর্থপাচার এবং অবৈধ উপায়ে জমি দখলে রাখার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।  লাতিফুর রহমানকে ওই বছরের ১৮ অক্টোবর দুদকে হাজির হতেও বলা হয়।  উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন নোটিশে স্বাক্ষর করেছিলেন।  সেই মোতাবেক লতিফুর রহমান হাজিরও হয়েছিলেন।

পরে আবারও লতিফুর রহমানের কাছে স্বাক্ষর, স্মারক ও তারিখবিহীন ২৫ ফর্দে বিভিন্ন বিষয়ে হিসাব চাওয়া হয়। এরপর এই চিঠিকে চ্যালেঞ্জ করে গত ৩ মার্চ হাইকোর্টে রিট দাখিল করা হয়।  লতিফুর রহমানের পক্ষে আদালতে খান মো. শাহাদাত হোসেন রিটটি দায়ের করেন।