শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক জাগরণ ডট নিউজ
আপডেট: এপ্রিল ২৪, ২০১৯ ২১:১৬
ধর্মীয় উসকানি ও বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির অভিযোগে করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জারি গ্রেফতারি পরোয়ানাটি তামিল করতে গুলশান থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস এ নির্দেশ দেন। এদিন খালেদাকে গ্রেফতার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। গুলশান থানার পুলিশ তা দাখিল করেনি।
অপরদিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আগামী ২৬ মে খালেদাকে গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। এ ছাড়া গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে খালেদার জামিন শুনানি হবে বলে আদেশে উল্লেখ্য করেন বিচারক।
এর আগে গত ২০ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম। গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গুলশান থানাকে নির্দেশও দেয়া হয় সেদিন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে হিন্দু সম্প্রদায়ের শুভ বিজয়ার অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের একপর্যায়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সব ধরনের মানুষের ওপর আঘাত করে। আর লোক দেখানো ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দখল করে নেয়। ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরা এ জবর-দখলকারী সরকারের হাতে কোনো ধর্মের মানুষই নিরাপদ নয়।’
ওই বক্তব্যের জের ধরে দণ্ডবিধির ১৫৩ (ক) ও ২৯৫ (ক) ধারায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর হাকিম মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর নালিশি মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর মামলাটি শাহবাগ থানার পরিদর্শক পদমর্যাদার এক কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
২০১৮ সালের ৩০ জুন দুই মামলায় অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস।
উল্লেখ্য, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা দুই মামলায় ১০ ও ৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন খালেদা জিয়া। আপিলে হাইকোর্ট জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ড বাড়িয়ে ১০ বছর এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিশেষ আদালত তাকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা হয়। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বন্দি কয়েদি হিসেবে চিকিৎসাধীন।
একটি মামলায় হাজিরা দিতে মাওলানা মামুনুল হককে কুমিল্লার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিস্তারিত
মন্ত্রীর ‘সুনাম ক্ষুণ্ণের’ অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় খালাস পেয়েছেন বিস্তারিত
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ, বিস্তারিত
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) বাসচালক আবদুস সালাম (৫০) হত্যা মামলায় বিস্তারিত
শিশুর অভিভাবকত্ব নিয়ে উচ্চ আদালতে লড়ছেন জাপানি নারী নাকানো এরিকো ও বাংলাদেশি-আমেরিকান বিস্তারিত
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ভুয়া জন্মদিন পালন এবং ও বিস্তারিত
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনি ও পুলিশ বিস্তারিত
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় আজ মঙ্গলবার কক্সবাজার জেলা বিস্তারিত
টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপের নির্দেশে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ বিস্তারিত
© Copyright JAGORON.NEWS
Developed By Muktodhara Technology Limited