শিরোনাম

খালেদা জিয়ার আদালত স্থানান্তর : নিয়মিত বেঞ্চে যাওয়ার আদেশ হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিবেদক জাগরণ ডট নিউজ

আপডেট: জুন ১১, ২০১৯ ১৫:১৩

image বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিচারের জন্য পুরান ঢাকার কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জের নতুন কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর আদালত স্থানান্তরের বিষয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে করা রিটের শুনানি আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ শুনানি শেষে রিটটি নিয়মিত বেঞ্চে নিয়ে যাওয়ার জন্য আদেশ দিয়েছেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এ জে মোহাম্মদ আলী। তাদেরকে সহায়তা করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, মীর হেলাল উদ্দিন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

এর আগে গতকাল সোমবার শুনানিতে সাপ্লিমেন্টারি নথিপত্র এফিডেভিট আকারে দাখিলের জন্য কয়েক ঘণ্টা সময় প্রার্থনা করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর আদালত শুনানির জন্য মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি করে আদেশ দেন।

সোমবারের শুনানি শেষে ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আজ (সোমবার) বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে কিছু সাপ্লিমেন্টারি নথিপত্র দাখিল করা হয়। কিন্তু এসব নথিপত্র এভিডেভিড করা ছিল না। তখন এসব নথিপত্র এভিডেভিড করার জন্য কয়েক ঘণ্টা সময় চাওয়া হলে আদালত শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ঠিক করেন। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।’

এর আগে খালেদা জিয়ার প্যানেলের আইনজীবী ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, গত (২৬ মে) আদালতের অনুমতি নিয়ে খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামালসহ অন্য আইনজীবীরা হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি করেন। পরের দিন সোমবার (২৭ মে) রিটের শুনানি করতে গেলে মামলায় হাইকোর্টের আদেশের পর দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) পক্ষভুক্ত করা হয়।

এর পরের দিন (২৮ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে মামলাটি শুনানি শুরু করে ১০ জুন পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। সে অনুযায়ী গতকাল শুনানি না হয়ে আজ (মঙ্গলবার) শুনানির জন্য দিন ঠিক করেন আদালত।

খালেদার পক্ষে দায়ের করা রিটে দাবি করা হয়েছে, গত ১২ মে জারি করা গেজেট সংবিধানের ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদ-বহির্ভূত একটা পদক্ষেপ। পাশাপাশি প্রচলিত ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ধারা ৯ এর (১) ও (২) উপ-ধারাবিরোধী।

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিচারে পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিশেষ জজ আদালত-৯ কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারের ২ নম্বর ভবনে স্থানান্তরে গত ১২ মে জারি করা গেজেট কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে রিটে। রুলের নিষ্পত্তির আগ পর্যন্ত জারি করা ওই গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে।

রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব ও আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘আদালতের অনুমতি নিয়ে রিটটি দায়েরের পর তা জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, মওদুদ আহমদ, এ জে মোহাম্মদ আলী সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলাটি উপস্থাপন করেছিলেন। তাই আদালতে রিট গ্রহণ করে শুনানির জন্য বলেছেন।’

তিনি বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালদা জিয়াকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে কারাগারে রাখা হয়েছে। বর্তমানে তিনি অসুস্থ হয়ে পিজিতে আছেন। সাম্প্রতিক সময়ে অর্থাৎ গত ১২ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে উনার (খালেদা জিয়ার) নাইকো মামলাটি নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে আদালত থেকে কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।’

বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক এ আইনজীবী আশা করছেন, খালেদা জিয়া করাকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ থেকে ন্যায়বিচার পাবেন এবং কেরানীগঞ্জের কারাগার যে আদালত স্থাপন করা হয়েছে সেটা হাইকোর্ট বাতিল করবেন।

তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া একজন পাবলিক ফিগার। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর যেকোনো ট্রায়াল পাবলিকলি হওয়া উচিত। কেরানীগঞ্জের কারাগারের একটি রুমে কখনও পাবলিক ট্রায়াল হতে পারে না। পাশাপাশি যে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কেরানীগঞ্জের কারাগারে যে আদালত স্থাপন করা হয়েছে, সেই কারাগারটি ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে। আইনে আছে, মামলাটা মেট্রোপলিটন এলাকার মধ্যে হতে হবে।’

এর আগে আদালত স্থানান্তরে জারি করা গেজেট বাতিল চেয়ে গত ২১ মে আইন সচিবকে আইনি নোটিশ দেয়া হয়। সে নোটিশে গত ১২ মে জারি করা গেজেট বাতিলে সরকারকে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়ে বলা হয়, এই সময়ের মধ্যে গত ১২ মে জারি করা এ-সংক্রান্ত গেজেটটি প্রত্যাহার বা বাতিল না করা হলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। সে অনুযায়ী সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে কোনো জবাব না পেয়ে ২৬ মে রিট আবেদন করা হয়।

ওইদিন সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদ উদ্বৃত করে কায়সার কামাল বলেছিলেন, ‘এ অনুচ্ছেদে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, যে কোনো বিচার হতে হবে উন্মুক্তভাবে। কারাগারের একটি কক্ষে উন্মুক্তভাবে বিচার হতে পারে না। ফলে এই প্রজ্ঞাপন সংবিধানবিরোধী।’

image
image

রিলেটেড নিউজ


হাজিরা দিতে কুমিল্লার আদালতে মামুনুল হক

একটি মামলায় হাজিরা দিতে মাওলানা মামুনুল হককে কুমিল্লার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিস্তারিত


তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় সাংবাদিক প্রবীর সিকদার খালাস

মন্ত্রীর ‘সুনাম ক্ষুণ্ণের’ অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় খালাস পেয়েছেন বিস্তারিত


৭ই মার্চের ভাষণ পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ হাইকোর্টের

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ, বিস্তারিত


রুয়েটের বাসচালক হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) বাসচালক আবদুস সালাম (৫০) হত্যা মামলায় বিস্তারিত


সমঝোতায় রাজি দুই শিশুর বাবা-মা

শিশুর অভিভাবকত্ব নিয়ে উচ্চ আদালতে লড়ছেন জাপানি নারী নাকানো এরিকো ও বাংলাদেশি-আমেরিকান বিস্তারিত


দুই মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ৫ সেপ্টেম্বর

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ভুয়া জন্মদিন পালন এবং ও বিস্তারিত


পরীমনি-সাকলায়েনের ভিডিও সরানোর নির্দেশনা চেয়ে রিট

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনি ও পুলিশ বিস্তারিত


পা দিয়ে সিনহার গলা চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করেন ওসি প্রদীপ

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় আজ মঙ্গলবার কক্সবাজার জেলা বিস্তারিত


সিনহা হত্যা ওসি প্রদীপের নির্দেশে: আদালতে শারমিন

টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপের নির্দেশে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ বিস্তারিত


image
image

নামাজের সময়সূচি

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত

এক ক্লিকে বিভাগীয় খবর

আবহাওয়া

ক্যালেন্ডার

March 2017
M T W T F S S

চট্টগ্রাম বন্দরের সিডিউল

বিমান বন্দরের সিডিউল


Cities_image
Cities_image

জোয়ার ভাটা

Cities_image