সুন্দরগঞ্জে গাইডওয়াল নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

এম.এ মাসুদ, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) জাগরণ ডট নিউজ

আপডেট: জুলাই ২৯, ২০১৯ ১৪:৫৭

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে নিম্নমানের ইট, বালি ও সিমেন্ট ব্যবহার করে গাইডওয়াল তৈরির অভিযোগ উঠেছে।

ঠিকাদার তার নিজ খেয়াল-খুশিমত নিজ বাড়িতে গাইডওয়ালের খুঁটিগুলো তৈরি করেন। এ সময় নিয়মানুযায়ী একজন সাব-এ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার এবং ওয়ার্ক এ্যাসিসটেন্ট থাকার কথা থাকলেও তাদের অনুপস্থিতিতেই একাজগুলো করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ফলে নিয়ম মাফিক রড, সিমেন্টের পরিমাণ কম ও বালুর পরিমাণ বেশি ব্যবহার করেন বলে এলাকাবাসীর দাবি।

উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ফলগাছার বাজার হতে ভাটার পাড় পর্যন্ত সড়কে নির্মাণ করা গাইডওয়ালে এ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

তথ্যে জানা যায়, এলজিইডি টেন্ডার আহবান করলে রংপুরস্থ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাহিদী এন্টারপ্রাইজ ১ কোটি ৯২ লক্ষ টাকায় একাজটি পান। পরবর্তীতে তিনি ঐ কাজটি সুন্দরগঞ্জস্থ প্রদীপ এন্টারপ্রাইজ এর নিকট বিক্রি করে দেন। এ কাজটির ওয়ার্ক অর্ডার পেয়ে তাড়াহুড়া করে গাইডওয়ালের কাজ শুরু করেন প্রদীপ এন্টারপ্রাইজ।

ঠিকাদার তার খেয়াল-খুশিমত নিজ বাড়িতে গাইডওয়ালের খুঁটি তৈরি করার সময় নিয়মানুযায়ী একজন সাব-এ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার এবং ওয়ার্ক এ্যাসিসটেন্ট থাকার কথা থাকলেও তাদের অনুপস্থিতিতেই তৈরি করেন খুঁটিগুলো। ফলে নিয়ম মাফিক রড ও সিমেন্টের পরিমাণ কম ব্যবহার করে নিম্নমানের খুঁটি তৈরি করায় খুব অল্পদিনেই এসব খুঁটি নষ্ট হওয়ার আশংকা করছেন এলাকাবাসি।

জানা গেছে, প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রয়েছে এসব খুঁটি ও ওয়াল নির্মাণে। অথচ দুই নম্বার ইট, নিম্নমানের বালি ও সিমেন্ট ব্যবহার করা হয় গাইডওয়াল নির্মাণে।  যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যে কোন সময় সরেজমিনে এসে এসব খুঁটি ভেঙ্গে এবং ইট খুললে এর প্রমাণ মিলবে বলে জানান এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে কথা বলতে প্রদীপ ইন্টার প্রাইজ’র মালিক প্রদীপের মোবাইল ফোনে (০১৭৪৩৯৪৯৯৯৪) যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল মনছুর’র সাথে যোগাযোগ কর হলে তিনি বলেন, এক ঠিকাদারের কাজ অন্য ঠিকাদার করবে এটা অফিস কখনো সাপোর্ট করে না এবং গাইডওয়ালগুলো যেখানে তৈরি করা হচ্ছে সেখানে আমাদের লোক থাকে।