শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক জাগরণ ডট নিউজ
আপডেট: আগস্ট ১৭, ২০১৯ ১৮:১৮
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে সারা দেশে জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদীগোষ্ঠীর উত্থান হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
তিনি বলেছেন, এর পেছনের শক্তি বা গডফাদার ছিল তারেক রহমান। তার নেতৃত্বে পাকিস্তানের নির্দেশে বাংলাদেশকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে তালিকাভুক্ত করা চেষ্টা হয়েছিল।
আজ শনিবার দুপরে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলার বার্ষিকীতে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ সব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসন অন্য কিছু নয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা যেমন কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। সেটা ছিল একাত্তরের পরাজয়ের চরম প্রতিশোধ। সেই পরাজিত শক্তি পাকিস্তান এবং তাদের পশ্চিমা শক্তি মার্কিন সাম্রাজ্যসহ আরও অনেকে। ঠিক তারই সূত্র ধরে পাকিস্তানের নীলনকশায় এই বিএনপি-জামায়াত তাদের এজেন্ট হিসেবে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য সব চক্রান্তে লিপ্ত ছিল।
তিনি আরও বলেন, তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছেন পাকিস্তানের এজেন্ট জিয়াউর রহমানের সহধর্মিনী খালেদা জিয়া এবং তার পুত্র তারেক রহমান। এরা সিরিজ বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল।
১৭ আগস্টে সিরিজ বোমা হামলাকারী এখনও পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সক্রিয় আছে দাবি করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, এই অশুভ শক্তি পাকিস্তানের আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য এখনও চক্রান্তে লিপ্ত আছে। এরা দেশ ও জাতীয় শত্রু।
পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ সরকারের ধারাবাহিকতায় গত দশ বছরে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি হয়েছে দাবি করে হানিফ বলেন, পাশাপাশি সরকার সন্ত্রাস এবং জঙ্গিকে কঠোরভাবে দমন করে দেশকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিমুক্ত দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক মহলে সুপরিচিত করেছে। আসুন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই। এই অশুভ শক্তির চিরতরে অবসান ঘটাব- এই হোক আমাদের সবার অঙ্গীকার।
বিএনপির আন্দোলনের হুশিয়ারির জবাবে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব কয়েকদিন আগে বলেছিলেন বেগম জিয়াকে আন্দোলন করে মুক্ত করা সম্ভব হবে না। তার এই উপলব্ধির জন্য ধন্যবাদ। কারণ যে আন্দোলনের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। সেই আন্দোলন কখনো সফল হতে পারে না। বেগম জিয়া দুর্নীতিবাজ, আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত, এতিমের টাকা আত্মসাতের কারণে দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আছেন। একজন আদালত স্বীকৃত দুর্নীতিবাজের মুক্তির জন্য বাংলাদেশের জনগণের কোনো দায় নেই। এটা বুঝতে পেরেছেন মির্জা ফখরুল সাহেবরা।
খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই দাবি করে হানিফ বলেন, কিন্তু মির্জা ফখরুল সাহেবরা এখন সেই পথে না গিয়ে ষড়যন্ত্রের পথ খুঁজছেন। মানুষ দেশে আর সন্ত্রাস-অরাজকতা দেখতে চায় না। উগ্র জঙ্গি-মৌলবাদীর উত্থান দেখতে চায় না। মানুষ চায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ।
তাই উন্নয়ন অগ্রগতি ও আত্মসমৃদ্ধির বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে কোনো অশুভ তৎপরতা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ জনগণ রুখে দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মানববন্ধনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথসহ মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ফায়ার সার্ভিসের লোকবল ১৬ হাজার থেকে ২৫ হাজারে উন্নীত করার জন্য এর সাংগঠনিক কাঠামো বিস্তারিত
আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির পক্ষ থেকে চারটি শর্ত তোলা হয়েছে। দলীয় সরকারের বিস্তারিত
কুমিল্লা- ৭ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিস্তারিত
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্পর্কে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বিস্তারিত
''অন্ধ সমালোচনা আর বিষোদগারের রাজনীতি বিএনপির জন্য ফ্রাংকেনস্টাইন হয়ে নিজেদেরই আঘাত বিস্তারিত
পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে সংসদীয় কার্যক্রম সম্পর্কে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রতি বিস্তারিত
বিএনপির আন্দোলনের হাঁকডাককে আন্দোলন-বিলাস মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিস্তারিত
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন বিস্তারিত
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে বিস্তারিত
© Copyright JAGORON.NEWS
Developed By Muktodhara Technology Limited