শিরোনাম

যতোবার অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেন শেখ হাসিনা

ডেস্ক রিপোর্ট জাগরণ ডট নিউজ

আপডেট: আগস্ট ২১, ২০১৯ ১৮:৫৫

image ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাই শেখ হাসিনার প্রাণনাশের প্রথম বা শেষ চেষ্টা নয়। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বিদেশে থাকার কারণে বোন শেখ রেহানাসহ বেঁচে গেলেও আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর দায়িত্ব নিয়ে ১৯৮১ সালের মে মাসে দেশে ফেরার পর থেকেই শেখ হাসিনার ওপর একের পর এক হামলা হয়েছে। কিন্তু তিনি বারবারই অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছেন। যদিও এসব হামলায় দলের অনেক নেতাকর্মীর প্রাণ গেছে। আহত হয়েছেন অনেকে।

শেখ হাসিনার ওপর প্রথম বড় হামলা হয় ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামে ৮ দলীয় জোটের মিছিলে। সর্বশেষ গত ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তার সরকারের আমলেও তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ২০১৫ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয় বলে আওয়ামী লীগের মুখপত্র ‘উত্তরণ’ এ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়। এরপর তাকে বহনকারী বিমানে দু’বার নাশকতার চেষ্টা হিসেবে ধরলে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয় মোট ২১ বার। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনার ওপর হামলা শুরু হয়। ওইদিন চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানের খুব কাছে আটদলীয় জোটের মিছিলে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে পুলিশ ও বিডিআর গুলি ছোড়ে। এতে ৭ জন নিহত ও ৩০০ জন আহত হয়। তিনি পতেঙ্গা বিমানবন্দরে নেমে একটি সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য লালদীঘিতে যাচ্ছিলেন।

১৯৮৯ সালের ১১ আগস্ট
রাত ১২টার দিকে ফ্রিডম পার্টির একদল সন্ত্রাসী বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে হামলা চালায়। শেখ হাসিনা তখন বাসভবনে ছিলেন। তখন নিক্ষেপ করা গ্রেনেডটি বিস্ফোরিত না হওয়ায় বেঁচে যান শেখ হাসিনা।

১৯৯১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর
ধানমন্ডি স্কুলে উপনির্বাচনের ভোট দিয়ে গ্রিন রোডে পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র দেখতে যান শেখ হাসিনা। সেখানে গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে তার ওপর গুলি ও বোমা বিস্ফোরণ করা হয়।

১৯৯৪ সালের সেপ্টেম্বর দেশের পশ্চিমাঞ্চলে সফরে যান তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা। যশোর, দর্শনা, কুষ্টিয়া, ঈশ্বরদী, নাটোর ও সান্তাহারে জনসভা করেন তিনি। এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরদী স্টেশনে প্রবেশের মুখে তার দিকে গুলি ও বোমা নিক্ষেপ করা হয়। পরে নাটোর রেলস্টেশনে তার ট্রেনকে লক্ষ্য করে গুলি, বোমা এবং সমাবেশস্থলেও গুলি-বোমা ছোড়া হয়।

১৯৯৫ সালের ৭ ডিসেম্বর
রাজধানী ঢাকায় রাসেল স্কয়ারে (ধানমন্ডি ৩২-এর পাশে) সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় আওয়ামী লীগ সভাপতিকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। ১৯৯৬ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে শেখ হাসিনার বক্তব্য শেষ হওয়ার পরপরই একটি মাইক্রোবাস থেকে সভামঞ্চে গুলি ও বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এতে ২০ জন আহত হয়।

২০০০ সালের ২০ জুলাই
গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় জনসভাস্থল ও হেলিপ্যাডের কাছে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রেখেছিল হুজি। স্থানীয় এক চায়ের দোকানি একটি তার পুঁতে রাখা দেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানালে মাটি খুঁড়ে ৭৬ কেজি ওজনের সেই বোমা উদ্ধার করা হয়। ২২ জুলাই স্থানীয় শেখ লুৎফুর রহমান ডিগ্রি কলেজ মাঠের এক সভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল।

২০০১ সালের ২৯ মে খুলনার রূপসা সেতুর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করতে যাওয়ার কথা ছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। জঙ্গি সংগঠন হুজি শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সেখানে বোমা পুঁতে রাখে, যা গোয়েন্দা পুলিশ উদ্ধার করে। হুজি এই হামলার চেষ্টা করে বলে পরে স্বীকার করেছে।

২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নির্বাচনি প্রচারে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেট গিয়েছিলেন। সেদিন রাত ৮টার দিকে সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা ময়দানের জনসভাস্থল থেকে ৫০০ গজ দূরে একটি বাড়িতে বোমা বিস্ফোরিত হলে ঘটনাস্থলেই দু’জনের মৃত্যু হয়। সেদিন সন্ধ্যায় সেখানে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি জনসভা ছিল। কিন্তু প্রচার অভিযানে থাকার কারণে সেখানে পৌঁছাতে দেরি হয় শেখ হাসিনার। তার আগেই বোমা বিস্ফোরিত হওয়ায় ভেস্তে যায় হত্যার চেষ্টা। পরে হরকাতুল জিহাদ এই বোমা হামলার দায় স্বীকার করে।

১৯৯৯ সালের ১২ জুলাই
একটি সংবাদপত্রে প্রকাশ হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলেমেয়েসহ ৩১ জনকে হত্যার একটি ই-মেইল ফাঁস হয়। ই-মেইলটির প্রেরক ইন্টার এশিয়া টিভির মালিক শোয়েব চৌধুরী। শেখ হাসিনাকে হত্যা, গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত এবং বিদ্বেষ সৃষ্টির লক্ষ্যে ই-মেইল পাঠানোর অভিযোগে শোয়েব চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা দায়ের হয়।

২০০২ সালের ৪ মার্চ
যুবদল ক্যাডার খালিদ বিন হেদায়েত নওগাঁয় বিএমসি সরকারি মহিলা কলেজের সামনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা চালায়।

২০০২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরার কলারোয়ার চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলি গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে গিয়ে যশোর ফেরার পথে হামলার শিকার হন শেখ হাসিনা। কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনের রাস্তায় এই হামলায় সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ১২ জন দলীয় নেতাকর্মী আহত হন।

২০০৪ সালের ২ এপ্রিল
বরিশালের গৌরনদীতে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে গুলিবর্ষণ করে জামায়াত-বিএনপির ঘাতক চক্র।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তি সমাবেশস্থলে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেও হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমান এবং আরও ২৩ নেতাকর্মী নিহত এবং ৪০০ জন আহত হন।

২০০৭ সালের ১৬ জুলাই
মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকার শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত বিশেষ সাব-জেলে রেখে খাবারে ক্রমাগত পয়জন (স্লো পয়জনিং) দিয়ে তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়।

২০১১ সালের ডিসেম্বরে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত ও হত্যা করার লক্ষ্যে তিন দেশে বসে অভ্যুত্থান চেষ্টার পরিকল্পনা চলছিল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬ জন অবসরপ্রাপ্ত ও কর্মরত সদস্য এতে জড়িত ছিলেন। ২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১১ সালের ডিসেম্বরে ব্যর্থ করে দেওয়া ওই অভ্যুত্থান চেষ্টার কথা প্রকাশ করে।

২০১১ সালে
শ্রীলঙ্কার একটি সন্ত্রাসবাদী গ্রুপের সঙ্গে একটি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী চক্র সুইসাইড স্কোয়াড গঠন করে শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য চুক্তি করে। সে সময় সেই আততায়ীদের টিম গাড়িতে করে কলকাতা বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলে ভেস্তে যায় শেখ হাসিনাকে হত্যার সেই পরিকল্পনা।

২০০৪ সালে প্রশিক্ষিত নারী জঙ্গি দিয়ে মানববোমায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা হয়েছিল। প্রশাসনের কড়া নজরদারি থাকায় পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। টাইমস অব ইন্ডিয়া, জি-নিউজসহ বেশ কিছু ভারতীয় গণমাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

২০১৫ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাওয়ার পথে কাওরান বাজারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে বোমা হামলা চালানোর চেষ্টা চালায় জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) জঙ্গিগোষ্ঠী। আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে কাওরান বাজার এলাকায় তার গাড়ি লক্ষ্য করে পরপর কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ হয়।

২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর
হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে জ্বালানি তেল ফুরিয়ে যাওয়ায় তুর্কেমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাদে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান। জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ার পর ৪০ মিনিট পর্যন্ত বিমান উড়তে পারে, কিন্তু এ সাগরের চার ঘণ্টার দূরত্বের কমে কোথাও বিমানবন্দর না থাকায় বিমানটিতে আগুন ধরে যেতো। বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মারা যেতে পারতেন বিমানে থাকা সব যাত্রী।

২০১৬ সালের জুন মাসে আবারও এই বিমানে ৩৫ মিনিট ঢাকার আকাশে চক্কর দিয়ে পরে রানওয়েতে নামে। রানওয়েতে ধাতব পদার্থ থাকায় এ অবস্থা হয়। পরে ধাতব পদার্থ পরিষ্কার করা হলে বিমানটি অবতরণ করে।

image
image

রিলেটেড নিউজ


ফায়ার সার্ভিসে লোকবল হবে ২৫ হাজার

ফায়ার সার্ভিসের লোকবল ১৬ হাজার থেকে ২৫ হাজারে উন্নীত করার জন্য এর সাংগঠনিক কাঠামো বিস্তারিত


জাতীয় নির্বাচনে যেতে ফখরুলের চার শর্ত

আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির পক্ষ থেকে চারটি শর্ত তোলা হয়েছে। দলীয় সরকারের বিস্তারিত


আলী আশরাফের আসনে নৌকার কান্ডারি প্রাণ গোপাল দত্ত

কুমিল্লা- ৭ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিস্তারিত


ওবায়দুল কাদের বর্তমানের ‘গুপী গাইন’ : রিজভী

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্পর্কে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বিস্তারিত


সরকারের অন্ধ সমালোচনা বিএনপির জন্য ফ্রাংকেনস্টাইন হয়ে দাঁড়িয়েছে'

''অন্ধ সমালোচনা আর বিষোদগারের রাজনীতি বিএনপির জন্য ফ্রাংকেনস্টাইন হয়ে নিজেদেরই আঘাত বিস্তারিত


বাংলাদেশ-ভারত একে অপরের পরিপূরক : স্পিকার

পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে সংসদীয় কার্যক্রম সম্পর্কে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রতি বিস্তারিত


বিএনপির আন্দোলন ভাবনা 'শব্দবোমা' ছাড়া আর কিছু নয় : কাদের

বিএনপির আন্দোলনের হাঁকডাককে আন্দোলন-বিলাস মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিস্তারিত


'আওয়ামী লীগ এখন আমলালীগ হয়ে গেছে'

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন বিস্তারিত


খালেদাকে বিদেশ যেতে হলে জেলে গিয়ে নতুন আবেদন করতে হবে

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে বিস্তারিত


image
image

নামাজের সময়সূচি

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত

এক ক্লিকে বিভাগীয় খবর

আবহাওয়া

ক্যালেন্ডার

March 2017
M T W T F S S

চট্টগ্রাম বন্দরের সিডিউল

বিমান বন্দরের সিডিউল


Cities_image
Cities_image

জোয়ার ভাটা

Cities_image