শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক জাগরণ ডট নিউজ
আপডেট: আগস্ট ২৯, ২০১৯ ১৯:৫০
নড়াইলের কালিয়ার কলেজছাত্র এনামুল হত্যা মামলার প্রধান আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন না করে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় নড়াইলের জেলা ও দায়রা জজ শেখ আব্দুল আহাদের বিচারিক ক্ষমতা কমিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, তিনি (শেখ আব্দুল আহাদ) একবছর ফৌজদারি মামলায় বিচার কাজ পরিচালনা করতে পারবেন না। এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
এদিকে হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন করে নিম্ন আদালতের আদেশ বাতিল করা হয়েছে। হাইকোর্ট বলেছেন, অভিযোগ গঠনের বিষয়ে পুনরায় শুনানি করতে হবে। এছাড়া মামলার প্রধান আসামি মল্লিক মাজহারুল ইসলামের জামিন বহাল রেখে আদেশ দিয়েছেন আদালত। তবে, মামলায় অপ্রয়োজনীয় সময়ের আবেদন করলে জামিন বাতিল হবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এক রায়ে এ আদেশ দেন।
আসামি মল্লিক মাজহারুল ইসলামের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট এএম আমিনউদ্দিন ও রবিউল আলম বুদু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। অপরপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন লিপু।
এর আগে হাইকোর্ট মামলার বাদী নিহতের ভাই নাজমুল হুদার করা আবেদনে গত ৭ জুলাই এক আদেশে মামলার প্রধান আসামি মল্লিক মাজহারুল ইসলামকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে জেলা ও দায়রা জজ শেখ আব্দুল আহাদের বিচারিক ক্ষমতা কেন প্রত্যাহার করা হবে না সে বিষয়ে বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা জানতে চান।
এই আদেশের পর সংশ্লিষ্ট আসামি নড়াইল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাকে জামিন দেন। নড়াইল আদালতের দেওয়া এই জামিন কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এদিকে গত ৭ জুলাইয়ের আদেশের পর সংশ্লিষ্ট বিচারক শেখ আব্দুল আহাদ লিখিতভাবে হাইকোর্টকে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ‘উভয়পক্ষের শুনানি ও নথি পর্যালোচনা করে আদেশ দেওয়া হয়। উক্ত আদেশটি সঠিকভাবে প্রচারিত হয়নি এবং তা আইন সঙ্গতও নয় এবং আইনিনীতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন মর্মে মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগ সদয় হয়ে আদেশ দিয়েছেন। উক্ত ভুলের জন্য নিঃশর্তভাবে ক্ষমা প্রার্থী। ভবিষ্যতে এরূপ ভুল না করার জন্য সতর্ক থাকবো।’ এই ব্যাখ্যায় হাইকোর্ট সন্তুষ্ট হতে পারেননি। আদালত বলেছেন, তিনি কি আমাদের বোকা ভেবেছেন?
নড়াইলের কালিয়ার চন্ডিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি এনামুল নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পরদিন মল্লিক মাঝহারুল ইসলাম ওরফে মাঝাসহ ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে নিহতের ভাই নাজমুল হুদা কালিয়া থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় চলতি বছরের ১০ জুন নড়াইলের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মামলার প্রধান আসামি মাজার নাম বাদ দিয়ে অভিযোগ গঠন করেন।
এরপর বিচারিক আদালতের ওই আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন নিহত এনামুলের ভাই নাজমুল হুদা।
একটি মামলায় হাজিরা দিতে মাওলানা মামুনুল হককে কুমিল্লার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিস্তারিত
মন্ত্রীর ‘সুনাম ক্ষুণ্ণের’ অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় খালাস পেয়েছেন বিস্তারিত
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ, বিস্তারিত
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) বাসচালক আবদুস সালাম (৫০) হত্যা মামলায় বিস্তারিত
শিশুর অভিভাবকত্ব নিয়ে উচ্চ আদালতে লড়ছেন জাপানি নারী নাকানো এরিকো ও বাংলাদেশি-আমেরিকান বিস্তারিত
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ভুয়া জন্মদিন পালন এবং ও বিস্তারিত
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনি ও পুলিশ বিস্তারিত
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় আজ মঙ্গলবার কক্সবাজার জেলা বিস্তারিত
টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপের নির্দেশে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ বিস্তারিত
© Copyright JAGORON.NEWS
Developed By Muktodhara Technology Limited