শিরোনাম
নুরুল কবির, বান্দরবান জাগরণ ডট নিউজ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯ ১৭:০০
দীর্ঘদিন ধরে বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলায় ম্যালেরিয়া প্রবণতা হ্রাসে ম্যালেরিয়া রির্সাচ গ্রুপ (এমআরজি) গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। ২০১৮-১৯ সনে গবেষণার দ্বিতীয় ধাপে খাগড়াছড়ির একটি উপজেলা ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দূর্গম এলাকার ৭৫জন বিভিন্ন বয়সী রোগী নিয়ে গবেষণা পরিচালিত হয়। কিন্তু যেসব রোগী নিয়ে গবেষণা হয়েছে তাদের যাতায়াত ও আপ্যায়ন ও আনুষাঙ্গিক খরচের টাকা বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, খাগড়াছড়ির ১৫জন ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৭৫জন রোগী বাচাই করে তাদের সংক্রামিত রোগ, জনসচেতনতা, রোগের ধরণ ও গতি প্রকৃতি সম্পর্কে গবেষণা চলে। এই গবেষণার জন্য নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ান ছৈয়দ নুর কাদেরী রোগীদের পরীক্ষা নিরীক্ষাসহ অর্থ বিতরণের দায়িত্ব পান।
যাদের নিয়ে গবেষণা হয়েছে এমন কয়েকজন রোগী এই প্রতিবেদককে বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি সরকারি হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ান ছৈয়দ নুর কাদেরীর মাধ্যমে তারা রক্ত পরীক্ষা করেছেন। তবে তাদের নিয়ে গবেষণা হচ্ছে বা বরাদ্দের কোন তথ্য তারা জানতেন না।
নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের হরিণখাইয়া এলাকার বাসিন্দা জনুয়ারা বেগম, কালুরঘাট এলাকার ছাইদুল ইসলাম, বাহিরমাঠ এলাকার সমিরা আক্তার জানান, একটি অনুষ্ঠানে তাদের কিছু টাকা দেন ল্যাব টেকনিশিয়ান ছৈয়দ নুর কাদেরী। পরে হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার পর রোগীরা ভিন্ন ভিন্ন অংকের টাকা দেখতে পান। তাদের মধ্যে কাউকে ২হাজার, কাউকে আড়াই হাজার আবার কাউকে ৩হাজার টাকা দেওয়া হয়। যদিওবা গবেষণা বাবদ তাদের প্রত্যেকের জন্য বরাদ্দ ছিল ৪হাজার টাকা এবং আপ্যায়ন খরচ।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ল্যাব টেকনিশিয়ান ছৈয়দ নুর কাদেরীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং ম্যালেরিয়া রির্সাচ গ্রুপ কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করার কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব টেকনিশিয়ান ছৈয়দ নুর কাদেরী নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে ২০১০সালে যোগদান করেন। বর্তমানে তার স্ত্রী হামিদা বিবিও একই হাসপাতালে নার্স হিসেবে কর্মরত। স্বামী-স্ত্রী একই কর্মস্থলে দীর্ঘদিন থাকার কারণে স্থানীয় নানা রকম বিবাদে জড়িয়ে পড়েছেন তারা। বাজারের ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের সাথে গোপন আতাত করে হাসপাতালে রোগীদের হয়রানী, হাসপাতালে ল্যাবরেটরী শাখায় বিভিন্ন পরীক্ষায় রোগীর কাছ থেকে অর্থ আদায়ের স্লিপ না দেওয়া, অফিস চলাকালীন বাজারে আড্ডা ও প্রাইভেট ক্লিনিকে বানিজ্যের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা. আবু জাফর মোহাম্মদ ছলিম বলেন, কয়েকজন রোগীর কাছে বিষয়টি জানতে চেয়েছিলাম। তারা টাকা পেয়েছে বলে স্বীকার করেছে। তবে নির্ধারিত টাকা থেকে কর্তনের বিষয় তিনি জানেন না।
ঢাকা থেকে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেনে দুজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় বিস্তারিত
সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে নিজের স্ত্রীকে হাত-পা বেঁধে নির্জন চরের কাশবনে ফেলে দিয়েছেন বিস্তারিত
নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলা ও ধাওয়ার সময় অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি বিস্তারিত
ঢাকার বিমানবন্দর এলাকায় গত বছর একটি আলোচিত ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সিআইডির বিস্তারিত
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় মাকে নির্যাতন করায় ছেলে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে বিস্তারিত
নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ গাড়ি ছিনতাই চক্রের মূল হোতাসহ পাঁচ বিস্তারিত
র্যাংকস এফসি প্রোপার্টিস লিমিটেডের সিইও প্রকৌশলী তানভীর শাহরিয়ার রিমনের ছবি ব্যবহার বিস্তারিত
প্রায় পাঁচ মাস আগে (২৭ মার্চ) নিজ কক্ষে এক ক্যাবল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় বিস্তারিত
পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ক্ষতিকর অনলাইন গেমস দেশে বন্ধ করতে কার্যক্রম গ্রহণের পাশাপাশি বিস্তারিত
© Copyright JAGORON.NEWS
Developed By Muktodhara Technology Limited