শিরোনাম

শিক্ষার মান ধরে রাখতে না পারলে এমপিওভুক্তি বাতিল: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক জাগরণ ডট নিউজ

আপডেট: অক্টোবর ২৩, ২০১৯ ১৭:৩৩

image

"যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে, এখন না পড়ালেও টাকা পাওয়া যাবে, শিক্ষকদের এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। কারণ শিক্ষার মান ধরে রাখতে না পারলে এমপিওভুক্তি থেকে বাতিল করে দেয়া হবে। সবাইকে সেটা মনে রাখতে হবে।" এমনটাই বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।

আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) গণভবনে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের কথা হচ্ছে, নীতিমালায় যেসব নির্দেশনা রয়েছে। যারা এই নির্দেশনা পূর্ণ করতে পারবেন। সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আসলেই প্রয়োজন আছে, সেসব বিবেচনা করেই আমরা এমপিওভুক্ত দেব। যারাই এমপিওভুক্ত হবেন, তাদেরকে এই নির্দেশনাগুলি মানতে হবে।

আর যাদেরকে আমরা এখন এমপিওভুক্ত করলাম, তাদের কাছে আমার আহ্বান, আপনারা নীতিমালা অনুযায়ী সকল নির্দেশনা পূর্ণ করতে পেরেছেন বলেই এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। কাজেই এটা ধরে রাখতে হবে।

কেউ যদি এটা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়, সাথে সাথে তার এমপিওভুক্তি বাতিল হবে। কারণ এমপিওভুক্ত হয়ে গেছে, বেতন তো পাবই। আর ক্লাশ করার দরকার কি? চালানোর দরকার কি? এই চিন্তা করলে কিন্তু চলবে না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নীতিমালা করা এবং সে অনুযায়ী স্কুলগুলোর যাচাই-বাছাই করতে কিছু সময় লেগেছে। যাচাই-বাছাই করে আমরা ২ হাজার ৭৩০ প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করেছি। আগামীতে যারা এমপিওভুক্ত হতে চান, তাদের অবশ্যই নীতিমালার নির্দেশনা পূরণ করতে হবে।’

তিনি বলেন, কোথায় কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হবে, কীভাবে শিক্ষক নিয়োগ হবে, সেই পরিকল্পনা করেছি আমরা। এখন যত্রতত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। কিন্তু সবগুলোর মান ভালো নয়। স্কুলগুলো যাতে তাদের মান ঠিক রাখে, তাই আমরা নীতিমালা তৈরি করেছি। এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষকরা আন্দোলনও করেছেন। আমরা বলেছিলাম সবই করবো। আমরা সব করেছিও।

তিনি আরও বলেন, ইচ্ছে হলো কিংবা রেশারেশির বা রাজনৈতিক কারণে স্কুল তৈরি হয়। এমপিওভুক্ত বা সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির শিক্ষকদের টাকা প্রতিষ্ঠানে চলে যেত। আমরা ঠিক করলাম যার যার বেতন তার তার কাছে যাবে। পে-অর্ডারের মাধ্যমে টাকা পৌঁছে যাবে। এরপর মাসিকভিত্তিতে যখন টাকা পাঠালাম, তখন ৬০ হাজার শিক্ষককে আর পাওয়া গেল না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষাকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছি। তাই শিক্ষা খাতে বাজেটে বরাদ্দ সবচেয়ে বেশি দিয়েছি। স্কুলে স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব তৈরি করে দিচ্ছি, যাতে আধুনিক শিক্ষা থেকে ছেলেমেয়েরা বঞ্চিত না হয়। অনলাইনে অনেকে চাকরি করতে পারছে। আমরা সেভাবে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। কওমি মাদ্রাসাগুলোতেও সনদের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। সনদ না থাকাতে তারা কাজ পেতো না। প্রাতিষ্ঠানিক অনুমোদন প্রয়োজন ছিল। তারাও এদেশের সন্তান, তাদের কথাও চিন্তা করতে হবে।

এমপিওভুক্তির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা দীর্ঘদিনের একটা চাহিদা। আমরা গত বছর থেকে এই কাজ করেছি। সবার চেষ্টায় আজ একটা তালিকা করে এমপিওভুক্তের ঘোষণা দিতে পারলাম। তাদের কাছে আমার এটাই দাবি থাকবে যে, এখন এমপিওভুক্ত হয়ে গেছে কাজেই শিক্ষার মান এবং শিক্ষার পরিবেশটা যেন আরও সুন্দর হয়।

জাতির পিতা বলেছিলেন, সোনার বাংলা গড়ার জন্য আমার সোনার ছেলেমেয়ে দরকার। সেই সোনার ছেলেমেয়েই যেন তৈরি হয়। কারণ, শিক্ষকরাই তো মানুষ গড়ার কারিগর। তাদের উপরেই এই দায়িত্বটা বর্তায়। কাজেই তারা সেটা করবেন। ইনশাল্লাহ, বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসাবে গড়ে তুলব।

শিক্ষার্থীরা যাতে স্কুল পর্যায় থেকেই কারিগরি শিক্ষা বা ভোকেশনাল ট্রেনিং যাতে নিতে পারে সে দিকে লক্ষ্য রেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। কারণ আমাদের ছোট-ছোট বাচ্চাদের ভেতরে অনেক মেধা লুকিয়ে থাকে। তারা অনেক কিছু তৈরি করতে পারে। সেটা বিকাশের একটা সুযোগ আমাদের করে দেওয়া দরকার। শুধু উচ্চশিক্ষা নিয়ে, ডিগ্রী নিয়ে তো লাভ নাই। তাকে তো কিছু কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। কিছু করে খেতে হবে। সেটার ব্যবস্থা যাতে করতে পারি, যা দেশে-বিদেশে যেখানেই হোক। সেটাকেও আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। বলেন প্রধানমন্ত্রী।

১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এমপিওভুক্ত নিয়ে বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আগে যারা এমপিওভুক্ত ছিল তাদের বেতনের টাকাটা সরাসরি ওই প্রতিষ্ঠানে চলে যেত। যার ফলে অনেক সময় তাদের কাছ থেকে একটা নালিশ আসত যে তারা ঠিকমত বেতন পায় না। তখন আমরা ঠিক করি যে, যার যার বেতন তার তার কাছে সরাসরি চলে যাবে এবং প্রতি মাসে একটা পেমেন্ট অর্ডারের মাধ্যমে যার নামে তার টাকাটা চেকে পৌঁছে যাবে।

এটা করে দেখা গেল, প্রায় ৬০ হাজার ভুয়া শিক্ষক ছিল। যাদের নামে আগে টাকা যেত। যখন আমরা প্রতিজনের নামে নামে মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার দিয়ে টাকা পাঠাতে শুরু করলাম, তখন সেখানে প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষককের আর কোনো খোঁজ পাওয়া গেল না। যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

যত্রতত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠা ঠেকাতে একটা নীতিমালা তৈরি করার প্রচণ্ড দাবি ছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাতে একটু সময় লেগে যায়। কিন্তু নীতিমালা ধরে যাচাই বাছাই করে তারপরে এই তালিকাটা প্রণয়ন করা হয়েছে এবং তার মধ্যে আমরা পেয়েছি এখন ২৭৩০টি প্রতিষ্ঠান। যেটা আমরা এমপিওভুক্ত করেছি।  

image
image

রিলেটেড নিউজ


পদ্মায় জেলের জালে ১১ কেজির ঢাই মাছ! ৩৪ হাজারে বিক্রি

রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়েছে বিলুপ্ত প্রজাতির বিশাল এক ঢাই মাছ। পদ্মার ঘোলা বিস্তারিত


মার্কিন সেনাবাহিনীর আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন সেনাপ্রধান

মার্কিন সেনাবাহিনীর আমন্ত্রণে দেশটিতে সরকারি সফরে যাচ্ছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান বিস্তারিত


কুমিল্লায় দাঁড়িয়ে থাকা রিকশাকে ট্রাকের চাপা, নিহত ৩

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে ট্রাকচাপায় এক অটোরিকশাচালকসহ তিনজন বিস্তারিত


হাওর দেখতে যাচ্ছিলেন বন্ধুরা, ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল ২ জনের

দলবেঁধে হাওর দেখতে যাওয়ার পথে ময়মনসিংহে ট্রাকচাপায় মটরসাইকেল আরোহী দুই বন্ধু নিহত বিস্তারিত


রেল লাইনে দাঁড়িয়ে চলন্ত ট্রেন থামানোর চেষ্টা, আখাউড়ায় নারীর ভয়ঙ্কর পরিণতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক নারীর মৃত্যু বিস্তারিত


ভেঙে পড়েছে আমিনবাজারের বেইলি ব্রিজ

গাবতলীর আমিনবাজার-আশুলিয়া নৌপথের আমিনবাজারে অবস্থিত পুরাতন লোহার বেইলি ব্রিজ ভেঙে বিস্তারিত


অবৈধ সম্পর্কে স্বামী, ছেলেসহ আত্মহনন শেফালীর!

নওগাঁর মহাদেবপুরে স্বামীর পরকীয়ার জেরে ছেলেসহ স্ত্রী আত্মহনন করেছেন বলে জানা গেছে। বিস্তারিত


সাগরে গোসল করতে নেমে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যু

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সী-গার্ল পয়েন্টে গোসল করতে নেমে ভেসে যায় তিন বন্ধু। সেখান থেকে বিস্তারিত


হানিফ ফ্লাইওভারে ল্যাম্পপোস্টে বাইকের ধাক্কা, নিহত ২

রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় হানিফ ফ্লাইওভারে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ল্যাম্পপোস্টে বিস্তারিত


image
image

নামাজের সময়সূচি

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত

এক ক্লিকে বিভাগীয় খবর

আবহাওয়া

ক্যালেন্ডার

March 2017
M T W T F S S

চট্টগ্রাম বন্দরের সিডিউল

বিমান বন্দরের সিডিউল


Cities_image
Cities_image

জোয়ার ভাটা

Cities_image