নুসরাতের পরিবারকে যতদিন দরকার নিরাপত্তা দেয়া হবে : আইনমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক জাগরণ ডট নিউজ
আপডেট: অক্টোবর ২৬, ২০১৯ ১৪:২২
নুসরাত জাহান রাফির পরিবারের সদস্যদের যতদিন দরকার ততদিন নিরাপত্তা দেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) গুলসানের বাসভবনে এক সাংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী এ কথাগুলো বলেন।
ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বৃহস্পতিবার নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাসহ অভিযুক্ত ১৬ আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
আদালত প্রাঙ্গণে রায় নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও বহুল আলোচিত ফেনির সোনাগাজীর নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার রায় ঘোষণার পর দণ্ডিত আসামীদের পক্ষ হতে নুসরাতের পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ করে নিরাপত্তার শঙ্কা প্রকাশ করেন নুসরাতের পরিবারের সদস্যরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, নুসরাতের পরিবারকে যদি আসামি বা কুচক্রী মহল হুমকি বা থ্রেট করে, তারও কিন্তু শক্ত বিচার করা হবে।
দ্রুত সময়ে মামলার রায় দেয়ার বিষয়ে কোনো ‘ক্যারিশমা’ কাজ করেছে কিনা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এখানে ক্যারিশমার কী আছে? বিজ্ঞ আদালত এটার গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছেন
এবং বুঝতে পেরেছেন যে বাংলাদেশের জনগণ ও জনগণের নেতা শেখ হাসিনা চান সব আইনি প্রয়োজন সম্পন্ন করে মামলাটা দ্রুত নিষ্পত্তি করা হোক। যখন মামলা শুরু করেছেন, তখন কাউকে কোনো সময় না দিয়ে মামলাটা চালিয়ে গেছেন।
এখন উচ্চ আদালতে এ মামলার বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করা হবে জানিয়ে আনিসুল বলেন, যত কম সময়ে পারা যায়, মামলা প্রস্তুত করে আমি হাইকোর্টে বিচারের জন্য রেডি করব।
১৬ জনের সবার মৃত্যুদণ্ডের রায় উচ্চ আদালতে কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে আইনে যেটা বলে, এ রকম হত্যাকাণ্ডে সবচেয়ে আগে ক্যাপিটাল পানিশমেন্টের কথা চিন্তা করতে হবে। যদি কোনো মিটিগেটিং সারকামস্ট্যান্সেস থাকে, তাহলে যাবজ্জীবনের কথা চিন্তা করা হয়।
সেদিক থেকে পুরনো মামলার রেফারেন্স টেনে এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত এক নারীর শিশুসন্তান থাকায় তার ক্ষেত্রে সাজা কমে যাবজ্জীবন দিয়ে উচ্চ আদালত বাকিদের সাজা বহাল রাখতে পারেন বলে তিনি ইঙ্গিত দেন।
এ মামলার মতো নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকা অন্য মামলাগুলোর বিচার দ্রুত করা হবে কিনা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এখন বিচারিক আদালতের অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ সব সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে। সেজন্য আদালতে বিচার করার পরিবেশ এসেছে এবং সে কারণেই এসব বিচার তাড়াতাড়ি হবে বলে মনে করি।