বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনের জামিন বহাল
নিজস্ব প্রতিবেদক জাগরণ ডট নিউজ
আপডেট: অক্টোবর ৩০, ২০১৯ ১৪:৩৯
দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদের হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রয়েছে। শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা গাড়ি বিক্রির মামলায় কারাগারে রয়েছেন তিনি। এ জামিন স্থগিত চেয়ে দুদকের করা আবেদনে 'নো অর্ডার' দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। বিএনপির এই সংসদ সদস্যের এখন কারামুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানান তার অন্যতম আইনজীবী সৈয়দ মিজানুর রহমান।
গত সোমবার(২৮ অক্টোবর )হাইকোর্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের এই সংসদ সদস্যকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে হারুন অর রশীদের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে এ আদেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে তাকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ৫০ লাখ টাকার অর্থদণ্ড স্থগিত ও মামলার নথিপত্র তলব করা হয়।
হাইকোর্টের ওই জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে দুদক গতকাল মঙ্গলবার আবেদন করে, যা চেম্বার বিচারপতির আদালত হয়ে বুধবার আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে দুদকের (দুর্নীতি দমন কমিশন) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। হারুনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মিজানুর রহমান, মাহবুবউদ্দিন খোকন ও হারুনের স্ত্রী আইনজীবী সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া।
জানা যায়, সংসদ সদস্য থাকাবস্থায় শুল্কমুক্ত গাড়ি এনে তা বিক্রির ঘটনায় হারুনুর রশীদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলা করা হয়।
মামলার বাদী হলেন- পুলিশের উপপরিদর্শক ইউনুস আলী। মামলাটি তদন্ত করে হারুনুর রশীদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১৮ জুলাই আদালতে চার্জশিট দেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোনায়েম হোসেন।
পরে আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একই বছরের ২০ আগস্ট বিচার শুরু করেন। যার ধারাবাহিকতায় গত ২১ অক্টোবর হারুনুর রশীদকে পাঁচ বছরের দণ্ডাদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।
এ মামলায় আরও দু'জনকে সাজা দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন ব্যবসায়ী এনায়েতুর রহমান বাপ্পী ও গাড়ি ব্যবসায়ী ইশতিয়াক সাদেক।
এর মধ্যে চ্যানেল নাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনায়েতুর রহমানকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং
গাড়ি ব্যবসায়ী ইশতিয়াক সাদেককে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই দুজন পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।