শিরোনাম
ডেস্ক রিপোর্টঃ জাগরণ ডট নিউজ
আপডেট: আগস্ট ১৯, ২০২০ ০৬:০২
চার বছর বয়সী মানহা। সেদিন তার মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বললো, “আম্মু বড় মামা তো করোনাভাইরাসে মারা যাবে।” “তুমি কেন এটা বলছো”, জানতে চাইলে মানহা বলে, “আমি টিভিতে দেখেছি সব ডাক্তাররা করোনায় মারা যাচ্ছে, আমার বড় মামাও তো ডাক্তার।”
আট বছর বয়সী আরহাম। তার বাবাকে বললো, “আব্বু খালামনি তো দুষ্টু না, ভালো মানুষ, তার কেন করোনা হলো?”
এই দুইটি ঘটনার মতো আমরা এরকম আরো অনেক ঘটনার সাক্ষী হচ্ছি।
করোনাভাইরাস নিয়ে আমরা যা শুনছি এবং দেখছি তাতে বিচলিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। আপনার সন্তানের মধ্যেও হয়তো আপনার অজান্তেই এনিয়ে ভয় এবং আতঙ্ক কাজ করছে। অভিভাবক হিসেবে আপনি কী করবেন? তাঁকে কি কিছুই জানাবেন না? যেন সে ভয় না পায়। নাকি অল্প জানাবেন? তাহলে, কতোটুকুই বা জানাবেন? কীভাবেই বা তার সাথে করোনাভাইরাস নিয়ে আলাপ করবেন?
আপনার শিশুর সাথে করোনভাইরাস নিয়ে কথা বলুন পাঁচটি ধাপে। আসুন এই পাঁচটি ধাপ সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নেই।
প্রথম ধাপ: প্রশ্ন করুন এবং শুনুন
হুট করে আপনার শিশুকে করোনাভাইরাস নিয়ে প্রশ্ন করবেন না। আগে নিশ্চিত হোন আপনি এবং আপনার শিশু একটি আনন্দময় পরিবেশের মধ্যে আছেন। যে পরিবেশে আপনার শিশুকে কিছু জিজ্ঞেস করলে সে মন খুলে কথা বলবে। সেটা হতে পারে গল্প শোনানোর সময়, একসঙ্গে খেলাধুলা করার সময় কিংবা গাছে পানি দেয়া দেয়ার সময়। তাকে জিজ্ঞেস করুন করোনাভাইরাস সম্পর্কে সে কী জানে, বোঝার চেষ্টা করুন সে কতটুকু জানে, সঠিক জানে কিনা।
যদি এমনটা হয় আপনার শিশু একদমই ছোট এবং এই মহামারি সম্পর্কে এখনও তেমন কিছু শোনেনি বা বোঝেনি তাহলে প্রসঙ্গটি সেখানেই শেষ করুন। নতুন করে ভয়ের কোনো বিষয় তাকে শোনানোর প্রয়োজন নেই। শুধু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার নিয়ম কানুনগুলো তাকে মনে করিয়ে দিন। ঘন ঘন সাবান দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাত ধোয়া, হাত দিয়ে মুখ, নাক, চোখ স্পর্শ না করা ইত্যাদি।
দ্বিতীয় ধাপ: শিশুবান্ধব উপায়ে সত্যটা বলুন
করোনাভাইরাস সম্পর্কে শিশুদেরও প্রয়োজন। তবে বড়দেরও খেয়াল রাখতে হবে যেন শিশুর কোমল মনে কোনো অজানা শঙ্কা বাসা না বাঁধে। শিশুর বয়স অনুযায়ী কথা বলুন, সে কী প্রতিক্রিয়া দেখায় তা খেয়াল করুন।
তৃতীয় ধাপ: আশ্বস্ত করুন
শিশুরা স্ক্রিনের ছবি এবং নিজেদের বাস্তবতাকে গুলিয়ে ফেলতে পারে এবং ভাবতে পারে তারা এক ভয়ঙ্কর বিপদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। তাকে আশ্বস্ত করুন। তাকে বলুন যে আপনি তার পাশে সব সময় আছেন। এই মহামারী ঠেকাতে ও আপনাদেরকে নিরাপদ রাখতে বিজ্ঞানী, ডাক্তার, নার্স, পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ অন্যরা যে দিন রাত কাজ করছে, সে বিষয়ে তার সঙ্গে গল্প করুন। তাকে বলুন, বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করে ফেললে কী দারুণ একটা কাজ হবে।
চতুর্থ ধাপ: নিজের যত্ন নেয়া শিখিয়ে দিন
শিশুদের করোনাভাইরাস ও অন্যান্য জীবাণু থেকে নিরাপদ রাখার সবচেয়ে ভালো উপায়গুলোর একটি হচ্ছে নিয়মিত সঠিকভাবে হাত ধোয়া। তাই তাকে হাত ধোয়ার সঠিক
নিয়মগুলো শিখিয়ে দিন। হাঁচি-কাশির সময় কিভাবে কনুই ভাঁজ করে নাক-মুখ ঢাকতে হয় তা আপনার শিশুকে দেখিয়ে দিন।
পঞ্চম এবং শেষ ধাপ: আলোচনার সমাপ্তি টানুন
আলোচনা শেষ করার সময় আপনার শিশুর শরীরী ভাষা দেখুন, সে স্বাভাবিকভাবে কথা বলছে কিনা এবং শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক আছে কিনা তা দেখুন। এসবের মাধ্যমে তার ভয়, শঙ্কা দূর হয়েছে কি না তা বোঝার চেষ্টা করুন।
লেখক: ডা. নাজিরুম মুবিন
চিকিৎসক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
সূত্র: যুগান্তর
বিয়ের পর অনেক মেয়েরাই প্রথম সহবাসের আগে ভয়ে থাকেন। কী জানি কী হয়। কিন্তু অযথা ভয় পেয়ে বিস্তারিত
২০০৪ সালে রান্না করতে গিয়ে গ্যাস স্টোভ থেকে গায়ের কাপড়ে আগুন লাগে সোমা দত্তের। তিনি বিস্তারিত
চার বছর বয়সী মানহা। সেদিন তার মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বললো, “আম্মু বড় মামা তো বিস্তারিত
প্রতি মাসের বাজেট মেইন্টেইন করা এক ভীষণ ব্যাপার। চড়া বাজারদর অথচ পকেট ফিক্সড। ফলে বিস্তারিত
আমরা আজ যে সমাজ ব্যবস্থায় অভ্যস্ত তাতে আমাদের অনুভ‚তিগুলোও দিন দিন যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছে। বিস্তারিত
এই মুহূর্তে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় কথা বলার মাধ্যম হচ্ছে Zoom অ্যাপ। যার মাধ্যমে বিস্তারিত
বর্ষাকালে রোগবালাই একটু বেশিই হয়ে থাকে। এ সময় ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, সর্দি-কাশি, জ্বর, বিস্তারিত
একটি নতুন সমীক্ষায় দেখা গেছে, দিনে একজন ব্যক্তি গড়ে ৬ হাজারের বেশি চিন্তা করে। এসব চিন্তার বিস্তারিত
অনেক মায়েদের অভিযোগ বাচ্চা মোবাইল বা ট্যাবে আসক্ত। এই আসক্তি থেকে দূরে রাখার সবচেয়ে ভালো বিস্তারিত
© Copyright JAGORON.NEWS
Developed By Muktodhara Technology Limited